alt

মতামত » সম্পাদকীয়

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এখনই উদ্যোগ নিন

: রোববার, ১৫ মে ২০২২

বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। এখনই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর কোন কোন এলাকা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বাড়লে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়কই তলিয়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়, সড়কে গাড়ি বিগড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক স্থাপনাতেও পানি ঢুকে পড়ে।

নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রবাহ মাটির নিচে যেতে পারছে না। এখানে বৃষ্টির পানি যাচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খালের মধ্যে। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোও দখল হয়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি তা রাজধানী ঢাকায় নেই। ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে জলাশয় রাখা যায়নি। একটি পরিকল্পিত নগরের ৩০-৩৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, সবুজ এলাকা ও জলাধার থাকে। ঢাকা শহরের তা নেই, যতটুকু আছে, তাও বছর বছর কমেছে।

একসময় রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। তাদের ব্যর্থতার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর তারা দায়িত্ব পেলেও জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। অবশ্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা মোকবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ১৩৬ ও উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২টি স্পট চিহ্নিত করেছে। এসব স্থান সংস্কার করার স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয়, এর বাস্ততায়ন জরুরি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। রাজধানীর খাল সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে ইত্যাদি আগে থেকেই ঠিক করতে হবে।

বর্ষা আসার আগে সংস্কার করা হলে খালের গভীরতা বাড়ানো সহজ হবে। অপসারিত বর্জ্য খালের তীরেই যেন ফেলে রাখা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। এবার যেন বৃষ্টিতে রাজধানী ডুবে না যায়, নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেটাই আমাদের চাওয়া।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে এখনই উদ্যোগ নিন

রোববার, ১৫ মে ২০২২

বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। এখনই বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাজধানীর কোন কোন এলাকা। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি বাড়লে জলাবদ্ধতা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় আসানির প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক সড়কই তলিয়ে যায়। এতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয়, সড়কে গাড়ি বিগড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। অনেক স্থাপনাতেও পানি ঢুকে পড়ে।

নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে পানির প্রবাহ মাটির নিচে যেতে পারছে না। এখানে বৃষ্টির পানি যাচ্ছে নর্দমা ও প্রাকৃতিক খালের মধ্যে। কিন্তু রাজধানীর বেশির ভাগ খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি দ্রুত নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাজধানীর চারপাশের নদীগুলোও দখল হয়ে যাচ্ছে। যে পরিমাণ জলাশয় থাকা জরুরি তা রাজধানী ঢাকায় নেই। ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে জলাশয় রাখা যায়নি। একটি পরিকল্পিত নগরের ৩০-৩৫ শতাংশ উন্মুক্ত স্থান, সবুজ এলাকা ও জলাধার থাকে। ঢাকা শহরের তা নেই, যতটুকু আছে, তাও বছর বছর কমেছে।

একসময় রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ছিল ঢাকা ওয়াসার। তাদের ব্যর্থতার কারণে জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। ২০২০ সালে ৩১ ডিসেম্বর তারা দায়িত্ব পেলেও জলাবদ্ধতা দূর হয়নি। অবশ্য তারা কাজ করে যাচ্ছে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা মোকবিলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি ১৩৬ ও উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২টি স্পট চিহ্নিত করেছে। এসব স্থান সংস্কার করার স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, পরিকল্পনা করাই যথেষ্ট নয়, এর বাস্ততায়ন জরুরি। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিক হলে ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। রাজধানীর খাল সংস্কারের কাজে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাহীনতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। খাল কখন সংস্কার করা হবে, কতটুকু খনন করা হবে, ময়লা-আবর্জনা কোথায় ফেলা হবে ইত্যাদি আগে থেকেই ঠিক করতে হবে।

বর্ষা আসার আগে সংস্কার করা হলে খালের গভীরতা বাড়ানো সহজ হবে। অপসারিত বর্জ্য খালের তীরেই যেন ফেলে রাখা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পানি নিষ্কাশনের পথগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জরুরি। এবার যেন বৃষ্টিতে রাজধানী ডুবে না যায়, নগরবাসীকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে না হয় সেটাই আমাদের চাওয়া।

back to top