alt

opinion » editorial

বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে

: রোববার, ২৬ জুন ২০২২

সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি কমেছে, তবে সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরেছে। অভিযোগ উঠেছে, বন্যাদুর্গত অনেক মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত অনেক এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোই বেশি জরুরি। ত্রাণ না পেলে তাদের পক্ষে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় প্রায় দিনই লাখো মানুষকে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। এমনকি ত্রাণ শিবিরগুলোতেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আশ্রয়শিবিরের বাইরেও অসংখ্য মানুষ রয়ে গেছে।

দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে যেমন দুর্বলতা দেখা গেছে, তেমন কিছু অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কোন কোন এলাকায় একশ্রেণির মানুষ বরাদ্দের চেয়েও চার-পাঁচগুণ বেশি ত্রাণ পেয়েছে। যদিও প্রশ্ন রয়েছে যে, বন্যা দুর্গতদের প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা। ত্রাণ বিতরণে কোন কোন স্থানে বিশৃঙ্খলার খবর মিলেছে। ত্রাণ নিতে গিয়ে কোন কোন স্থানে দুর্গতরা আহত হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ত্রাণ বিতরণে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দুর্গম যেসব এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি তাদের কাছে জরুরিভিত্তিতে সাহায্য পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এবারের বন্যা বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের বন্যা অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। কাজেই সমস্যা-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যাজনিত রোগে ভুগছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। এসব মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। কোনো রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তারা যেন দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে যায় সেজন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত পুনর্বাসন করা দরকার। দরিদ্র যেসব মানুষের বসতভিটা থাকবার উপযোগিতা হারিয়েছে তাদের ঘর সংস্কারে সহায়তা দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট জরুরিভিত্তিতে মেরামত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে প্রস্তত করতে হবে; যাতে শিক্ষার্থীরা সেখানে পাঠ গ্রহণ করতে পারে। বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে

রোববার, ২৬ জুন ২০২২

সিলেট অঞ্চলে বন্যার পানি কমেছে, তবে সেখানকার মানুষের দুর্ভোগ শেষ হয়নি। অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরে ফিরেছে। অভিযোগ উঠেছে, বন্যাদুর্গত অনেক মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি। বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত অনেক এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোই বেশি জরুরি। ত্রাণ না পেলে তাদের পক্ষে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রয়োজনীয় খাদ্য সহায়তা না পাওয়ায় প্রায় দিনই লাখো মানুষকে অনাহারে-অর্ধাহারে থাকতে হয়েছে। এমনকি ত্রাণ শিবিরগুলোতেও খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, আশ্রয়শিবিরের বাইরেও অসংখ্য মানুষ রয়ে গেছে।

দুর্গম এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর কাজে যেমন দুর্বলতা দেখা গেছে, তেমন কিছু অব্যবস্থাপনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, কোন কোন এলাকায় একশ্রেণির মানুষ বরাদ্দের চেয়েও চার-পাঁচগুণ বেশি ত্রাণ পেয়েছে। যদিও প্রশ্ন রয়েছে যে, বন্যা দুর্গতদের প্রয়োজন অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কিনা। ত্রাণ বিতরণে কোন কোন স্থানে বিশৃঙ্খলার খবর মিলেছে। ত্রাণ নিতে গিয়ে কোন কোন স্থানে দুর্গতরা আহত হয়েছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ত্রাণ বিতরণে দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। দুর্গম যেসব এলাকার মানুষ প্রয়োজনীয় ত্রাণ পায়নি তাদের কাছে জরুরিভিত্তিতে সাহায্য পৌঁছাতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

এবারের বন্যা বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলের বন্যা অনেক বড় আকার ধারণ করেছে। কাজেই সমস্যা-সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বন্যাজনিত রোগে ভুগছে সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ। এসব মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করতে হবে। কোনো রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হলে তারা যেন দ্রুত চিকিৎসাকেন্দ্রে যায় সেজন্য তাদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা দরকার।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত পুনর্বাসন করা দরকার। দরিদ্র যেসব মানুষের বসতভিটা থাকবার উপযোগিতা হারিয়েছে তাদের ঘর সংস্কারে সহায়তা দিতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট জরুরিভিত্তিতে মেরামত করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুততম সময়ে প্রস্তত করতে হবে; যাতে শিক্ষার্থীরা সেখানে পাঠ গ্রহণ করতে পারে। বন্যাপরবর্তী পুনর্বাসন কাজে সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top