alt

opinion » editorial

পথচারীবান্ধব ফুটপাতের আকাঙ্ক্ষা

: শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

মেগাসিটি ঢাকার পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ শীর্ষক একটি খসড়া তৈরি করেছে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রবিধানমালা পাস হলে রাজধানীতে পথচারীদের পথ চলা সহজ ও নিরাপদ হবে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর খুব কম সড়কই পথচারীবান্ধব। এখানে এমন অনেক সড়ক রয়েছে যেখানে যানবাহন চলাচল করাই দুরূহ। অনেক সড়কে নেই ফুটপাত। যদিও বুয়েটের এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ঢাকার সড়কে চলাচলকারী মানুষের ৩০ ভাগই পথচারী।

নিরাপদ সড়ক বা ফুটপাথ না থাকার মূল্য দিতে হচ্ছে পথচারীদেরকে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যান তার প্রায় ৭২ ভাগ হচ্ছেন পথচারী। ফুটপাতের অভাবে তারা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন। যে কারণে তারা দুর্ঘটনার মূল শিকারে পরিণত হচ্ছেন। আবার ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে বা দাঁড়িয়ে থেকেও দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। সেক্ষেত্রে পরিবহনই উঠে যায় ফুটপাতে। মোটরবাইক চলাচলের পথে পরিণত হয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ ফুটপাত। হকাররাও দখল করে রাখে অনেক সড়ক।

পথচারীবান্ধব ফুটপাতের দাবি দীর্ঘদিনের। ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ তৈরির উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। খসড়ায় অনেক ভালো ভালো কথাই বলা হয়েছে। তবে বিধি-বিধান করাই যথেষ্ট নয়। এর বাস্তবায়ন জরুরি। বিশেষ করে ঢাকার মতো সীমিত আয়তনের অথচ বিপুল জনসংখ্যার শহরে এর বাস্তবায়ন কতটা হবে সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। এখানে নতুন ফুটপাত তৈরি করার মতো জায়গার অভাব প্রকট। বিদ্যমান ফুটপাতগুলোও যদি রক্ষা করা যায়, এগুলোকে পথচারীদের জন্য নিরাপদ করা যায়, দখলমুক্ত রাখা যায় সেটাকেও একটা প্রাপ্তি বলে গণ্য করা যাবে।

আমরা আশা করব, একটি ভালো পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি ভালো প্রবিধানমালা তৈরি করা সম্ভব হবে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, পরিবহন ব্যবস্থাকে আইনি কাঠামোর অধীনে আনা। এটা করা সম্ভব হলে সড়ক-ফুটপাত সবকিছুকেই নিরাপদ করা সম্ভব হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

পথচারীবান্ধব ফুটপাতের আকাঙ্ক্ষা

শনিবার, ০২ জুলাই ২০২২

মেগাসিটি ঢাকার পথচারীদের নির্বিঘ্নে হাঁটার পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ শীর্ষক একটি খসড়া তৈরি করেছে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রবিধানমালা পাস হলে রাজধানীতে পথচারীদের পথ চলা সহজ ও নিরাপদ হবে। এ নিয়ে আজ সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রাজধানীর খুব কম সড়কই পথচারীবান্ধব। এখানে এমন অনেক সড়ক রয়েছে যেখানে যানবাহন চলাচল করাই দুরূহ। অনেক সড়কে নেই ফুটপাত। যদিও বুয়েটের এক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে, ঢাকার সড়কে চলাচলকারী মানুষের ৩০ ভাগই পথচারী।

নিরাপদ সড়ক বা ফুটপাথ না থাকার মূল্য দিতে হচ্ছে পথচারীদেরকে। রাজধানী ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় যত মানুষ মারা যান তার প্রায় ৭২ ভাগ হচ্ছেন পথচারী। ফুটপাতের অভাবে তারা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হন। যে কারণে তারা দুর্ঘটনার মূল শিকারে পরিণত হচ্ছেন। আবার ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে বা দাঁড়িয়ে থেকেও দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকে। সেক্ষেত্রে পরিবহনই উঠে যায় ফুটপাতে। মোটরবাইক চলাচলের পথে পরিণত হয়েছে রাজধানীর অধিকাংশ ফুটপাত। হকাররাও দখল করে রাখে অনেক সড়ক।

পথচারীবান্ধব ফুটপাতের দাবি দীর্ঘদিনের। ‘পথচারী নিরাপত্তা প্রবিধানমালা’ তৈরির উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। খসড়ায় অনেক ভালো ভালো কথাই বলা হয়েছে। তবে বিধি-বিধান করাই যথেষ্ট নয়। এর বাস্তবায়ন জরুরি। বিশেষ করে ঢাকার মতো সীমিত আয়তনের অথচ বিপুল জনসংখ্যার শহরে এর বাস্তবায়ন কতটা হবে সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। এখানে নতুন ফুটপাত তৈরি করার মতো জায়গার অভাব প্রকট। বিদ্যমান ফুটপাতগুলোও যদি রক্ষা করা যায়, এগুলোকে পথচারীদের জন্য নিরাপদ করা যায়, দখলমুক্ত রাখা যায় সেটাকেও একটা প্রাপ্তি বলে গণ্য করা যাবে।

আমরা আশা করব, একটি ভালো পথচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে একটি ভালো প্রবিধানমালা তৈরি করা সম্ভব হবে এবং এর যথাযথ বাস্তবায়ন করা হবে। জরুরি হচ্ছে সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা, পরিবহন ব্যবস্থাকে আইনি কাঠামোর অধীনে আনা। এটা করা সম্ভব হলে সড়ক-ফুটপাত সবকিছুকেই নিরাপদ করা সম্ভব হবে।

back to top