alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করুন

: রোববার, ২৬ জুন ২০২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলছেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের মারধর করা, বিছানাপত্র হলের বাইরে ফেলে দেয়া, ভয়ভীতি দেখানোর মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর এসব ঘটনার কুশীলব হিসেবে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দিকেই। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র এই রকম।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ আসে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। তাদের জন্য হলে আসন পাওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং সেটা প্রথমবর্ষ থেকেই। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যই রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে আসে। তাদের অনেকেরই শহরে কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই হলে আসন পাওয়া তাদের জন্য অতি আবশ্যক হয়ে ওঠে। আর এ সুযোগই নিয়ে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা হলে হলে সংকট তৈরি করে আসন বাণিজ্য করে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর প্রশাসনিকভাবে আসন বরাদ্দ দেয়া হয় না। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে আসন না পেয়ে দ্বারস্থ হয় হলের বড় ভাই, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের। তাদের শিকার হতে হয় রাজনৈতিক ‘বাধ্যবাধকতার’। ছাত্রনেতাদের নাম মুখস্ত করা, তাদের সালাম দেয়া, এমনকি মধ্যরাতে মিছিল থেকে শুরু করে আরও কিছু ‘নিয়মকানুন’ মানতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কেউ যদি এসব নিয়মকানুন না মানে তাহলে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার কথা বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রশাসনের। কিন্তু তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করে। যতদিন পর্যন্ত কোন ঘটনা জাতীয় ইস্যু না হয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে ততদিন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয় না। বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাগডে, হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম ও পলিটিক্যাল রুম সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসবের অবসান ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি বরং আরও বেড়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর প্রশাসন বলেছে, যারা এটা করেছে তারা ক্রিমিনাল। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। আমরা তাদের কথার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে, দলবাজি করতে নয়। তারা যেন প্রশাসনিকভাবেই হলের আসন পায়, কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করুন

রোববার, ২৬ জুন ২০২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলছেই। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আবদুল লতিফ হলের এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থীদের মারধর করা, বিছানাপত্র হলের বাইরে ফেলে দেয়া, ভয়ভীতি দেখানোর মতো ঘটনা প্রায়ই ঘটে। আর এসব ঘটনার কুশীলব হিসেবে অভিযোগের আঙুল ওঠে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দিকেই। শুধু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নয়, দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র এই রকম।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশ আসে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। তাদের জন্য হলে আসন পাওয়া সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এবং সেটা প্রথমবর্ষ থেকেই। কারণ তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্যই রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে আসে। তাদের অনেকেরই শহরে কোন আত্মীয়-স্বজন নেই। তাই হলে আসন পাওয়া তাদের জন্য অতি আবশ্যক হয়ে ওঠে। আর এ সুযোগই নিয়ে থাকেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা হলে হলে সংকট তৈরি করে আসন বাণিজ্য করে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন আর প্রশাসনিকভাবে আসন বরাদ্দ দেয়া হয় না। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে আসন না পেয়ে দ্বারস্থ হয় হলের বড় ভাই, ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের নেতাদের। তাদের শিকার হতে হয় রাজনৈতিক ‘বাধ্যবাধকতার’। ছাত্রনেতাদের নাম মুখস্ত করা, তাদের সালাম দেয়া, এমনকি মধ্যরাতে মিছিল থেকে শুরু করে আরও কিছু ‘নিয়মকানুন’ মানতে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। কেউ যদি এসব নিয়মকানুন না মানে তাহলে তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।

শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা দেখভাল করার কথা বিশ্বিবিদ্যালয়ের প্রশাসনের। কিন্তু তারা এসব দেখেও না দেখার ভান করে। যতদিন পর্যন্ত কোন ঘটনা জাতীয় ইস্যু না হয়, বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে ততদিন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয় না। বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাগডে, হলগুলোতে গণরুম, গেস্টরুম ও পলিটিক্যাল রুম সংস্কৃতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল। তখন ধারণা করা হয়েছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এসবের অবসান ঘটবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি বরং আরও বেড়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর প্রশাসন বলেছে, যারা এটা করেছে তারা ক্রিমিনাল। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছে। আমরা তাদের কথার বাস্তব প্রতিফলন দেখতে চাই। সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসে, দলবাজি করতে নয়। তারা যেন প্রশাসনিকভাবেই হলের আসন পায়, কোন ধরনের নির্যাতনের শিকার না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top