alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মাঙ্কিপক্স : আতঙ্ক নয় সচেতনতা জরুরি

: মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

বিশ্বের ১২টি দেশে ৯২ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা করছে, বিশ্বজুড়ে রোগটি আরও বিস্তৃত হতে পারে। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মাঙ্কিপক্স নামের ভাইরাসের কারণে মাঙ্কিপক্স রোগ দেখা দেয়। ভাইরাসটি এখনো গবেষণা পর্যায়ে আছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। সাধারণত শিকার বা চিড়িয়াখানায় কাজ করা যেসব মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে আসে তাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এখন মানুষ থেকে মানুষে এর সংক্রমণ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। তবে এই সংক্রমণের ধরণ যৌনবাহিত রোগ সংক্রমণের মতো।

এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণকে ভয়াবহ বলা যাচ্ছে না। এর সংক্রমণের সক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। সমস্যা হচ্ছে, এই রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। অবশ্য বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটিবসন্তের টিকা প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর। তবে বিশ্বের কোন দেশে এই টিকা আছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, পৃথিবী এখন গুটিবসন্ত রোগ মুক্ত। যে কারণে এর টিকা এখন তৈরি করা হয় না।

বাংলাদেশে এখনো এখনো মাঙ্কিপক্স রোগের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারও বসন্ত রোগের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। বেশি জরুরি হচ্ছে, এই ধরনের রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করা। এ ক্ষেত্রে আইইডিসিআরকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

যেসব দেশে এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ভালোভাবে পরীক্ষা করা দরকার। সরকার এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে। বন্দরগুলোতে কারও মধ্যে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমরা বলতে চাই, মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক থাকা ভালো। তবে এ নিয়ে যেন জনমনে অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ায় সেটাও দেখতে হবে। রোগ ও এর লক্ষণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। নতুন রোগ নিয়ে যেন কোন গুজব না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মাঙ্কিপক্স : আতঙ্ক নয় সচেতনতা জরুরি

মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

বিশ্বের ১২টি দেশে ৯২ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আশঙ্কা করছে, বিশ্বজুড়ে রোগটি আরও বিস্তৃত হতে পারে। মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

মাঙ্কিপক্স নামের ভাইরাসের কারণে মাঙ্কিপক্স রোগ দেখা দেয়। ভাইরাসটি এখনো গবেষণা পর্যায়ে আছে। মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর প্রকোপ বেশি। সাধারণত শিকার বা চিড়িয়াখানায় কাজ করা যেসব মানুষ প্রাণীদের সংস্পর্শে আসে তাদের মধ্যে এই রোগ দেখা যায়। এখন মানুষ থেকে মানুষে এর সংক্রমণ ঘটতে দেখা যাচ্ছে। তবে এই সংক্রমণের ধরণ যৌনবাহিত রোগ সংক্রমণের মতো।

এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণকে ভয়াবহ বলা যাচ্ছে না। এর সংক্রমণের সক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। সমস্যা হচ্ছে, এই রোগের সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। অবশ্য বিশ্বের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে গুটিবসন্তের টিকা প্রায় ৮৫ শতাংশ কার্যকর। তবে বিশ্বের কোন দেশে এই টিকা আছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। কারণ, পৃথিবী এখন গুটিবসন্ত রোগ মুক্ত। যে কারণে এর টিকা এখন তৈরি করা হয় না।

বাংলাদেশে এখনো এখনো মাঙ্কিপক্স রোগের অস্তিত্ব মেলেনি। তবে সতর্ক থাকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারও বসন্ত রোগের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। বেশি জরুরি হচ্ছে, এই ধরনের রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করা। এ ক্ষেত্রে আইইডিসিআরকে ভূমিকা পালন করতে হবে।

যেসব দেশে এই রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে সেসব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের ভালোভাবে পরীক্ষা করা দরকার। সরকার এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সতর্কতা জারি করেছে। বন্দরগুলোতে কারও মধ্যে মাঙ্কিপক্সের লক্ষণ দেখা দিলে তাকে কোয়ারেন্টিনে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমরা বলতে চাই, মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্ক থাকা ভালো। তবে এ নিয়ে যেন জনমনে অহেতুক আতঙ্ক না ছড়ায় সেটাও দেখতে হবে। রোগ ও এর লক্ষণ সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। নতুন রোগ নিয়ে যেন কোন গুজব না ছড়ায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এজন্য সঠিক তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top