alt

মতামত » সম্পাদকীয়

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক

: মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়েছে গড়ে প্রায় ১৬ ডলার। যে কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতিদিন শত কোটি টাকার উপর লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার।

জ্বালানি তেলে দাম আবারও বাড়তে পারে এমন খবরে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তেলের দাম বাড়া মানে জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়া। ডিজেলের দাম বাড়লে কৃষি খাতে সেচ খরচ বাড়বে। ফলে বাড়বে উৎপাদন খরচ। এর ঘানি শেষ পর্যন্ত ভোক্তাসাধারণকেই টানতে হয়।

গাড়ি ভাড়া বাড়বে। ফলে পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতের খরচ বেড়ে যাবে। তেলের দাম বাড়াতে না বাড়াতেই গণপরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করেন। এ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তেলের দাম বাড়ায় বিপিসিকে এখন বাড়তি পয়সা ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বাড়তি ব্যয় কোথা থেকে হচ্ছে। সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সঙ্গে ব্যবসা করছে কিনা।

এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, বিপিসি আসলে লোকসান করছে না, তার মুনাফা কমছে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ভার কতদিন সংস্থাটি বইতে পারবে সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে সরকারের এই লক্ষ্য পূরণ হবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়।

বিপিসিকে প্রতিদিন শতকোটি টাকার লোকসান থেকে রক্ষা করতে হলে জনগণের ঘাড়ে যে পরিমাণ বোঝা চাপাতে হবে তার আর্থিক মূল্য কী সেটাও ভেবে দেখতে হবে। সরাসরি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে কী প্রভাব পড়বে, তেলের দাম না বাড়িয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিলে কী লাভ-ক্ষতি তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিবেচনা করে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সেটা আমাদের আশা। এজন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে বিতর্ক

মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

দেশে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এক মাসের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি বেড়েছে গড়ে প্রায় ১৬ ডলার। যে কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতিদিন শত কোটি টাকার উপর লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার।

জ্বালানি তেলে দাম আবারও বাড়তে পারে এমন খবরে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তেলের দাম বাড়া মানে জীবনযাত্রার ব্যয় আরেক দফা বাড়া। ডিজেলের দাম বাড়লে কৃষি খাতে সেচ খরচ বাড়বে। ফলে বাড়বে উৎপাদন খরচ। এর ঘানি শেষ পর্যন্ত ভোক্তাসাধারণকেই টানতে হয়।

গাড়ি ভাড়া বাড়বে। ফলে পণ্য পরিবহন ও বাজারজাতের খরচ বেড়ে যাবে। তেলের দাম বাড়াতে না বাড়াতেই গণপরিবহন মালিকরা ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারকে চাপ দেন। নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য জনগণকে জিম্মি করে ধর্মঘট করেন। এ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ার কারণ হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তেলের দাম বাড়ায় বিপিসিকে এখন বাড়তি পয়সা ব্যয় করতে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বাড়তি ব্যয় কোথা থেকে হচ্ছে। সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি ২০১৪-১৫ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে, প্রতিষ্ঠানটি জনগণের সঙ্গে ব্যবসা করছে কিনা।

এই মুহূর্তে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করছেন অনেকে। কেউ কেউ বলছেন, বিপিসি আসলে লোকসান করছে না, তার মুনাফা কমছে। তবে যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ভার কতদিন সংস্থাটি বইতে পারবে সেটাও একটা প্রশ্ন। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ালে সরকারের এই লক্ষ্য পূরণ হবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়।

বিপিসিকে প্রতিদিন শতকোটি টাকার লোকসান থেকে রক্ষা করতে হলে জনগণের ঘাড়ে যে পরিমাণ বোঝা চাপাতে হবে তার আর্থিক মূল্য কী সেটাও ভেবে দেখতে হবে। সরাসরি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে কী প্রভাব পড়বে, তেলের দাম না বাড়িয়ে বিকল্প কোন ব্যবস্থা নিলে কী লাভ-ক্ষতি তা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার-বিবেচনা করে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে সেটা আমাদের আশা। এজন্য সব স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি।

back to top