alt

মতামত » সম্পাদকীয়

যানজট নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপগুলোকে ভুললে চলবে না

: বুধবার, ২৫ মে ২০২২

রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের সড়কে দিনের বেশির ভাগ সময় যানজট লেগেই থাকে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর কোন একটি সড়কে যানজট হলে এর প্রভার সারা শহরেই পড়ে। তীব্র যানজটের কারণে নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। তাদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি, যাত্রাপথে সময় বেশি লাগে, কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। তবে এমন পরিস্থিতি এক দিনে তৈরি হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিত নগরায়ন, রাস্তার স্বল্পতা, ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি, ফুটপাত ও রাস্তা দখল, গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতার জন্যই যানজটের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার বাস্তর উদাহরণ গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী সড়ক।

বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। আর এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। এআরআইয়ের হিসাবমতে যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।

যানজট নিরসনে সরকার ওভারপাস, ইউলুপ নির্মাণসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। চলমান আছে আরও কিছু মেগা প্রকল্পের কাজও। কিন্তু ভুল পরিকল্পনার সঙ্গে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এসব তেমন একটা কাজে আসছে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বরং রাজধানী ঢাকার তীব্র যানজট এখন অনেকটাই স্থায়ী রূপ ধারণ করছে।

এমন পরিস্থিতি বছরের পর বছর ধরে চললেও সরকারের থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ ও বাস্তব পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে না বলেও মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। যা নিচ্ছে তাতেও রয়েছে নানা ঘাটতি।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদে কিছু পরিকল্পনা নিলে যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। এগুলোর মধ্যে- খানাখন্দে ভরা রাস্তা মেরামত করা, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা, সড়কের নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রী ওঠা-নামা করানো, ট্রাফিক আইন মেনে চলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব বাস্তবায়নে টাকা-পয়সার দরকার হয় না, বিদ্যমান অবকাঠামো এবং জনবল দিয়েই করা সম্ভব। শুধু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকতে হবে।

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

যানজট নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পদক্ষেপগুলোকে ভুললে চলবে না

বুধবার, ২৫ মে ২০২২

রাজধানীর মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের সড়কে দিনের বেশির ভাগ সময় যানজট লেগেই থাকে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর কোন একটি সড়কে যানজট হলে এর প্রভার সারা শহরেই পড়ে। তীব্র যানজটের কারণে নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে। তাদের পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি, যাত্রাপথে সময় বেশি লাগে, কর্মঘণ্টার অপচয় হয়। তবে এমন পরিস্থিতি এক দিনে তৈরি হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিত নগরায়ন, রাস্তার স্বল্পতা, ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি, ফুটপাত ও রাস্তা দখল, গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা এবং সমন্বয়হীনতার জন্যই যানজটের এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যার বাস্তর উদাহরণ গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী সড়ক।

বিশ্বব্যাংক ও বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৭ সালে ঢাকার সড়কে যানবাহনের গড় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার। আর এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। এআরআইয়ের হিসাবমতে যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৩৯ কোটি টাকা।

যানজট নিরসনে সরকার ওভারপাস, ইউলুপ নির্মাণসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। চলমান আছে আরও কিছু মেগা প্রকল্পের কাজও। কিন্তু ভুল পরিকল্পনার সঙ্গে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এসব তেমন একটা কাজে আসছে না বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। বরং রাজধানী ঢাকার তীব্র যানজট এখন অনেকটাই স্থায়ী রূপ ধারণ করছে।

এমন পরিস্থিতি বছরের পর বছর ধরে চললেও সরকারের থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ ও বাস্তব পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে না বলেও মনে করেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা। যা নিচ্ছে তাতেও রয়েছে নানা ঘাটতি।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদে কিছু পরিকল্পনা নিলে যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখতে পারে। এগুলোর মধ্যে- খানাখন্দে ভরা রাস্তা মেরামত করা, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা, সড়কের নির্দিষ্ট স্থানে যাত্রী ওঠা-নামা করানো, ট্রাফিক আইন মেনে চলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এসব বাস্তবায়নে টাকা-পয়সার দরকার হয় না, বিদ্যমান অবকাঠামো এবং জনবল দিয়েই করা সম্ভব। শুধু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা থাকতে হবে।

back to top