alt

opinion » editorial

আশুরা : ন্যায় ও আত্মত্যাগের প্রেরণা

: সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২

মুসলিম বিশ্ব শোকের দিন হিসেবে আশুরা পালন করে থাকে। হিজরি ৬১তম বর্ষের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মহররম দ্বীন ও সত্যের জন্য ইমাম হোসাইন (রা.) এজিদের বিপুল বাহিনীর কাছে মাথা নত না করে যুদ্ধ করে শাহাদতবরণ করেছিলেন তার ৭২ জন সঙ্গীকে নিয়ে। সেদিন ন্যায়-আদর্শের জন্য চরম আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)।

ইসলামের আবির্ভাবের অর্থাৎ মহানবী (স.) কর্তৃক ইসলাম প্রচারের বহু আগে থেকেই আশুরা পালিত হয়ে আসছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব আদম (আ.) এ দিনেই জন্মলাভ করেছিলেন। হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর কাছে প্রথম অহি নিয়ে ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) পৃথিবীতে এসেছিলেন এই দিনে।

এ দিনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে যুক্ত হয়েছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা। এ মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণই এখন পবিত্র আশুরা পালনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একটা বড় কারণ হলো, ধর্মের নাম করে অধর্ম ও অন্যায়ের অশুভ শক্তি সেদিন ইসলামের সত্যবাণী ও ন্যায়-ধর্মকে আঘাত করেছিল। নিয়েছিল প্রতারণার আশ্রয়।

আজকের দিনে যখন আমরা এদেশে আশুরা পালন করছি, তখন একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে অধর্ম ও অসত্যকে আশ্রয় করে দেশ এবং সমাজ জীবন বিষবাষ্পে আচ্ছন্ন করতে উদ্যত। আজ যারা ধর্মের নাম করে সঙ্কীর্ণতা ও ঘৃণা ছড়ায় তারা কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) দৃঢ়তা, সততা, ধৈর্য ও ধর্মনিষ্ঠা থেকে কিছুই শিক্ষা পায়নি। আশুরার দিনে প্রকৃত ধার্মিক সত্যসেবী ইমানদার মুসলিমদের এই সত্যকে উপলব্ধি করতে হবে, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শোকে আত্মহারা হয়ে এই আশুরার দিনে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) ত্যাগ ও প্রাণ বিসর্জনের প্রকৃত শিক্ষাকে বিস্মৃত হওয়া চলবে না।

ত্যাগ, দুঃখ ও বেদনার মধ্য দিয়ে এবং আত্মাহুতির মাধ্যমে ন্যায়-ধর্মকে উচ্চে তুলে ধরার দীক্ষা নিতে হবে। আশুরার এই শোক দিবসের শিক্ষা হলো- অত্যাচারের কাছে মাথা নত না করা, মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করা। তাই হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদতবরণ একই সঙ্গে শোক ও গৌরবের। তার সেই ত্যাগের গৌরব মুসলিম বিশ্বের অন্তরকে উদ্ভাসিত করুক, অনুপ্রাণিত করুক ঈর্ষা-দ্বেষ-কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে। এটাই হবে তাঁর শাহাদতবরণে আমাদের শোক, সত্য-ধর্মের পথে চলার পাথেয়। শুধু শোকের মাতম নয়, ত্যাগের মাহাত্ম্যে আলোকিত হয়ে উঠুক সব মানুষ।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

আশুরা : ন্যায় ও আত্মত্যাগের প্রেরণা

সোমবার, ০৮ আগস্ট ২০২২

মুসলিম বিশ্ব শোকের দিন হিসেবে আশুরা পালন করে থাকে। হিজরি ৬১তম বর্ষের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মহররম দ্বীন ও সত্যের জন্য ইমাম হোসাইন (রা.) এজিদের বিপুল বাহিনীর কাছে মাথা নত না করে যুদ্ধ করে শাহাদতবরণ করেছিলেন তার ৭২ জন সঙ্গীকে নিয়ে। সেদিন ন্যায়-আদর্শের জন্য চরম আত্মত্যাগের দৃষ্টান্ত রেখে গিয়েছেন হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)।

ইসলামের আবির্ভাবের অর্থাৎ মহানবী (স.) কর্তৃক ইসলাম প্রচারের বহু আগে থেকেই আশুরা পালিত হয়ে আসছে। ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানব আদম (আ.) এ দিনেই জন্মলাভ করেছিলেন। হযরত মোহাম্মদ (স.)-এর কাছে প্রথম অহি নিয়ে ফেরেশতা জিব্রাইল (আ.) পৃথিবীতে এসেছিলেন এই দিনে।

এ দিনকে ঘিরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে পরবর্তী সময়ে যুক্ত হয়েছে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনা। এ মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণই এখন পবিত্র আশুরা পালনের মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর একটা বড় কারণ হলো, ধর্মের নাম করে অধর্ম ও অন্যায়ের অশুভ শক্তি সেদিন ইসলামের সত্যবাণী ও ন্যায়-ধর্মকে আঘাত করেছিল। নিয়েছিল প্রতারণার আশ্রয়।

আজকের দিনে যখন আমরা এদেশে আশুরা পালন করছি, তখন একটি গোষ্ঠী ধর্মের নামে অধর্ম ও অসত্যকে আশ্রয় করে দেশ এবং সমাজ জীবন বিষবাষ্পে আচ্ছন্ন করতে উদ্যত। আজ যারা ধর্মের নাম করে সঙ্কীর্ণতা ও ঘৃণা ছড়ায় তারা কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) দৃঢ়তা, সততা, ধৈর্য ও ধর্মনিষ্ঠা থেকে কিছুই শিক্ষা পায়নি। আশুরার দিনে প্রকৃত ধার্মিক সত্যসেবী ইমানদার মুসলিমদের এই সত্যকে উপলব্ধি করতে হবে, এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। শোকে আত্মহারা হয়ে এই আশুরার দিনে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) ত্যাগ ও প্রাণ বিসর্জনের প্রকৃত শিক্ষাকে বিস্মৃত হওয়া চলবে না।

ত্যাগ, দুঃখ ও বেদনার মধ্য দিয়ে এবং আত্মাহুতির মাধ্যমে ন্যায়-ধর্মকে উচ্চে তুলে ধরার দীক্ষা নিতে হবে। আশুরার এই শোক দিবসের শিক্ষা হলো- অত্যাচারের কাছে মাথা নত না করা, মিথ্যার কাছে নতি স্বীকার না করা। তাই হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদতবরণ একই সঙ্গে শোক ও গৌরবের। তার সেই ত্যাগের গৌরব মুসলিম বিশ্বের অন্তরকে উদ্ভাসিত করুক, অনুপ্রাণিত করুক ঈর্ষা-দ্বেষ-কলুষমুক্ত সমাজ গঠনে। এটাই হবে তাঁর শাহাদতবরণে আমাদের শোক, সত্য-ধর্মের পথে চলার পাথেয়। শুধু শোকের মাতম নয়, ত্যাগের মাহাত্ম্যে আলোকিত হয়ে উঠুক সব মানুষ।

back to top