alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বাড়ছে

: মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

আগাম বন্যা সত্ত্বেও হাওরে বোরোর ফলন নিয়ে আশাবাদী কৃষি মন্ত্রণালয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই মৌসুমে ২ কোটি ৭ লাখ টনেরও বেশি বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। দেশের মোট চালের ৫৫ শতাংশই আসে বোরো থেকে। যে কারণে এর ফলন ভালো হলে সাধারণত চালের দাম বাড়ে না। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

পাইকারি বাজারে চালভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বাড়তি দরে চাল কেনার আগেই খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এর দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেশি নেয়া শুরু করেছেন। বাড়তি দরের চাল পাইকারি বাজার থেকে পুরোদমে খুচরা পর্যায়ে এলে এর দর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ুক সেটা সরকার চায় না। কারণ সামনে নির্বাচন। নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ সেটা প্রকাশ্যেই বলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি গুদামে যথেষ্ট চালের মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম বাড়ছে কেন?

গমের বাজার হঠাৎ করে অস্থির হয়ে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আগেই সংকট তৈরি হয়েছিল। ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করায় সেই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গমের ওপর নির্ভরতা কমাতে চালের চাহিদা আগামীতে বাড়তে পারে। তবে এখনই এর প্রভাব পড়ার কথা নয়, চালের দামও বাড়ার কথা নয়।

দেশে একটি প্রবণতা দেখা যায় যে, কোন পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে বা সরবরাহ কমতে পারে-এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তার দাম বাড়তে থাকে। পণ্যের সরবরাহে যখন টান পড়ে তখন দাম আরও বেড়ে যায়। এর জন্য একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারসাজিকে দায়ী করা হয়। দেশে এখন তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। দোকানে এর দেখা না মিললেও গুদামে এর কমতি নেই।

চালের ভরা মৌসুমে মানুষ যখন একটু স্বস্তির আশা করছে, তখন এর দাম বাড়ার দুঃসংবাদ শুনতে হলো। এই দাম বৃদ্ধিও নতুন কোন কারসাজি কিনা সেটা মানুষ জানতে চায়।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম বাড়ছে

মঙ্গলবার, ১৭ মে ২০২২

আগাম বন্যা সত্ত্বেও হাওরে বোরোর ফলন নিয়ে আশাবাদী কৃষি মন্ত্রণালয়। তাদের হিসাব অনুযায়ী, এই মৌসুমে ২ কোটি ৭ লাখ টনেরও বেশি বোরো ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে ৬২ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে। দেশের মোট চালের ৫৫ শতাংশই আসে বোরো থেকে। যে কারণে এর ফলন ভালো হলে সাধারণত চালের দাম বাড়ে না। কিন্তু এ বছর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।

পাইকারি বাজারে চালভেদে কেজিতে দাম বেড়েছে দুই থেকে পাঁচ টাকা। বাড়তি দরে চাল কেনার আগেই খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা এর দাম কেজিপ্রতি এক থেকে দুই টাকা বেশি নেয়া শুরু করেছেন। বাড়তি দরের চাল পাইকারি বাজার থেকে পুরোদমে খুচরা পর্যায়ে এলে এর দর আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়ুক সেটা সরকার চায় না। কারণ সামনে নির্বাচন। নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ সেটা প্রকাশ্যেই বলেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, সরকারি গুদামে যথেষ্ট চালের মজুত রয়েছে। তাহলে চালের দাম বাড়ছে কেন?

গমের বাজার হঠাৎ করে অস্থির হয়ে পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আগেই সংকট তৈরি হয়েছিল। ভারত গম রপ্তানি বন্ধ করায় সেই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। গমের ওপর নির্ভরতা কমাতে চালের চাহিদা আগামীতে বাড়তে পারে। তবে এখনই এর প্রভাব পড়ার কথা নয়, চালের দামও বাড়ার কথা নয়।

দেশে একটি প্রবণতা দেখা যায় যে, কোন পণ্যের চাহিদা বাড়তে পারে বা সরবরাহ কমতে পারে-এমন পরিস্থিতি আঁচ করতে পারার সঙ্গে সঙ্গে তার দাম বাড়তে থাকে। পণ্যের সরবরাহে যখন টান পড়ে তখন দাম আরও বেড়ে যায়। এর জন্য একশ্রেণীর ব্যবসায়ীর কারসাজিকে দায়ী করা হয়। দেশে এখন তেল নিয়ে তেলেসমাতি চলছে। দোকানে এর দেখা না মিললেও গুদামে এর কমতি নেই।

চালের ভরা মৌসুমে মানুষ যখন একটু স্বস্তির আশা করছে, তখন এর দাম বাড়ার দুঃসংবাদ শুনতে হলো। এই দাম বৃদ্ধিও নতুন কোন কারসাজি কিনা সেটা মানুষ জানতে চায়।

back to top