alt

opinion » editorial

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার দায় কর্তৃপক্ষ এড়াবে কীভাবে

: সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল ক্রসিংয়ের উপর শ্রমিকবাহী একটি বাসে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে চারজন, আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেলক্রসিং দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় ব্যারিয়ার নামানো ছিল না। তিনজন গেটম্যান দায়িত্ব পালন করলেও ঘটনার সময় সেখানে তাদের কেউই উপস্থিত ছিল না। দুর্ঘটনার পরও তাদের কারও দেখা মেলেনি। এ নিয়ে আজ সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার নামানো থাকলে গাজীপুরে উক্ত দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। দায়িত্ব পালনে যদি গেটম্যানরা তৎপর হতেন তাহলে হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার দেয়া বা গেটম্যান রাখাই হয় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য। দেশের অনেক অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই, ব্যারিয়ার নেই, এমনকি কোনো সতর্কতামূলক চিহ্নও নেই। এ কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ গাজীপুরের উক্ত স্থানে ব্যারিয়ার ছিল, গেটম্যানও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এ দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াবে কীভাবে।

গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রেলে এর আগেও অবহেলাজনিত কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার কোন দায়ভার রেল কর্তৃপক্ষ কখনো নেয় না। দায়মুক্তির এ সংস্কৃতির কারণে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখবার সময় এসেছে।

রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২ হাজার ৫৬১টি রেল ক্রসিংয় আছে। যার মধ্যে ৮২ শতাংশই অরক্ষিত। অনুমোদনহীন রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো

বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেই। রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটম্যানরা যেন তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

অরক্ষিত ক্রসিংগুলো সুরক্ষিত করতে হবে। যেসব স্থানে রেলক্রসিং আছে সেসব স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করা যায় কিনা- সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। অন্তত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জরুরিভিত্তিতে ওভারপাস তৈরি করা জরুরি। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না, যানজটও কমবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

রেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার দায় কর্তৃপক্ষ এড়াবে কীভাবে

সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২

গতকাল রোববার গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল ক্রসিংয়ের উপর শ্রমিকবাহী একটি বাসে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছে চারজন, আহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন। স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রেলক্রসিং দিয়ে ট্রেন যাওয়ার সময় ব্যারিয়ার নামানো ছিল না। তিনজন গেটম্যান দায়িত্ব পালন করলেও ঘটনার সময় সেখানে তাদের কেউই উপস্থিত ছিল না। দুর্ঘটনার পরও তাদের কারও দেখা মেলেনি। এ নিয়ে আজ সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার নামানো থাকলে গাজীপুরে উক্ত দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারত। দায়িত্ব পালনে যদি গেটম্যানরা তৎপর হতেন তাহলে হতাহতের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হতো। রেল ক্রসিংয়ে ব্যারিয়ার দেয়া বা গেটম্যান রাখাই হয় অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা রোধ করার জন্য। দেশের অনেক অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে গেটম্যান নেই, ব্যারিয়ার নেই, এমনকি কোনো সতর্কতামূলক চিহ্নও নেই। এ কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। অথচ গাজীপুরের উক্ত স্থানে ব্যারিয়ার ছিল, গেটম্যানও আছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এ দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াবে কীভাবে।

গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়। রেলে এর আগেও অবহেলাজনিত কারণে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু অরক্ষিত রেল ক্রসিংয়ে কোন দুর্ঘটনা ঘটলে তার কোন দায়ভার রেল কর্তৃপক্ষ কখনো নেয় না। দায়মুক্তির এ সংস্কৃতির কারণে সংশ্লিষ্টরা দায়িত্বহীন হয়ে পড়েছে কিনা সেটা ভেবে দেখবার সময় এসেছে।

রেলওয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে ২ হাজার ৫৬১টি রেল ক্রসিংয় আছে। যার মধ্যে ৮২ শতাংশই অরক্ষিত। অনুমোদনহীন রেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। কখনো

বাসের সঙ্গে, কখনো মাইক্রোবাসসহ অন্য যানবাহনের সঙ্গে ট্রেনের সংঘর্ষে এসব প্রাণহানি ঘটে। অথচ এসব ক্রসিং নিরাপদ করার বিষয়টি রেল কর্তৃপক্ষের অগ্রাধিকারে নেই। রেল ক্রসিংয়ে দায়িত্বরত গেটম্যানরা যেন তাদের ভূমিকা যথাযথভাবে পালন করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

অরক্ষিত ক্রসিংগুলো সুরক্ষিত করতে হবে। যেসব স্থানে রেলক্রসিং আছে সেসব স্থানে ওভারপাস নির্মাণ করা যায় কিনা- সেটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করতে হবে। অন্তত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে জরুরিভিত্তিতে ওভারপাস তৈরি করা জরুরি। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকবে না, যানজটও কমবে।

back to top