রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার বালুয়াভাটা মহল্লায় একটি পরিবার ১৫ দিনে ধরে অবরুদ্ধ আছে বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা পরিবারটির চলাচলের রাস্তায় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছে। শুধু তাই নয় বাড়িতে প্রবেশের প্রধান ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় পারিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রদীপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, তারা ৪০ বছর ধরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই রাস্তার জমি বাদে তার নামীয় সম্পত্তি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র উত্তম কুমার সাহার কাছে বিক্রি করেন। অন্যদিকে রাস্তাসহ সব জমি কিনেছেন বলে জানান উত্তম কুমার সাহা। তার জায়গা দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেবেন না।
কারণ যাই হোক, কেউ কারও চলাচলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, চলাচল বন্ধ করতে পারে না। দেশের সংবিধানে নাগরিকদের চলাচলের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এ স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। যিনি এ রাস্তা বন্ধ করেছে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় পৌরসভার জানপ্রতিনিধি ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কি ক্ষমতার জোড়ে একটি পরিবারের মানুষের চলাফেরায় বাধা দিচ্ছেন কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পরিবারটি অবরুদ্ধ- এটা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি কারও চোখেই পড়ল না। তাদের এই দূরবস্থা থেকে উদ্ধার করার কি কেউই নেই?
আমরা বলেতে চাই, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উক্ত পরিবারকে মুক্ত করতে হবে। তাদের চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। যে বা যারা তাদের অবরুদ্ধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শুক্রবার, ২০ মে ২০২২
রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরসভার বালুয়াভাটা মহল্লায় একটি পরিবার ১৫ দিনে ধরে অবরুদ্ধ আছে বলে জানা গেছে। ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় এক নেতা পরিবারটির চলাচলের রাস্তায় ইটের দেয়াল নির্মাণ করে রেখেছে। শুধু তাই নয় বাড়িতে প্রবেশের প্রধান ফটকেও তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তিনি। রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় পারিবারটি অবরুদ্ধ অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেও কোন সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী প্রদীপ কুমার সাহা জানিয়েছেন, তারা ৪০ বছর ধরে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই রাস্তার জমি বাদে তার নামীয় সম্পত্তি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র উত্তম কুমার সাহার কাছে বিক্রি করেন। অন্যদিকে রাস্তাসহ সব জমি কিনেছেন বলে জানান উত্তম কুমার সাহা। তার জায়গা দিয়ে কাউকে চলাচল করতে দেবেন না।
কারণ যাই হোক, কেউ কারও চলাচলে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, চলাচল বন্ধ করতে পারে না। দেশের সংবিধানে নাগরিকদের চলাচলের স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। এ স্বাধীনতা খর্ব করার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। যিনি এ রাস্তা বন্ধ করেছে তিনি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং স্থানীয় পৌরসভার জানপ্রতিনিধি ছিলেন বলে জানা গেছে। তিনি কি ক্ষমতার জোড়ে একটি পরিবারের মানুষের চলাফেরায় বাধা দিচ্ছেন কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে পরিবারটি অবরুদ্ধ- এটা স্থানীয় প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধি কারও চোখেই পড়ল না। তাদের এই দূরবস্থা থেকে উদ্ধার করার কি কেউই নেই?
আমরা বলেতে চাই, অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উক্ত পরিবারকে মুক্ত করতে হবে। তাদের চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। যে বা যারা তাদের অবরুদ্ধ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।