alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

: বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

বন্যার কারণে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে নলকূপ তলিয়ে গেছে। মিলছে না বিশুদ্ধ পানি। রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় খাবারের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু-পাখির আশ্রয় ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। রৌমারীর বন্যার্ত মানুষরা অভিযোগ করেছেন যে, তারা এখনো কোন ত্রাণ বা সাহায্য পাননি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও অতিবৃষ্টির কারণে রৌমারী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। এতে ৪৯টি গ্রামের বহু ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। অনেক কাঁচাপাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রৌমারীর মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৩৭টি বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গেছে। এসব বিদ্যালয়ে এখন পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বন্যা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আগাম প্রস্তুতি ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। আগাম ব্যবস্থা নেয়া হলে রৌমারীর মানুষকে খাবার ও পানির কষ্ট করতে হতো না। বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করতে হবে। ত্রাণ বিতরণে যে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে শক্ত হাতে। রৌমারির মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না। তাদের পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। এ সময় পানিবাহী রোগের শঙ্কা থাকে। ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। গবাদিপশু-পাখির কথা ভুললে চলবে না। তাদের আশ্রয় ও খাবার ব্যবস্থা করা দরকার।

বন্যার্তদের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও দরকার। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন ত্রাণ পান সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

বন্যাপরবর্তী দ্রুত পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। যেসব মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। কৃষক ও খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

বুধবার, ১৫ জুন ২০২২

বন্যার কারণে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। বন্যার পানিতে নলকূপ তলিয়ে গেছে। মিলছে না বিশুদ্ধ পানি। রান্নাঘর ডুবে যাওয়ায় খাবারের ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। গবাদিপশু-পাখির আশ্রয় ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। রৌমারীর বন্যার্ত মানুষরা অভিযোগ করেছেন যে, তারা এখনো কোন ত্রাণ বা সাহায্য পাননি। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ ভারতের আসাম রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও অতিবৃষ্টির কারণে রৌমারী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। এতে ৪৯টি গ্রামের বহু ফসল তলিয়ে গেছে, ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। অনেক কাঁচাপাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় রৌমারীর মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলার ৩৭টি বিদ্যালয় পানিতে ডুবে গেছে। এসব বিদ্যালয়ে এখন পাঠদান বন্ধ রয়েছে।

বন্যা মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আগাম প্রস্তুতি ছিল কিনা সেটা একটা প্রশ্ন। আগাম ব্যবস্থা নেয়া হলে রৌমারীর মানুষকে খাবার ও পানির কষ্ট করতে হতো না। বন্যাদুর্গত মানুষের মধ্যে দ্রুত ত্রাণ বিতরণ করতে হবে। ত্রাণ বিতরণে যে কোন অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে শক্ত হাতে। রৌমারির মানুষ সুপেয় পানি পাচ্ছে না। তাদের পানি বিশুদ্ধকরণ সরঞ্জাম সরবরাহ করতে হবে। এ সময় পানিবাহী রোগের শঙ্কা থাকে। ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগের প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রীর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করাও জরুরি। গবাদিপশু-পাখির কথা ভুললে চলবে না। তাদের আশ্রয় ও খাবার ব্যবস্থা করা দরকার।

বন্যার্তদের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও দরকার। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ যেন ত্রাণ পান সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াবে সেটা আমাদের আশা।

বন্যাপরবর্তী দ্রুত পুনর্বাসনের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই। যেসব মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে হবে। কৃষক ও খামারিদের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top