alt

মতামত » সম্পাদকীয়

মজুরি বৈষম্যের অবসান চাই

: বুধবার, ০৮ জুন ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীতে লিচুবাগানে কাজ করা নারীশ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগানে কাজ করা পুরুষ শ্রমিকরা যেখানে দৈনিক মজুর পান পাঁচ থেকে ছয়শ’ টাকা, সেখানে নারীশ্রমিকরা পান দুই থেকে তিনশ’ টাকা। যদিও উভয়েই লিচু বাছাই ও গণনার একই কাজ করেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, নারীশ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবি জানালেও বাগান মালিকরা তাতে কর্ণপাত করেন না। প্রশ্ন হচ্ছে নারীশ্রমিকরা কি লিচু বাছাই বা গণনার কাজে পুরুষদের তুলনায় কম সক্ষম। তারা কি পুরুষদের তুলনায় কম কাজ করছে? তাহলে নারীদের কম মজুরি দেয়ার কারণ কী? সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বলছেন, নারীশ্রমিকরা গাছে চড়তে পারে না, এজন্য মজুরি কম। লিচু গণনা বা বাছাইয়ের সঙ্গে গাছে চড়ার কী সম্পর্ক সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আর সম্পর্ক যদিও থাকেও তবুও প্রশ্ন ওঠে যে, শুধু গাছে চড়তে না জানার কারণে পুরুষ কর্মীর তুলনায় নারীর মজুরির ব্যবধান কি প্রতিদিন গড়ে তিনশ’ টাকা হতে পারে।

শুধু ঈশ্বরদীতেই নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও নারীশ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়। সক্ষমতা বা দক্ষতায় কমতি নেই, পুরুষ সহকর্মীর সমান কাজ করেন এমন নারীও তুলনামূলকভাবে ঢের কম মজুরি বা পারিশ্রমিক পান। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীদেরকেই বেশি পরিশ্রম করতে দেখা যায়। অথচ সংশ্লিষ্টরা মজুরি দেয়ার সময় নারীদের ন্যায্য পাওনা দিচ্ছেন না।

নারীর উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে তাদের আর্থিক বঞ্চনা দূর করতে হবে। মজুরি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। বিশেষ করে মালিক শ্রেণীর মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা গেলে নারীশ্রমিকদের বঞ্চনা দূর হতে পারে।

নারীশ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। সরকার নীতিগতভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে সাম্য দেখতে চায়। বাস্তব ক্ষেত্রে এই নীতি বাস্তবায়নে সমস্যাগুলো কী, সেটা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

মজুরি বৈষম্যের অবসান চাই

বুধবার, ০৮ জুন ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদীতে লিচুবাগানে কাজ করা নারীশ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগানে কাজ করা পুরুষ শ্রমিকরা যেখানে দৈনিক মজুর পান পাঁচ থেকে ছয়শ’ টাকা, সেখানে নারীশ্রমিকরা পান দুই থেকে তিনশ’ টাকা। যদিও উভয়েই লিচু বাছাই ও গণনার একই কাজ করেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, নারীশ্রমিকরা মজুরি বাড়ানোর দাবি জানালেও বাগান মালিকরা তাতে কর্ণপাত করেন না। প্রশ্ন হচ্ছে নারীশ্রমিকরা কি লিচু বাছাই বা গণনার কাজে পুরুষদের তুলনায় কম সক্ষম। তারা কি পুরুষদের তুলনায় কম কাজ করছে? তাহলে নারীদের কম মজুরি দেয়ার কারণ কী? সংশ্লিষ্টদের কেউ কেউ বলছেন, নারীশ্রমিকরা গাছে চড়তে পারে না, এজন্য মজুরি কম। লিচু গণনা বা বাছাইয়ের সঙ্গে গাছে চড়ার কী সম্পর্ক সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। আর সম্পর্ক যদিও থাকেও তবুও প্রশ্ন ওঠে যে, শুধু গাছে চড়তে না জানার কারণে পুরুষ কর্মীর তুলনায় নারীর মজুরির ব্যবধান কি প্রতিদিন গড়ে তিনশ’ টাকা হতে পারে।

শুধু ঈশ্বরদীতেই নয়, দেশের অন্যান্য এলাকায়ও নারীশ্রমিকরা মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়। সক্ষমতা বা দক্ষতায় কমতি নেই, পুরুষ সহকর্মীর সমান কাজ করেন এমন নারীও তুলনামূলকভাবে ঢের কম মজুরি বা পারিশ্রমিক পান। কোন কোন ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় নারীদেরকেই বেশি পরিশ্রম করতে দেখা যায়। অথচ সংশ্লিষ্টরা মজুরি দেয়ার সময় নারীদের ন্যায্য পাওনা দিচ্ছেন না।

নারীর উন্নয়ন-অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে তাদের আর্থিক বঞ্চনা দূর করতে হবে। মজুরি বৈষম্য মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। বিশেষ করে মালিক শ্রেণীর মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা গেলে নারীশ্রমিকদের বঞ্চনা দূর হতে পারে।

নারীশ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। সরকার নীতিগতভাবে নারী-পুরুষের মধ্যে সাম্য দেখতে চায়। বাস্তব ক্ষেত্রে এই নীতি বাস্তবায়নে সমস্যাগুলো কী, সেটা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top