alt

মতামত » সম্পাদকীয়

অবরুদ্ধ পরিবারটিকে মুক্ত করুন

: শুক্রবার, ২০ মে ২০২২

রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার বালুয়াভাটা মহল্লায় একটি পরিবার ১৫ দিনে ধরে অবরুদ্ধ আছে বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা পরিবারটির চলাচলের রাস্তায় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছে। শুধু তাই নয় বাড়িতে প্রবেশের প্রধান ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় পারিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রদীপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, তারা ৪০ বছর ধরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই রাস্তার জমি বাদে তার নামীয় সম্পত্তি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র উত্তম কুমার সাহার কাছে বিক্রি করেন। অন্যদিকে রাস্তাসহ সব জমি কিনেছেন বলে জানান উত্তম কুমার সাহা। তার জায়গা দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেবেন না।

কারণ যাই হোক, কেউ কারও চলাচলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, চলাচল বন্ধ করতে পারে না। দেশের সংবিধানে নাগরিকদের চলাচলের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এ স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। যিনি এ রাস্তা বন্ধ করেছে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় পৌরসভার জানপ্রতিনিধি ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কি ক্ষমতার জোড়ে একটি পরিবারের মানুষের চলাফেরায় বাধা দিচ্ছেন কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পরিবারটি অবরুদ্ধ- এটা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি কারও চোখেই পড়ল না। তাদের এই দূরবস্থা থেকে উদ্ধার করার কি কেউই নেই?

আমরা বলেতে চাই, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উক্ত পরিবারকে মুক্ত করতে হবে। তাদের চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। যে বা যারা তাদের অবরুদ্ধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

অবরুদ্ধ পরিবারটিকে মুক্ত করুন

শুক্রবার, ২০ মে ২০২২

রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার বালুয়াভাটা মহল্লায় একটি পরিবার ১৫ দিনে ধরে অবরুদ্ধ আছে বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা পরিবারটির চলাচলের রাস্তায় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছে। শুধু তাই নয় বাড়িতে প্রবেশের প্রধান ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় পারিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রদীপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, তারা ৪০ বছর ধরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই রাস্তার জমি বাদে তার নামীয় সম্পত্তি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র উত্তম কুমার সাহার কাছে বিক্রি করেন। অন্যদিকে রাস্তাসহ সব জমি কিনেছেন বলে জানান উত্তম কুমার সাহা। তার জায়গা দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেবেন না।

কারণ যাই হোক, কেউ কারও চলাচলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, চলাচল বন্ধ করতে পারে না। দেশের সংবিধানে নাগরিকদের চলাচলের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এ স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। যিনি এ রাস্তা বন্ধ করেছে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় পৌরসভার জানপ্রতিনিধি ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কি ক্ষমতার জোড়ে একটি পরিবারের মানুষের চলাফেরায় বাধা দিচ্ছেন কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পরিবারটি অবরুদ্ধ- এটা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি কারও চোখেই পড়ল না। তাদের এই দূরবস্থা থেকে উদ্ধার করার কি কেউই নেই?

আমরা বলেতে চাই, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উক্ত পরিবারকে মুক্ত করতে হবে। তাদের চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। যে বা যারা তাদের অবরুদ্ধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top