alt

সম্পাদকীয়

শিশু নিপীড়ন রোধের দায়িত্ব নিত হবে সমাজকে

: শনিবার, ১১ জুন ২০২২

শিশুরা ঘরের বাইরে যতটা নির্যাতিত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে নিজ ঘরে। শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেশি শিশু ঘরে নির্যাতিত হচ্ছে। নিপীড়ন-নির্যাতনের সঙ্গে অভিভাবক ও স্বজনরাই যুক্ত থাকেন। একটি বেসরকারি সংস্থার ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ শীর্ষক জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জরিপ থেকে জানা গেছে, মেয়ে শিশু নির্যাতনের হার শতকরা ৯৬ দশমিক ২ আর ছেলে শিশু নির্যাতনের হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৫। নির্যাতিতদের মধ্যে ৫৫ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুরা বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। নিজ ঘরের বাইরেও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আপন ঘরে কেন শিশুরা নিরাপদ নয়, অভিভাবক বা স্বজনদের মাধ্যমেই কেন তারা নির্যাতিত হচ্ছে। সমাজতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিকরা এর উত্তর খুঁজে দেখতে পারেন। তবে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, অনেক পরিবারই শিশুকে শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য শাস্তি দেয়ার পন্থাকে বেছে নেয়। আদর-ভালোবাসা দিয়েও যে শিশুদের সুশৃঙ্খল বা নিয়মানুবর্তী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেটা অনেকের ধারণাতেই নেই অথবা থাকলেও তারা সেটা মানেন না বা চর্চা করতে চান না। আবার শিশুর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্বজনদের কেউ কেউ যৌন নিপীড়ন করেন।

শিশু নির্যাতন বন্ধে দেশে আইন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, ঘরে নির্যাতিত শিশুর পক্ষে আইনের আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়। অভিভাবক যদি নির্যাতন করেন তাহলে শিশুর পক্ষ হয়ে আইনি প্রতিকার চাইবেন কে। মা-বাবা ভিন্ন অন্য কেউ শিশু নিপীড়ন বা যৌন হয়রানি করলে অনেকেই সেই ঘটনা আড়াল করেন। এজন্য দায়ী পারিবারিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজে নির্যাতিত-নিপীড়িতকেই দোষী ভাবা হয়।

শিশুকে সব ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে হলে আগে পরিবারগুলোকে বদলাতে হবে। আর কাজটা মোটেও সহজ নয়। পরিবার বদলানোর দায়িত্ব কে নেবে? এই দায়িত্ব নিতে হবে সমাজকে। সমাজ যদি সভ্য হতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই শিশু নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। কোন শিশুকে তারা বাবা-মা নির্যাতন করলে সমাজকেই তার কৈফিয়ত চাইতে হবে। শিশুকে শাস্তি দেয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করে আদর-ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করা জরুরি। কাজটি করতে হবে সমাজের সদস্যদের। তাদের এজন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিশু নিপীড়ক যেই হোক না কেন তাকে তার কৃতকর্মের জন্য সাজার ব্যবস্থা করতে হবে, নিদেনপক্ষে বয়কট করতে হবে।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

শিশু নিপীড়ন রোধের দায়িত্ব নিত হবে সমাজকে

শনিবার, ১১ জুন ২০২২

শিশুরা ঘরের বাইরে যতটা নির্যাতিত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি নির্যাতিত হচ্ছে নিজ ঘরে। শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেশি শিশু ঘরে নির্যাতিত হচ্ছে। নিপীড়ন-নির্যাতনের সঙ্গে অভিভাবক ও স্বজনরাই যুক্ত থাকেন। একটি বেসরকারি সংস্থার ‘বাংলাদেশে শিশুর প্রতি সহিংসতা পরিস্থিতি’ শীর্ষক জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জরিপ থেকে জানা গেছে, মেয়ে শিশু নির্যাতনের হার শতকরা ৯৬ দশমিক ২ আর ছেলে শিশু নির্যাতনের হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৫। নির্যাতিতদের মধ্যে ৫৫ ভাগ যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। মেয়ে শিশুর চেয়ে ছেলে শিশুরা বেশি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে। নিজ ঘরের বাইরেও শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, আপন ঘরে কেন শিশুরা নিরাপদ নয়, অভিভাবক বা স্বজনদের মাধ্যমেই কেন তারা নির্যাতিত হচ্ছে। সমাজতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিকরা এর উত্তর খুঁজে দেখতে পারেন। তবে সাধারণভাবে ধারণা করা হয়, অনেক পরিবারই শিশুকে শৃঙ্খলা শেখানোর জন্য শাস্তি দেয়ার পন্থাকে বেছে নেয়। আদর-ভালোবাসা দিয়েও যে শিশুদের সুশৃঙ্খল বা নিয়মানুবর্তী মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা যায় সেটা অনেকের ধারণাতেই নেই অথবা থাকলেও তারা সেটা মানেন না বা চর্চা করতে চান না। আবার শিশুর অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে স্বজনদের কেউ কেউ যৌন নিপীড়ন করেন।

শিশু নির্যাতন বন্ধে দেশে আইন রয়েছে। সমস্যা হচ্ছে, ঘরে নির্যাতিত শিশুর পক্ষে আইনের আশ্রয় নেয়া সম্ভব নয়। অভিভাবক যদি নির্যাতন করেন তাহলে শিশুর পক্ষ হয়ে আইনি প্রতিকার চাইবেন কে। মা-বাবা ভিন্ন অন্য কেউ শিশু নিপীড়ন বা যৌন হয়রানি করলে অনেকেই সেই ঘটনা আড়াল করেন। এজন্য দায়ী পারিবারিক ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি। সমাজে নির্যাতিত-নিপীড়িতকেই দোষী ভাবা হয়।

শিশুকে সব ধরনের নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে হলে আগে পরিবারগুলোকে বদলাতে হবে। আর কাজটা মোটেও সহজ নয়। পরিবার বদলানোর দায়িত্ব কে নেবে? এই দায়িত্ব নিতে হবে সমাজকে। সমাজ যদি সভ্য হতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই শিশু নিপীড়নের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। কোন শিশুকে তারা বাবা-মা নির্যাতন করলে সমাজকেই তার কৈফিয়ত চাইতে হবে। শিশুকে শাস্তি দেয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করে আদর-ভালোবাসায় উদ্বুদ্ধ করা জরুরি। কাজটি করতে হবে সমাজের সদস্যদের। তাদের এজন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিশু নিপীড়ক যেই হোক না কেন তাকে তার কৃতকর্মের জন্য সাজার ব্যবস্থা করতে হবে, নিদেনপক্ষে বয়কট করতে হবে।

back to top