alt

opinion » editorial

নৌপথের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ২০ মে ২০২২

নৌপথে নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল থাকা যেমন জরুরি, নিরাপদ জলযান নিশ্চিত করাও তেমন জরুরি। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে। দেশের নৌযানগুলো চলছে অপ্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত নৌযানের রয়েছে ১৫ হাজার। অনিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা কত সেটা জানার কোন উপায় নেই। কারণ, অবৈধ নৌযানের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই।

নৌপথের যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তায় সচেতনতার জন্য শুরু হয়েছে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ। এ বছর নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ-নিরাপত্তায় রাখবে অবদান’।

দেশে নৌদুর্ঘটনায় প্রতি বছরই জানমাল ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার অন্যতম দুটো কারণ হচ্ছে, অদক্ষ নাবিক ও ফিটনেসবিহীন নৌযান। অদক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভার দিয়ে নৌযান পরিচালনার খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। নকশার অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হয় অনেক নৌযান। হাতে গোনা যে কয়েকটি নৌযানের নকশার অনুমোদন নেয়া হয় সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। নৌযানের নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা করা হয় না। এসব কারণে নিরাপদ জলযান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

শুধু দিবস পালন করে বা প্রতিপাদ্য দিয়ে নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চত করা যাবে না। নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল চাই। প্রশ্ন হচ্ছে, দক্ষতা তৈরিতে দেশে যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে কিনা। দেশে কত অবৈধ নৌযান আছে সেটাই যদি না জানা থাকে তাহলে নিরাপদ জলযানের ধারণা বাস্তবায়ন করা হবে কীভাবে।

জানা গেছে, ‘নৌযানের ডেটাবেইজ তৈরি ও নৌযান ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়ানো’ শিরোনামে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা চাই, নৌযান ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ুক। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

নৌপথের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২

নৌপথে নিরাপত্তার জন্য প্রশিক্ষিত জনবল থাকা যেমন জরুরি, নিরাপদ জলযান নিশ্চিত করাও তেমন জরুরি। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, দেশে উভয় ক্ষেত্রেই ঘাটতি রয়েছে। দেশের নৌযানগুলো চলছে অপ্রশিক্ষিত জনবল দিয়ে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে নিবন্ধিত নৌযানের রয়েছে ১৫ হাজার। অনিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা কত সেটা জানার কোন উপায় নেই। কারণ, অবৈধ নৌযানের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত নেই।

নৌপথের যাত্রী ও নৌযানের নিরাপত্তায় সচেতনতার জন্য শুরু হয়েছে নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহ। এ বছর নৌ-নিরাপত্তা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, ‘প্রশিক্ষিত জনবল ও নিরাপদ জলযান, নৌ-নিরাপত্তায় রাখবে অবদান’।

দেশে নৌদুর্ঘটনায় প্রতি বছরই জানমাল ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার অন্যতম দুটো কারণ হচ্ছে, অদক্ষ নাবিক ও ফিটনেসবিহীন নৌযান। অদক্ষ মাস্টার ও ড্রাইভার দিয়ে নৌযান পরিচালনার খেসারত দিতে হচ্ছে যাত্রী সাধারণকে। নকশার অনুমোদন ছাড়াই তৈরি করা হয় অনেক নৌযান। হাতে গোনা যে কয়েকটি নৌযানের নকশার অনুমোদন নেয়া হয় সেগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। নৌযানের নিয়মিত ফিটনেস পরীক্ষা করা হয় না। এসব কারণে নিরাপদ জলযান নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।

শুধু দিবস পালন করে বা প্রতিপাদ্য দিয়ে নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চত করা যাবে না। নৌ-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনবল চাই। প্রশ্ন হচ্ছে, দক্ষতা তৈরিতে দেশে যথেষ্ট ব্যবস্থা আছে কিনা। দেশে কত অবৈধ নৌযান আছে সেটাই যদি না জানা থাকে তাহলে নিরাপদ জলযানের ধারণা বাস্তবায়ন করা হবে কীভাবে।

জানা গেছে, ‘নৌযানের ডেটাবেইজ তৈরি ও নৌযান ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বাড়ানো’ শিরোনামে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব তৈরি করে সেটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কী, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা চাই, নৌযান ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের সক্ষমতা বাড়ুক। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top