alt

opinion » editorial

কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নামে হরিলুট

: বুধবার, ২২ জুন ২০২২

নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সারা দেশেই কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অধীনে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয়েছে ছয়টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব। এসব কেন্দ্র ক্লাব পরিচালনায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকেই অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না, নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেন না। শিশুদের নিম্নমানের খাবার দেয়া হচ্ছে। এতে করে সরকারের মূল লক্ষ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। কিশোর-কিশোরী ক্লাব কার্যক্রমের নামে টাকা হরিলুট করা হচ্ছে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিত্তিতে এমন উদ্যোগ প্রশংসারযোগ্য। কিন্তু এতে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখা গেছে তাতে আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কিশোর-কিশোরীদের সুবিধা দেয়াসহ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার যে উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, অথচ রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট হচ্ছে ঠিকই।

যাদের দিয়ে এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার কথা, তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তা মাঠে মারা যেতে বসেছে। এখন অনিয়ম ও দুর্নীতি সর্বক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কোন খাত নেই যেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কালো ছায়া পড়েনি।

এটা শুধু সৈয়দপুরের চিত্র নয় বরং সারা দেশেরই চিত্র বলেই আমরা মনে করি। শুধু যে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাট হচ্ছে তা নয় বরং প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তথ্য আপা কার্যক্রমসহ সব ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে।

সরকার ভালো ভালো অনেক উদ্যোগ নেয় কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তা ভেস্তে যায়। অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করা না গেলে যত প্রকল্প নেয়া হোক না কেন, এর সুফল মিলবে না। আমরা বলতে চাই, সৈয়দপুরে কিশোর-কিশোরী ক্লাব নিয়ে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নেয়া হোক। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

কিশোর-কিশোরী ক্লাবের নামে হরিলুট

বুধবার, ২২ জুন ২০২২

নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কিশোর-কিশোরীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সারা দেশেই কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের অধীনে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গড়ে তোলা হয়েছে ছয়টি কিশোর-কিশোরী ক্লাব। এসব কেন্দ্র ক্লাব পরিচালনায় নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, শুরু থেকেই অদক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকরা নিয়মিত আসেন না, নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দেন না। শিশুদের নিম্নমানের খাবার দেয়া হচ্ছে। এতে করে সরকারের মূল লক্ষ্য ভেস্তে যেতে বসেছে। কিশোর-কিশোরী ক্লাব কার্যক্রমের নামে টাকা হরিলুট করা হচ্ছে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধসহ বিভিন্ন লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরী ক্লাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ভিত্তিতে এমন উদ্যোগ প্রশংসারযোগ্য। কিন্তু এতে যে অনিয়ম ও দুর্নীতি দেখা গেছে তাতে আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। কিশোর-কিশোরীদের সুবিধা দেয়াসহ সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার যে উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, অথচ রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট হচ্ছে ঠিকই।

যাদের দিয়ে এ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার কথা, তাদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তা মাঠে মারা যেতে বসেছে। এখন অনিয়ম ও দুর্নীতি সর্বক্ষেত্রে একটি প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন কোন খাত নেই যেখানে অনিয়ম ও দুর্নীতির কালো ছায়া পড়েনি।

এটা শুধু সৈয়দপুরের চিত্র নয় বরং সারা দেশেরই চিত্র বলেই আমরা মনে করি। শুধু যে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি-লুটপাট হচ্ছে তা নয় বরং প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কর্যক্রম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে তথ্য আপা কার্যক্রমসহ সব ক্ষেত্রেই এমনটা হচ্ছে।

সরকার ভালো ভালো অনেক উদ্যোগ নেয় কিন্তু অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে তা ভেস্তে যায়। অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করা না গেলে যত প্রকল্প নেয়া হোক না কেন, এর সুফল মিলবে না। আমরা বলতে চাই, সৈয়দপুরে কিশোর-কিশোরী ক্লাব নিয়ে যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নেয়া হোক। সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হোক।

back to top