alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যম

: রোববার, ১৫ মে ২০২২

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দেশে এমন অনেক আইন রয়েছে যা স্বাধীন মত প্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন কোন আইনের অপপ্রয়োগ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এ কারণে সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে ভয়ের পরিবেশ। আগামীতে এমন আরও কিছু আইন তৈরি হতে যাচ্ছে যা স্বাধীন সাংবাদিকতা বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।

গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণমাধ্যম সত্যিকারের স্বাধীনতা ভোগ করে, ভয়মুক্ত থেকে কাজ করতে পারে। আবার গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করলে, সত্য প্রকাশ করলে গণতন্ত্রের ভিত আরও মজবুত হয়।

একটি দেশের গণতন্ত্র কতটা শক্তিশালী তার একটি পরিমাপক হতে পারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন বলে মনে করা হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেখান থেকে অন্তত এমন ধারণাই পাওয়া যায়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে হতাশজনক বললেও কম বলা হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক অনুযায়ী ২০২২ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৬২তম। অথচ এক বছর আগেও এই অবস্থান ছিল ১৫২তম। সূচকের এই অবস্থান বাংলাদেশের গণমাধ্যমের দুরবস্থা প্রকাশের পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

জরুরি অবস্থার দুই বছর ছাড়া নব্বইয়ের পর থেকে নির্বাচিত সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করছে। এই ৩২ বছরে দেশের সংবাদমাধ্যম সংখ্যার বিবেচনায় বড় হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন সাংবাদিকতার সূচকে ক্রমাবনতি ঘটছে। এই বৈপরীত্যের কারণ কী, এর দায়ভারই বা কার?

স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে যদি বাধা থাকে সেটা চিহ্নিত করে দূর করার দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংবিধানে সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা কোন গণতান্ত্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিঃশঙ্ক চিত্তে মতপ্রকাশের পরিবেশ থাকে।

দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দেশে এমন অনেক আইন রয়েছে যা সাংবাদিকদের জন্য ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। বিষয়টি সরকারকে আমলে নিতে হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা তৈরি করছে এমন আইনগুলো সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন আইন যেন না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যম অত্যন্ত জরুরি।

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যম

রোববার, ১৫ মে ২০২২

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দেশে এমন অনেক আইন রয়েছে যা স্বাধীন মত প্রকাশের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন কোন আইনের অপপ্রয়োগ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এ কারণে সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে ভয়ের পরিবেশ। আগামীতে এমন আরও কিছু আইন তৈরি হতে যাচ্ছে যা স্বাধীন সাংবাদিকতা বা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপব্যবহার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীতে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেছেন।

গণতন্ত্র ও মুক্ত গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় গণমাধ্যম সত্যিকারের স্বাধীনতা ভোগ করে, ভয়মুক্ত থেকে কাজ করতে পারে। আবার গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করলে, সত্য প্রকাশ করলে গণতন্ত্রের ভিত আরও মজবুত হয়।

একটি দেশের গণতন্ত্র কতটা শক্তিশালী তার একটি পরিমাপক হতে পারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে গণমাধ্যম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি স্বাধীন বলে মনে করা হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা এ নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে সেখান থেকে অন্তত এমন ধারণাই পাওয়া যায়।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানকে হতাশজনক বললেও কম বলা হয়। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচক অনুযায়ী ২০২২ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৬২তম। অথচ এক বছর আগেও এই অবস্থান ছিল ১৫২তম। সূচকের এই অবস্থান বাংলাদেশের গণমাধ্যমের দুরবস্থা প্রকাশের পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে।

জরুরি অবস্থার দুই বছর ছাড়া নব্বইয়ের পর থেকে নির্বাচিত সরকারগুলো দেশ পরিচালনা করছে। এই ৩২ বছরে দেশের সংবাদমাধ্যম সংখ্যার বিবেচনায় বড় হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন সাংবাদিকতার সূচকে ক্রমাবনতি ঘটছে। এই বৈপরীত্যের কারণ কী, এর দায়ভারই বা কার?

স্বাধীন মতপ্রকাশের পথে যদি বাধা থাকে সেটা চিহ্নিত করে দূর করার দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংবিধানে সংবাদ ক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা কোন গণতান্ত্রিক সরকারের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নিঃশঙ্ক চিত্তে মতপ্রকাশের পরিবেশ থাকে।

দীর্ঘদিন ধরে বলা হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ দেশে এমন অনেক আইন রয়েছে যা সাংবাদিকদের জন্য ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে। বিষয়টি সরকারকে আমলে নিতে হবে। স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে বাধা তৈরি করছে এমন আইনগুলো সংশোধন বা প্রয়োজনে বাতিল করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন আইন যেন না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, সুস্থ গণতন্ত্রের জন্য মুক্ত গণমাধ্যম অত্যন্ত জরুরি।

back to top