মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফেরিঘাটের উত্তরদিকে বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত এলাকার অন্তত পাঁচটি ভেকু দিয়ে প্রতি রাতেই চলে এ মাটি কাটা। বর্ষার শুরুর দিকে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার ফলে ফেরিঘাট ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযুক্তরা বলছে, আমরা যার যার বিটে মাটি কাটছি, রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা যায়। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, অবৈধ মাটি কাটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। উপজেলা প্রশাসন বলেছে, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বৈধভাবে বা রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা হলে রাতের আঁধারে কাটার দরকার কি। আর মাটি কাটার যদি বৈধতাই থাকে তাহলে বিআইডব্লিউটিএসহ স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার কথাই বা বলবে কেন? একদিকে বলা হচ্ছে রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটছি, অন্যদিকে বলা হচ্ছে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন সব কথার ‘ফাঁকে’ যমুনার তীরের মাটি কেটে উজাড় করা হচ্ছে। নদীর প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, অবকাঠামোসহ জনসাধারণকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
দিনের পর দিন এলাকার চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী মাটি কেটে নিচ্ছে, অথচ তাদের ধরা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতের বেলায় আমরা যাওয়ার আগেই ওরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পালিয়ে যায় কীভাবে, আর পালিয়ে থাকে কোথায়। তাদের কী আর হদিস পাওয়া যায় না? মাটি কাটা তো অদৃশ্য কোন কাজ নয়, যে এটা চোখে দেখা যায় না। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।
শুধু পাটুরিয়া নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ই এভাবে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। অনেক জায়গাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পাটুরিয়াতেও এমন কোন যোগসাজশ আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। ব্যবস্থা নিচ্ছি, অভিযান অব্যাহত আছে-এমন গতানুগতিক কথা না বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর তীরে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটের যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রাতের আঁধারে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফেরিঘাটের উত্তরদিকে বিআইডব্লিউটিএর নির্ধারিত এলাকার অন্তত পাঁচটি ভেকু দিয়ে প্রতি রাতেই চলে এ মাটি কাটা। বর্ষার শুরুর দিকে এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটার ফলে ফেরিঘাট ভাঙনের কবলে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অভিযুক্তরা বলছে, আমরা যার যার বিটে মাটি কাটছি, রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা যায়। বিআইডব্লিউটিএ জানিয়েছে, অবৈধ মাটি কাটার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। উপজেলা প্রশাসন বলেছে, বিআইডব্লিউটিএসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রশ্ন হচ্ছে, বৈধভাবে বা রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটা হলে রাতের আঁধারে কাটার দরকার কি। আর মাটি কাটার যদি বৈধতাই থাকে তাহলে বিআইডব্লিউটিএসহ স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার কথাই বা বলবে কেন? একদিকে বলা হচ্ছে রয়্যালিটি দিয়ে মাটি কাটছি, অন্যদিকে বলা হচ্ছে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এমন সব কথার ‘ফাঁকে’ যমুনার তীরের মাটি কেটে উজাড় করা হচ্ছে। নদীর প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে, অবকাঠামোসহ জনসাধারণকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়া হচ্ছে।
দিনের পর দিন এলাকার চিহ্নিত কিছু প্রভাবশালী মাটি কেটে নিচ্ছে, অথচ তাদের ধরা যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসন বলছে, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে রাতের বেলায় আমরা যাওয়ার আগেই ওরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা পালিয়ে যায় কীভাবে, আর পালিয়ে থাকে কোথায়। তাদের কী আর হদিস পাওয়া যায় না? মাটি কাটা তো অদৃশ্য কোন কাজ নয়, যে এটা চোখে দেখা যায় না। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ।
শুধু পাটুরিয়া নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায়ই এভাবে নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। অনেক জায়গাতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে দুর্বৃত্তদের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পাটুরিয়াতেও এমন কোন যোগসাজশ আছে কিনা সেটা একটা প্রশ্ন।
অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। ব্যবস্থা নিচ্ছি, অভিযান অব্যাহত আছে-এমন গতানুগতিক কথা না বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নদীর তীরে নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে।