মেগাসিটি ঢাকার পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ শীর্ষক একটি খসড়া তৈরি করেছে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রবিধানমালা পাস হলে রাজধানীতে পথচারীদের পথ চলা সহজ ও নিরাপদ হবে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীর খুব কম সড়কই পথচারীবান্ধব। এখানে এমন অনেক সড়ক রয়েছে যেখানে যানবাহন চলাচল করাই দুরূহ। অনেক সড়কে নেই ফুটপাত। যদিও বুয়েটের এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ঢাকার সড়কে চলাচলকারী মানুষের ৩০ ভাগই পথচারী।
নিরাপদ সড়ক বা ফুটপাথ না থাকার মূল্য দিতে হচ্ছে পথচারীদেরকে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যান তার প্রায় ৭২ ভাগ হচ্ছেন পথচারী। ফুটপাতের অভাবে তারা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন। যে কারণে তারা দুর্ঘটনার মূল শিকারে পরিণত হচ্ছেন। আবার ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে বা দাঁড়িয়ে থেকেও দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। সেক্ষেত্রে পরিবহনই উঠে যায় ফুটপাতে। মোটরবাইক চলাচলের পথে পরিণত হয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ ফুটপাত। হকাররাও দখল করে রাখে অনেক সড়ক।
পথচারীবান্ধব ফুটপাতের দাবি দীর্ঘদিনের। ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ তৈরির উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। খসড়ায় অনেক ভালো ভালো কথাই বলা হয়েছে। তবে বিধি-বিধান করাই যথেষ্ট নয়। এর বাস্তবায়ন জরুরি। বিশেষ করে ঢাকার মতো সীমিত আয়তনের অথচ বিপুল জনসংখ্যার শহরে এর বাস্তবায়ন কতটা হবে সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। এখানে নতুন ফুটপাত তৈরি করার মতো জায়গার অভাব প্রকট। বিদ্যমান ফুটপাতগুলোও যদি রক্ষা করা যায়, এগুলোকে পথচারীদের জন্য নিরাপদ করা যায়, দখলমুক্ত রাখা যায় সেটাকেও একটা প্রাপ্তি বলে গণ্য করা যাবে।
আমরা আশা করব, একটি ভালো পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি ভালো প্রবিধানমালা তৈরি করা সম্ভব হবে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, পরিবহন ব্যবস্থাকে আইনি কাঠামোর অধীনে আনা। এটা করা সম্ভব হলে সড়ক-ফুটপাত সবকিছুকেই নিরাপদ করা সম্ভব হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২
মেগাসিটি ঢাকার পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ শীর্ষক একটি খসড়া তৈরি করেছে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রবিধানমালা পাস হলে রাজধানীতে পথচারীদের পথ চলা সহজ ও নিরাপদ হবে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীর খুব কম সড়কই পথচারীবান্ধব। এখানে এমন অনেক সড়ক রয়েছে যেখানে যানবাহন চলাচল করাই দুরূহ। অনেক সড়কে নেই ফুটপাত। যদিও বুয়েটের এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ঢাকার সড়কে চলাচলকারী মানুষের ৩০ ভাগই পথচারী।
নিরাপদ সড়ক বা ফুটপাথ না থাকার মূল্য দিতে হচ্ছে পথচারীদেরকে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যান তার প্রায় ৭২ ভাগ হচ্ছেন পথচারী। ফুটপাতের অভাবে তারা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন। যে কারণে তারা দুর্ঘটনার মূল শিকারে পরিণত হচ্ছেন। আবার ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে বা দাঁড়িয়ে থেকেও দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। সেক্ষেত্রে পরিবহনই উঠে যায় ফুটপাতে। মোটরবাইক চলাচলের পথে পরিণত হয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ ফুটপাত। হকাররাও দখল করে রাখে অনেক সড়ক।
পথচারীবান্ধব ফুটপাতের দাবি দীর্ঘদিনের। ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ তৈরির উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। খসড়ায় অনেক ভালো ভালো কথাই বলা হয়েছে। তবে বিধি-বিধান করাই যথেষ্ট নয়। এর বাস্তবায়ন জরুরি। বিশেষ করে ঢাকার মতো সীমিত আয়তনের অথচ বিপুল জনসংখ্যার শহরে এর বাস্তবায়ন কতটা হবে সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। এখানে নতুন ফুটপাত তৈরি করার মতো জায়গার অভাব প্রকট। বিদ্যমান ফুটপাতগুলোও যদি রক্ষা করা যায়, এগুলোকে পথচারীদের জন্য নিরাপদ করা যায়, দখলমুক্ত রাখা যায় সেটাকেও একটা প্রাপ্তি বলে গণ্য করা যাবে।
আমরা আশা করব, একটি ভালো পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি ভালো প্রবিধানমালা তৈরি করা সম্ভব হবে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, পরিবহন ব্যবস্থাকে আইনি কাঠামোর অধীনে আনা। এটা করা সম্ভব হলে সড়ক-ফুটপাত সবকিছুকেই নিরাপদ করা সম্ভব হবে।