alt

মতামত » সম্পাদকীয়

চিংড়ি পোনা নিধন প্রসঙ্গে

: শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন নদীসহ উপকূলজুড়ে মশারি জাল দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি পোনা। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এ পোনা ধরা হয় বলে জানা গেছে। এতে চিংড়ির পাশাপাশি কয়েকশ’ জাতের সামুদ্রিক প্রাণীর পোনা মারা পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে উপকূলীয় নদীসহ বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে ৪৬২টি প্রজাতির মাছের পোনা নষ্ট করছে জেলেরা। এতে বঙ্গোপসাগরের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। একটি পোনার হিসাব থেকেই বোঝা যায় এর সামগ্রিক প্রভাব কতটা হতে পারে। শুধু মিরসরাইয়ে নয় বরং উপকূলের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন নদীতেই অবাধে চলে এমন পোনা নিধন।

চিংড়ি পোনা আহরণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার কোন কার্যকর প্রতিকার নেই। যদিও এটি বন্ধে আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। ২০০১ সালের মৎস্য পোনা আহরণ আইন অনুযায়ী সমুদ্র উপকূল থেকে চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন প্রজনন মৌসুম। এ সময়টাতে নদীতে মাছ ধরার প্রতিও রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আইন ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোকবল সংকটের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। যেমনটা জানিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। অবৈধভাবে চিংড়ি পোনা আহরণের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার।

শুধু মিরসরাইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই নয় বরং সারাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উত্তর একই রকম। প্রয়োজনীয় সামর্থ্যরে অভাব রয়েছে, লোকবল সংকট, এ বিষয়ে অবগত নই, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অভিযান চালানো হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে- ইত্যাদি গতানুগতিক বা মুখস্ত কিছু উত্তর দিয়ে থাকেন তারা। কার্যকর কিংবা স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না- লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ বা অভিযান ছাড়া।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে জনবল বা সামর্থ্য আছে তার সঠিক ব্যবহার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করছে কিনা। তা ব্যবহার করে যদি একটি পোনাও রক্ষা করা যেত তাহলেও সমুদ্র উপকূলের প্রায় ৪৬২ প্রজাতির পোনা রক্ষা পেত। নাকি একটি চিংড়ির পোনা রক্ষা করার মতো জনবল বা সামর্থ্যও তাদের নেই?

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

চিংড়ি পোনা নিধন প্রসঙ্গে

শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন নদীসহ উপকূলজুড়ে মশারি জাল দিয়ে অবাধে ধরা হচ্ছে চিংড়ি পোনা। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত এ পোনা ধরা হয় বলে জানা গেছে। এতে চিংড়ির পাশাপাশি কয়েকশ’ জাতের সামুদ্রিক প্রাণীর পোনা মারা পড়ছে। নষ্ট হচ্ছে উপকূলীয় নদীসহ বঙ্গোপসাগরের জীববৈচিত্র্য। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি চিংড়ি পোনা সংগ্রহ করতে গিয়ে ৪৬২টি প্রজাতির মাছের পোনা নষ্ট করছে জেলেরা। এতে বঙ্গোপসাগরের মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। একটি পোনার হিসাব থেকেই বোঝা যায় এর সামগ্রিক প্রভাব কতটা হতে পারে। শুধু মিরসরাইয়ে নয় বরং উপকূলের প্রতিটি জেলার বিভিন্ন নদীতেই অবাধে চলে এমন পোনা নিধন।

চিংড়ি পোনা আহরণে যে ক্ষতি হচ্ছে তার কোন কার্যকর প্রতিকার নেই। যদিও এটি বন্ধে আইন আছে কিন্তু তার প্রয়োগ নেই। ২০০১ সালের মৎস্য পোনা আহরণ আইন অনুযায়ী সমুদ্র উপকূল থেকে চিংড়ি পোনা ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এখন প্রজনন মৌসুম। এ সময়টাতে নদীতে মাছ ধরার প্রতিও রয়েছে সরকারি নিষেধাজ্ঞা। আইন ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে উপকূলীয় এলাকায় প্রতিদিনই লাখ লাখ চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। অথচ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লোকবল সংকটের কথা জানান সংশ্লিষ্টরা। যেমনটা জানিয়েছেন মিরসরাই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা। অবৈধভাবে চিংড়ি পোনা আহরণের বিষয়ে অবগত নন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কোস্টগার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার।

শুধু মিরসরাইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই নয় বরং সারাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উত্তর একই রকম। প্রয়োজনীয় সামর্থ্যরে অভাব রয়েছে, লোকবল সংকট, এ বিষয়ে অবগত নই, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, অভিযান চালানো হবে, ব্যবস্থা নেওয়া হবে- ইত্যাদি গতানুগতিক বা মুখস্ত কিছু উত্তর দিয়ে থাকেন তারা। কার্যকর কিংবা স্থায়ী কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না- লোক দেখানো কিছু পদক্ষেপ বা অভিযান ছাড়া।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে জনবল বা সামর্থ্য আছে তার সঠিক ব্যবহার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ করছে কিনা। তা ব্যবহার করে যদি একটি পোনাও রক্ষা করা যেত তাহলেও সমুদ্র উপকূলের প্রায় ৪৬২ প্রজাতির পোনা রক্ষা পেত। নাকি একটি চিংড়ির পোনা রক্ষা করার মতো জনবল বা সামর্থ্যও তাদের নেই?

back to top