alt

মতামত » সম্পাদকীয়

খাল অবৈধ দখলমুক্ত করুন

: বুধবার, ০৮ জুন ২০২২

যশোরের কেবপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক খালে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাছ চাষ করে আসছেন। ফলে শুষ্ক মৌসুমে একদিকে যেমন কৃষকের সেচের পানির সংকট দেখা দিচ্ছে, অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের চাষাবাদ, নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার জনসাধারণের। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দখলের কারণে প্রকৃতি-পরিবেশ বা স্থানীয় জনসাধারণের কী ক্ষতি হলো সেটা দখলদাররা ভাবেন না। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এতগুলো খাল দখল হয়ে আছে, অথচ সেটি দেখার কেউ নেই। দেশের আরও অনেক এলাকায়ও এমন দখলের অভিযোগ মেলে। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি জেগে জেগে ঘুমায়। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার ওপর দিয়ে সরকারি খাল দখল করে রাখা হয় অথচ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এর কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। সরকার কৃষি কাজে সেচের জন্যে বিদ্যুৎ সংযোগসহ ভর্তুকি দিচ্ছে। সেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ঘের মালিকরা মাছ চাষ করছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

সারাদেশেই খাল বা জলাশয় দখলের মহোসৎব চলছে। যার যেমন খুশি সে তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে। সারাদেশ যেন এখন ‘জলাশয় বৈরী’ দেশে পরিণত হয়েছে। কোন জলাশয় রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে সেটা ঘটে, যেমনটা ঘটেছে যশোরের কেশবপুরে। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল বা ভরাটের শিকার হতে পারে না।

কেশবপুরের খালগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে। দখলমুক্ত হওয়ার পর পুনর্দখল যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এটা দেশের সব খাল ও জলাশয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যে বা যারা এসব দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

খাল অবৈধ দখলমুক্ত করুন

বুধবার, ০৮ জুন ২০২২

যশোরের কেবপুর উপজেলার অর্ধশতাধিক খালে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে মাছ চাষ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা মাছ চাষ করে আসছেন। ফলে শুষ্ক মৌসুমে একদিকে যেমন কৃষকের সেচের পানির সংকট দেখা দিচ্ছে, অন্যদিকে বর্ষা মৌসুমে দেখা দিচ্ছে জলাবদ্ধতা। ব্যাহত হচ্ছে কৃষকের চাষাবাদ, নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকার জনসাধারণের। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দখলের কারণে প্রকৃতি-পরিবেশ বা স্থানীয় জনসাধারণের কী ক্ষতি হলো সেটা দখলদাররা ভাবেন না। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে এতগুলো খাল দখল হয়ে আছে, অথচ সেটি দেখার কেউ নেই। দেশের আরও অনেক এলাকায়ও এমন দখলের অভিযোগ মেলে। প্রশ্ন হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি জেগে জেগে ঘুমায়। কর্তৃপক্ষের নাকের ডগার ওপর দিয়ে সরকারি খাল দখল করে রাখা হয় অথচ এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এর কারণ কী সেটা আমরা জানতে চাইব। সরকার কৃষি কাজে সেচের জন্যে বিদ্যুৎ সংযোগসহ ভর্তুকি দিচ্ছে। সেই ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে ঘের মালিকরা মাছ চাষ করছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।

সারাদেশেই খাল বা জলাশয় দখলের মহোসৎব চলছে। যার যেমন খুশি সে তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে। সারাদেশ যেন এখন ‘জলাশয় বৈরী’ দেশে পরিণত হয়েছে। কোন জলাশয় রাতারাতি দখল বা ভরাট হয়ে যেতে পারে না। দীর্ঘ সময় ধরে সেটা ঘটে, যেমনটা ঘটেছে যশোরের কেশবপুরে। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল বা ভরাটের শিকার হতে পারে না।

কেশবপুরের খালগুলোকে দখলমুক্ত করতে হবে। দখলমুক্ত হওয়ার পর পুনর্দখল যেন না হয় সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এটা দেশের সব খাল ও জলাশয়ের ক্ষেত্রেও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। যে বা যারা এসব দখলের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top