alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পাহাড় ধসে মৃত্যু থামবে কবে

: সোমবার, ২০ জুন ২০২২

গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও ফয়’স লেকের বিজয় নগর এলাকায় পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।

এক হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালে। সেবার ১২৭ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

পাহাড় ধসের প্রধান কারণ পাহাড়ি বন, নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলা। আবার প্রভাবশালী মহলও পাহাড় কেটে বাড়িঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়ে থাকে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশের মাটি কেটে বসতি স্থাপন করে হতদরিদ্র অনেকেই সেখানে বসবাস করে।

পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন পাহাড় ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও তা কাটার সুযোগ নেই। তা ছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে কোনো বসতি স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে বহু মানুষ বসবাস করছে। অথচ এ ব্যাপারে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন নজির নেই। ফলে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলাগুলোয় পাহাড় কাটা, অবৈধ স্থাপনা ও বসতি নির্মাণ বন্ধ হয়নি।

চট্টগ্রাম নগরে ৩৪ পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। এর মধ্যে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। সেখানে বসবাসকারীরা বলছেন, শুধু ভারি বৃষ্টি হলেই তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পরে আর খবর থাকে না।

পাহাড়ে বসবাসকারীদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কোন উদ্যোগও দেখা যায় না। প্রতি বছরই বর্ষার আগে প্রশাসনের তোড়জোড় শুরু হয় পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নিয়ে। কয়েক বছর ধরে চলছে একই কাজ- পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, মাইকিং করা এবং কিছু বসতি উচ্ছেদসহ ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। অস্থায়ী এই ব্যবস্থা নিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে প্রশাসন।

আমরা মনে করি, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরানোর স্থায়ী উদ্যোগ নিতে হবে। অস্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে পাহাড় ধসে প্রাণহানি এড়ানো যাবে না। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি হবে, পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটবে। পাহাড় ধসে এবার যেন হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি পাহাড় ধসের ২৮টি কারণ নির্ণয় করেছিল। পাহাড়ধস রোধে ৩৬ দফা সুপরিশও প্রণয়ন করেছিল সেই কমিটি। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় পার হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পাহাড় কাটা রোধে কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পাহাড় ধসে মৃত্যু থামবে কবে

সোমবার, ২০ জুন ২০২২

গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানার বরিশাল ঘোনা ও ফয়’স লেকের বিজয় নগর এলাকায় পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।

এক হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালে। সেবার ১২৭ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।

পাহাড় ধসের প্রধান কারণ পাহাড়ি বন, নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলা। আবার প্রভাবশালী মহলও পাহাড় কেটে বাড়িঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়ে থাকে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশের মাটি কেটে বসতি স্থাপন করে হতদরিদ্র অনেকেই সেখানে বসবাস করে।

পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন পাহাড় ব্যক্তিগত সম্পত্তি হলেও তা কাটার সুযোগ নেই। তা ছাড়া পাহাড়ের পাদদেশে কোনো বসতি স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ের পাদদেশে বহু মানুষ বসবাস করছে। অথচ এ ব্যাপারে কঠোর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, এমন নজির নেই। ফলে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলাগুলোয় পাহাড় কাটা, অবৈধ স্থাপনা ও বসতি নির্মাণ বন্ধ হয়নি।

চট্টগ্রাম নগরে ৩৪ পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি। এর মধ্যে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৭টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। সেখানে বসবাসকারীরা বলছেন, শুধু ভারি বৃষ্টি হলেই তাদের সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। পরে আর খবর থাকে না।

পাহাড়ে বসবাসকারীদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের কোন উদ্যোগও দেখা যায় না। প্রতি বছরই বর্ষার আগে প্রশাসনের তোড়জোড় শুরু হয় পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ বসতি নিয়ে। কয়েক বছর ধরে চলছে একই কাজ- পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা, মাইকিং করা এবং কিছু বসতি উচ্ছেদসহ ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। অস্থায়ী এই ব্যবস্থা নিয়েই দায়িত্ব শেষ করছে প্রশাসন।

আমরা মনে করি, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি সরানোর স্থায়ী উদ্যোগ নিতে হবে। অস্থায়ী ব্যবস্থা নিয়ে পাহাড় ধসে প্রাণহানি এড়ানো যাবে না। বর্ষার মৌসুমে বৃষ্টি হবে, পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটবে। পাহাড় ধসে এবার যেন হতাহতের ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি পাহাড় ধসের ২৮টি কারণ নির্ণয় করেছিল। পাহাড়ধস রোধে ৩৬ দফা সুপরিশও প্রণয়ন করেছিল সেই কমিটি। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় পার হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পাহাড় কাটা রোধে কমিটির সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

back to top