alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ প্রসঙ্গে

: বুধবার, ১৮ মে ২০২২

ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের কামার খালের মুখে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা প্রবাহমান খালটিতে মাছ চাষ করছেন। এ কাজে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ তাদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কামারখালে বেশ কয়েকটি স্লুইসগেট রয়েছে এবং অন্য খালের সঙ্গে এর সংযোগ রয়েছে। ভেকু দিয়ে মাটি কেটে জনতা বাজারের পূর্বে কামারখালের জলকপাটের মুখে দুটি বাঁধ দেয়া হয়েছে। খালের অনেক অংশেই এমন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা এ খালে বছরের পর বছর মাছ শিকার করে নিজেদের চাহিতা মেটাতেন, অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেটা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। খালের জলকপাট বিকল হয়ে থাকায় ওই এলাকার কয়েকটি বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব দেখা দেয়। ফলে দুই মৌসুমেই ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। ব্যাহত হয় বোরোসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ। এখন বাঁধ দেয়ার ফলে জলাবদ্ধতা ও পানি স্বল্পতা বা অভাব স্থায়ী রূপ ধারন করবে।

খালে বাঁধ না দিতে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৎস্য অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় গত ২৪ এপ্রিল তারা ভোলা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এরপরও বন্ধ হয়নি খালে বাঁধ দেয়ার কাজ।

খালটি যাদের দেখভাল করার কথা তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে! উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী ভূমি কমিশনার ২০২১-২২ অর্থবছরে খালটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। যুগ যুগ ধরে প্রবাহমান খালকে কীভাবে বা কোন আইনে একটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে- সেটা একটা প্রশ্ন।

শুধু লালমোহন নয় দেশের অনেক অঞ্চলেই এভাবে প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার খবর পাওয়া যায়। প্রায়ই গণমাধ্যমে এসব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আমরা বলতে চাই, কোনভাবে প্রবাহমান খালের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করা কাম্য নয়। অবিলম্বে উল্লিখিত খালের বাঁধ খুলে দিতে হবে। খালটির অপব্যবহারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ প্রসঙ্গে

বুধবার, ১৮ মে ২০২২

ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলিগৌরনগর ইউনিয়নের কামার খালের মুখে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তার স্বজনরা প্রবাহমান খালটিতে মাছ চাষ করছেন। এ কাজে স্থানীয় মৎস্য বিভাগ তাদের আর্থিক সহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

কামারখালে বেশ কয়েকটি স্লুইসগেট রয়েছে এবং অন্য খালের সঙ্গে এর সংযোগ রয়েছে। ভেকু দিয়ে মাটি কেটে জনতা বাজারের পূর্বে কামারখালের জলকপাটের মুখে দুটি বাঁধ দেয়া হয়েছে। খালের অনেক অংশেই এমন বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা এ খালে বছরের পর বছর মাছ শিকার করে নিজেদের চাহিতা মেটাতেন, অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সেটা এখন বন্ধ হয়ে গেছে। খালের জলকপাট বিকল হয়ে থাকায় ওই এলাকার কয়েকটি বিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব দেখা দেয়। ফলে দুই মৌসুমেই ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরা। ব্যাহত হয় বোরোসহ অন্যান্য ফসলের আবাদ। এখন বাঁধ দেয়ার ফলে জলাবদ্ধতা ও পানি স্বল্পতা বা অভাব স্থায়ী রূপ ধারন করবে।

খালে বাঁধ না দিতে স্থানীয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মৎস্য অফিসার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। তাতেও কাজ না হওয়ায় গত ২৪ এপ্রিল তারা ভোলা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। এরপরও বন্ধ হয়নি খালে বাঁধ দেয়ার কাজ।

খালটি যাদের দেখভাল করার কথা তাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। সর্ষের মধ্যেই ভূত রয়েছে! উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী ভূমি কমিশনার ২০২১-২২ অর্থবছরে খালটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। যুগ যুগ ধরে প্রবাহমান খালকে কীভাবে বা কোন আইনে একটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে- সেটা একটা প্রশ্ন।

শুধু লালমোহন নয় দেশের অনেক অঞ্চলেই এভাবে প্রবাহমান খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার খবর পাওয়া যায়। প্রায়ই গণমাধ্যমে এসব নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আমরা বলতে চাই, কোনভাবে প্রবাহমান খালের বৈশিষ্ট্য নষ্ট করা কাম্য নয়। অবিলম্বে উল্লিখিত খালের বাঁধ খুলে দিতে হবে। খালটির অপব্যবহারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top