alt

মতামত » সম্পাদকীয়

ঈদযাত্রায় রেকর্ড দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

এবারের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩১৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত ও ৭৭৪ জন আহত হয়েছেন। গত ৭ বছরের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেলে। এতে ১১৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩১ জন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

অনাকাক্সিক্ষতভাবে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ল, রেকর্ড হলো। কিসের মাশুল গুনতে হলো দুর্ঘটনা কবলিতদের? দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহনও করা হয়ে থাকে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে রোড সাইন এবং সড়কবাতি না থাকা-এমন সব অব্যবস্থাপনা রয়েছে সড়কে।

এত মানুষের প্রাণহানি, অঙ্গহানি এবং আর্থিক ক্ষতি হলো-এর দায়টা এখন কে নেবে। দেশের সড়কে অব্যস্থাপনা আছে, এটা সবাই জানে। ঈদের সময় সেটা বেড়ে যে আরও কয়েকগুণ হয়ে যায় সেটাও কারও অজানা নয়। জেনেশুনে এমন গা ছাড়া ভাব দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ বসে থাকল কীভাবে-সেটা একটা প্রশ্ন। বছর বছর যে সড়ক দুর্ঘটনার রেকর্ড হচ্ছে এ অবস্থায় সরকার এর লাগাম টানবে কীভাবে?

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কাগজে-কলমে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ঘোষণা করে ২০১৫ সালে। সে বছরই সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার তিনজন। ১৫ বছর মেয়াদি এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সালে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর আগে জাতিসংঘ ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এক দশকে সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ এ ঘোষণাপত্রে সই করেছে।

এর বাইরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা করে আসছে। এর মধ্যে সাতটি পরিকল্পনা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনায় ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রাই সরকার অর্জন করতে পারেনি। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারেনি, বরং বাড়ছে। আর বাকি থাকল ২০২৪ এবং ২০৩০ সাল; সে লক্ষ্য কতটা অর্জন করতে পারবে সেটা একটা প্রশ্ন।

কার লক্ষ্য পূরণে কী কাজ করেছে- আমরা সেটা জানতে চাই। এক এক সময় এক একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করাই সার। একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিলেই আপনা আপনি পূরণ হয়ে যাবে না। লক্ষ্য পূরণে কাজও করতে হয়।

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

ঈদযাত্রায় রেকর্ড দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২

এবারের ঈদযাত্রায় দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩১৯টি দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত ও ৭৭৪ জন আহত হয়েছেন। গত ৭ বছরের ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সর্বোচ্চ রেকর্ড এটি। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও মৃত্যু হয়েছে মোটরসাইকেলে। এতে ১১৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩১ জন। গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।

অনাকাক্সিক্ষতভাবে সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ল, রেকর্ড হলো। কিসের মাশুল গুনতে হলো দুর্ঘটনা কবলিতদের? দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। এ ছাড়া উল্টো পথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহনও করা হয়ে থাকে। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অদক্ষ চালক, বেপরোয়া গতি, মহাসড়কে রোড সাইন এবং সড়কবাতি না থাকা-এমন সব অব্যবস্থাপনা রয়েছে সড়কে।

এত মানুষের প্রাণহানি, অঙ্গহানি এবং আর্থিক ক্ষতি হলো-এর দায়টা এখন কে নেবে। দেশের সড়কে অব্যস্থাপনা আছে, এটা সবাই জানে। ঈদের সময় সেটা বেড়ে যে আরও কয়েকগুণ হয়ে যায় সেটাও কারও অজানা নয়। জেনেশুনে এমন গা ছাড়া ভাব দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ বসে থাকল কীভাবে-সেটা একটা প্রশ্ন। বছর বছর যে সড়ক দুর্ঘটনার রেকর্ড হচ্ছে এ অবস্থায় সরকার এর লাগাম টানবে কীভাবে?

সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে কাগজে-কলমে নানা পরিকল্পনা রয়েছে। জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ঘোষণা করে ২০১৫ সালে। সে বছরই সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৫ হাজার তিনজন। ১৫ বছর মেয়াদি এসডিজি অর্জনে ২০৩০ সালে সরকার সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর আগে জাতিসংঘ ২০১১ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এক দশকে সারা বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি অর্ধেক কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়। বাংলাদেশ এ ঘোষণাপত্রে সই করেছে।

এর বাইরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকার ১৯৯৭ সাল থেকে ৩ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা করে আসছে। এর মধ্যে সাতটি পরিকল্পনা হয়েছে। সর্বশেষ পরিকল্পনায় ২০২৪ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ৫০ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, ২০২০ সালের লক্ষ্যমাত্রাই সরকার অর্জন করতে পারেনি। সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে পারেনি, বরং বাড়ছে। আর বাকি থাকল ২০২৪ এবং ২০৩০ সাল; সে লক্ষ্য কতটা অর্জন করতে পারবে সেটা একটা প্রশ্ন।

কার লক্ষ্য পূরণে কী কাজ করেছে- আমরা সেটা জানতে চাই। এক এক সময় এক একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করাই সার। একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিলেই আপনা আপনি পূরণ হয়ে যাবে না। লক্ষ্য পূরণে কাজও করতে হয়।

back to top