alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

: সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২

রাজধানীর শ্যামবাজারের বর্জ্য রাখা হচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বা সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। তীরে রাখা বর্জ্য সিটি করপোরেশন সময়মতো অপসারণ করে না। ফলে সেই বর্জ্য গিয়ে পড়ে নদীতে। এতে করে দূষিত হচ্ছে নদী, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বুড়িগঙ্গার পানি দূষিত হয়ে পড়েছে বহু আগেই। নদীটির পানির গুণগত মান নূ্যূনতম মানদন্ডের ধারে কাছেও নেই। সেখানে পাওয়া যায় না কোন প্রাণের অস্তিত্ব। পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু বুড়িগঙ্গার পানির প্রশ্নে সে কথা বলা চলে না। সেখানকার পানি আক্ষরিক অর্থেই বিষে পরিণত হয়েছে। অতীতে কোনো কোনো গবেষণায়, সিওডি, টিএসএস, পিএইচ, গ্রিজ ও তেল, নাইট্রোজেন এবং ফেনলসহ নদীর পানির গুণগত মানের প্রতিটি নিয়ামকের পরিমাণ সাধারণ মানদণ্ডের মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।

নদীতে শুধু একটি বাজারের বর্জ্যই পড়ছে না। সেখানে গিয়ে মিশেছে অনেক স্যুয়ারেজ লাইন। শিল্প বর্জ্য ও গার্হস্থ্য বর্জ্যরে ঠিকানাও বুড়িগঙ্গা। নদীটি একটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দূষণ থেকে নদীকে রক্ষার দায়িত্ব যেসব কর্তৃপক্ষের তারা কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমাচ্ছে। দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি হলে, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে তারা নড়েচড়ে বসে। কিছুদিন দূষণবিরোধী অভিযান চলে। তারপর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আবার আগের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের কাজ নিয়ে অতীতে আদালতকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তাতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকায় ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা যায় না। সংশ্লিষ্টরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে নদীর এমন দূরবস্থা হতে পারত না।

বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। দূষণের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নদী মনিটরিং হতে হবে জোরদার। কেউ যেন বুড়িগঙ্গা দূষিত না করে সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বুড়িগঙ্গা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব পালনে কেউ গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বুড়িগঙ্গার দূষণ রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিন

সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২

রাজধানীর শ্যামবাজারের বর্জ্য রাখা হচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বা সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে। তীরে রাখা বর্জ্য সিটি করপোরেশন সময়মতো অপসারণ করে না। ফলে সেই বর্জ্য গিয়ে পড়ে নদীতে। এতে করে দূষিত হচ্ছে নদী, বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বুড়িগঙ্গার পানি দূষিত হয়ে পড়েছে বহু আগেই। নদীটির পানির গুণগত মান নূ্যূনতম মানদন্ডের ধারে কাছেও নেই। সেখানে পাওয়া যায় না কোন প্রাণের অস্তিত্ব। পানির অপর নাম জীবন। কিন্তু বুড়িগঙ্গার পানির প্রশ্নে সে কথা বলা চলে না। সেখানকার পানি আক্ষরিক অর্থেই বিষে পরিণত হয়েছে। অতীতে কোনো কোনো গবেষণায়, সিওডি, টিএসএস, পিএইচ, গ্রিজ ও তেল, নাইট্রোজেন এবং ফেনলসহ নদীর পানির গুণগত মানের প্রতিটি নিয়ামকের পরিমাণ সাধারণ মানদণ্ডের মাত্রার চেয়ে বেশি পাওয়া গেছে।

নদীতে শুধু একটি বাজারের বর্জ্যই পড়ছে না। সেখানে গিয়ে মিশেছে অনেক স্যুয়ারেজ লাইন। শিল্প বর্জ্য ও গার্হস্থ্য বর্জ্যরে ঠিকানাও বুড়িগঙ্গা। নদীটি একটি ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। দূষণ থেকে নদীকে রক্ষার দায়িত্ব যেসব কর্তৃপক্ষের তারা কুম্ভকর্ণের ঘুম ঘুমাচ্ছে। দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি হলে, বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে তারা নড়েচড়ে বসে। কিছুদিন দূষণবিরোধী অভিযান চলে। তারপর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে আবার আগের পরিস্থিতি তৈরি হয়।

বুড়িগঙ্গা রক্ষায় বিআইডব্লিউটিএর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাদের কাজ নিয়ে অতীতে আদালতকে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। তাতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকায় ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন হয়েছে বলে জানা যায় না। সংশ্লিষ্টরা তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে নদীর এমন দূরবস্থা হতে পারত না।

বুড়িগঙ্গা দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। দূষণের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। নদী মনিটরিং হতে হবে জোরদার। কেউ যেন বুড়িগঙ্গা দূষিত না করে সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। বুড়িগঙ্গা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব পালনে কেউ গাফিলতি করলে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top