alt

opinion » editorial

পর্যটকদের এই করুণ মৃত্যু কাম্য নয়

: মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

গত কয়েক বছর ধরে কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরের বিভিন্ন এলাকা হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। সেখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। পাশাপাশি প্রায়ই একাধিক পর্যটকের হাওরের পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুও ঘটছে। কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন গত শুক্রবার।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারের বর্ষায় হাওরে নতুন পানি আসার পর গত আড়াই মাসে শিশু, পর্যটকসহ ২১ জন মারা গেছেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে হাওরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। সেখানে এ বছর মাত্র আড়াই মাসেই মৃত্যুর সংখ্যা গত দুই বছরের প্রায় সমান। বেশিরভাগ মৃত্যুই ঘটছে পর্যটকদের অসাবধানতা এবং সাঁতার না জানার কারণে।

পর্যটকদের হাওরের রাস্তা বা বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা এবং গড়ন সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না। এসব রাস্তার দুপাশের সিসি ব্লকের ঢাল অনেকটা খাড়া এবং পিচ্ছিল। ভরা বর্ষায় রাস্তা আর বেড়িবাঁধে গলায় গলায় পানি উঠে যায়। পর্যটকরা না জেনেই রাস্তার পাশে পা বাড়িয়ে পানিতে নামতে গিয়ে তলিয়ে যান। তাছাড়া সাঁতার জানা থাকলেও রয়েছে বিপদ। কারণ অনেক জায়গাতেই রয়েছে প্রবল স্র্রোতের বেগ। গোসল করতে নেমে স্রোতের কারণে বেঁচে ফিরে আসাটা অনিশ্চিত। অনেকে আবার নৌকায় দলবেঁধে ঘুরতে বের হন। আনন্দ-উল্লাস করতে গিয়ে বেসামাল হয়ে নৌকা থেকে পড়ে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটে।

শুধু হাওর নয়; সমুদ্র, পাহাড়ি লেক ও ছড়া এবং নদীর পানিতে ডুবেও অনেক পর্যটকের মৃত্যু হয়। এর মূল কারণ হলো, ওইসব স্থানের বৈশিষ্ট্য না জেনে বা বুঝে সাঁতার কাটতে নামা। অনেকে আবার সাঁতার না জেনেই পানিতে নামেন। এদের বেশিরভাগই তরুণ, তাদের মধ্যে এক ধরনের কৌতূহল ও দুঃসাহসিকতা কাজ করে।

গত এক দশকে দেশি পর্যটকেটর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা ও সেবার মান বাড়েনি। সচরাচর পর্যটকরা যান না এমন স্থান তো বটেই, জনপ্রিয় স্থানগুলোতেও জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায় না।

পর্যটকদের এমন অনাকক্সিক্ষত মৃত্যু কাম্য নয়। পর্যটকদের একটু অসর্কতার কারণে ভ্রমণের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। আমরা এর অবসান চাই। পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বলা হবে, নানা স্বপ্ন দেখানো হবে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে না-এমনটা হতে পারে না। দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে সতর্কীকরণমূলক ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

পাশাপাশি পর্যটকদেরও সচেতন হতে হবে। সাঁতার জানা থাকলেও পানিতে নামার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জীবন রক্ষাকারীসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে তবেই পানিতে নামতে হবে। মেনে চলতে হবে স্থানীয় প্রশাসন ও গাইডদের নির্দেশনা।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

পর্যটকদের এই করুণ মৃত্যু কাম্য নয়

মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২

গত কয়েক বছর ধরে কিশোরগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওরের বিভিন্ন এলাকা হয়ে উঠেছে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। সেখানে প্রতিবছরই বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার পর্যটকের সমাগম ঘটে। পাশাপাশি প্রায়ই একাধিক পর্যটকের হাওরের পানিতে ডুবে মর্মান্তিক মৃত্যুও ঘটছে। কিশোরগঞ্জের নিকলী হাওরে বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মারা গেছেন গত শুক্রবার।

ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবারের বর্ষায় হাওরে নতুন পানি আসার পর গত আড়াই মাসে শিশু, পর্যটকসহ ২১ জন মারা গেছেন। ২০২০ ও ২০২১ সালে হাওরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছিল ২২ জনের। সেখানে এ বছর মাত্র আড়াই মাসেই মৃত্যুর সংখ্যা গত দুই বছরের প্রায় সমান। বেশিরভাগ মৃত্যুই ঘটছে পর্যটকদের অসাবধানতা এবং সাঁতার না জানার কারণে।

পর্যটকদের হাওরের রাস্তা বা বেড়িবাঁধগুলোর উচ্চতা এবং গড়ন সম্পর্কে কোন ধারণা থাকে না। এসব রাস্তার দুপাশের সিসি ব্লকের ঢাল অনেকটা খাড়া এবং পিচ্ছিল। ভরা বর্ষায় রাস্তা আর বেড়িবাঁধে গলায় গলায় পানি উঠে যায়। পর্যটকরা না জেনেই রাস্তার পাশে পা বাড়িয়ে পানিতে নামতে গিয়ে তলিয়ে যান। তাছাড়া সাঁতার জানা থাকলেও রয়েছে বিপদ। কারণ অনেক জায়গাতেই রয়েছে প্রবল স্র্রোতের বেগ। গোসল করতে নেমে স্রোতের কারণে বেঁচে ফিরে আসাটা অনিশ্চিত। অনেকে আবার নৌকায় দলবেঁধে ঘুরতে বের হন। আনন্দ-উল্লাস করতে গিয়ে বেসামাল হয়ে নৌকা থেকে পড়ে গিয়েও দুর্ঘটনা ঘটে।

শুধু হাওর নয়; সমুদ্র, পাহাড়ি লেক ও ছড়া এবং নদীর পানিতে ডুবেও অনেক পর্যটকের মৃত্যু হয়। এর মূল কারণ হলো, ওইসব স্থানের বৈশিষ্ট্য না জেনে বা বুঝে সাঁতার কাটতে নামা। অনেকে আবার সাঁতার না জেনেই পানিতে নামেন। এদের বেশিরভাগই তরুণ, তাদের মধ্যে এক ধরনের কৌতূহল ও দুঃসাহসিকতা কাজ করে।

গত এক দশকে দেশি পর্যটকেটর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। কিন্তু পর্যটন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা ও সেবার মান বাড়েনি। সচরাচর পর্যটকরা যান না এমন স্থান তো বটেই, জনপ্রিয় স্থানগুলোতেও জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায় না।

পর্যটকদের এমন অনাকক্সিক্ষত মৃত্যু কাম্য নয়। পর্যটকদের একটু অসর্কতার কারণে ভ্রমণের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়। করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়। আমরা এর অবসান চাই। পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বলা হবে, নানা স্বপ্ন দেখানো হবে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে না-এমনটা হতে পারে না। দেশের পর্যটন স্পটগুলোতে সতর্কীকরণমূলক ব্যবস্থাসহ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

পাশাপাশি পর্যটকদেরও সচেতন হতে হবে। সাঁতার জানা থাকলেও পানিতে নামার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। জীবন রক্ষাকারীসামগ্রী সঙ্গে নিয়ে তবেই পানিতে নামতে হবে। মেনে চলতে হবে স্থানীয় প্রশাসন ও গাইডদের নির্দেশনা।

back to top