alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে

: শনিবার, ২১ মে ২০২২

একে তো বন্যার পানি, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। এই দুয়ে ডুবে আছে সিলেট নগরী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত প্রায় তিন যুগের মধ্যে এবারই সিলেট নগরীতে বেশি পানি দেখা গেছে।

জলাবদ্ধতা সিলেট নগরীর নতুন সমস্যা নয়। ভারি বৃষ্টি হলে প্রায়ই সেখানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির পানিতে নগর যেন ডুবে না থাকে, নাগরিকদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট নগর কর্তৃপক্ষ কাজও করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গত ১০ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচশ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।

শত শত কোটি টাকা খরচ করেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের করের টাকায় যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো ছিল অপরিকল্পিত। বিশেষজ্ঞরা এমনই মনে করছেন। অপরিকল্পিত কাজের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা কমার পরিবর্তে উলটো বেড়ে গেছে। যেমন কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সেখানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এরই কুফল আজ সিলেট নগরের বাসিন্দাদের ভোগ করতে হচ্ছে।

সিলেটও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ছড়া দখল বা ভরাট করে নানা স্থাপনা নির্মাণের শিকার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের সূত্র অনুযায়ী, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বেশিরভাগ ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা। বিভিন্ন সময় দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হলেও টেকসই সমাধান মেলেনি।

সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া আরেকটি সমস্যা। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যার পানি সিলেটের নগরেও ঢুকে পড়েছে। সিলেটের জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে ছড়াগুলো দখল-দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি নদী খনন করাও জরুরি। নদী আর ছড়াগুলোর যত্ন নিলে নগরটির জলাবদ্ধতার সমস্যার একটি টেকসই সমাধান হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। এজন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। অপরিকল্পিত কাজে সমস্যার সমাধান হয় না, জনগণের অর্থের অপচয়ই হয় শুধু। এটা কাম্য নয়।

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সিলেট নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে

শনিবার, ২১ মে ২০২২

একে তো বন্যার পানি, তার সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টি। এই দুয়ে ডুবে আছে সিলেট নগরী। ভুক্তভোগীরা বলছেন, গত প্রায় তিন যুগের মধ্যে এবারই সিলেট নগরীতে বেশি পানি দেখা গেছে।

জলাবদ্ধতা সিলেট নগরীর নতুন সমস্যা নয়। ভারি বৃষ্টি হলে প্রায়ই সেখানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। বৃষ্টির পানিতে নগর যেন ডুবে না থাকে, নাগরিকদের যেন ভোগান্তিতে পড়তে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট নগর কর্তৃপক্ষ কাজও করছে। সংবাদ-এ প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, গত ১০ বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পাঁচশ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।

শত শত কোটি টাকা খরচ করেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মিলছে না কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের করের টাকায় যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে সেগুলো ছিল অপরিকল্পিত। বিশেষজ্ঞরা এমনই মনে করছেন। অপরিকল্পিত কাজের কারণে জলাবদ্ধতার সমস্যা কমার পরিবর্তে উলটো বেড়ে গেছে। যেমন কোথাও কোথাও ছড়ার উপরিভাগ ঢেকে ‘বক্স কালভার্ট’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে সেখানে পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এরই কুফল আজ সিলেট নগরের বাসিন্দাদের ভোগ করতে হচ্ছে।

সিলেটও অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ছড়া দখল বা ভরাট করে নানা স্থাপনা নির্মাণের শিকার হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশনের সূত্র অনুযায়ী, নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহিত বেশিরভাগ ছড়া দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে অবৈধ দখলদাররা। বিভিন্ন সময় দখল উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়া হলেও টেকসই সমাধান মেলেনি।

সুরমা নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়া আরেকটি সমস্যা। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় বন্যার পানি সিলেটের নগরেও ঢুকে পড়েছে। সিলেটের জলাবদ্ধতা দূর করতে হলে ছড়াগুলো দখল-দূষণমুক্ত করার পাশাপাশি নদী খনন করাও জরুরি। নদী আর ছড়াগুলোর যত্ন নিলে নগরটির জলাবদ্ধতার সমস্যার একটি টেকসই সমাধান হতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। এজন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করা যেতে পারে। অপরিকল্পিত কাজে সমস্যার সমাধান হয় না, জনগণের অর্থের অপচয়ই হয় শুধু। এটা কাম্য নয়।

back to top