alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পরিবহন শ্রমিকদের বেপরোয়া মনোভাব বদলাতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে

: বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২

গাজীপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আটককৃতরা গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মাওনা যাওয়ার সময় একটি বাসের নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বাসটির ড্রাইভার ও হেলপারসহ বাকি আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। অভিযুক্তরা ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। ২০১৭ সালের আগস্টে জাকিয়া সুলতানা রুপা নামের এক নারী বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগে আদালত বাসের ড্রাইভার-হেল্পারসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয়, একজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়।

দেশে বিভিন্ন সময় গণপরিবহনের শ্রমিকদের নিষ্ঠুরতা বলি হতে হয়েছে যাত্রীসাধারণকে। চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও তারা ঘটিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ নানা ইস্যুতে তাদের প্রায়ই ড্রাইভার-হেল্পারদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হয়। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে, গুরুতর অপরাধ করলেও তাদের প্রায়ই বড় ধরনের শাস্তি পেতে হয় না। যে কারণে তাদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব গড়ে ওঠে। হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর কোন কোন অপরাধে তাদের কঠোর সাজা দেয়া হলেও অন্য অনেক অপরাধে তারা লঘুদন্ড পায় বা বিচারই হয় না। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না।

গণপরিবহন একটি সেবা খাত। আমরা চাই, পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পোশাদারিত্বের বিকাশ ঘটুক। যাত্রীদের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা আচরণ করতে হবে, হতে হবে মানবিক। পরিবহন শ্রমিকদের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। তাদের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত করার কথা আগেও বলা হয়েছে। মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে ড্রাইভার-হেল্পারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। দেশে ড্রাইভার-হেল্পারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রান্তিক আদিবাসীদের অধিকার সুরক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি

দুস্থ নারীদের অধিকার নিয়ে অনৈতিক বাণিজ্য কাম্য নয়

দুমকিতে প্রাণিসম্পদ সেবার সংকট: দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

চুনারুঘাটে প্রশাসনিক শূন্যতা: ব্যবস্থা নিন

এক খ্রিস্টান পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নিন

অবৈধ ইটভাটা: প্রশাসন কী করছে

পথ হারাচ্ছে রেলপথে পণ্যপরিবহন

মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের আন্দোলন: আলোচনায় সমাধান খুঁজতে হবে

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পরিবহন শ্রমিকদের বেপরোয়া মনোভাব বদলাতে প্রশিক্ষণ দিতে হবে

বুধবার, ১০ আগস্ট ২০২২

গাজীপুরে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃতরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। আটককৃতরা গত শুক্রবার রাতে গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস থেকে মাওনা যাওয়ার সময় একটি বাসের নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বাসটির ড্রাইভার ও হেলপারসহ বাকি আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর স্বামীকে মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। অভিযুক্তরা ওই নারীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।

গণপরিবহনে ধর্ষণের ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। ২০১৭ সালের আগস্টে জাকিয়া সুলতানা রুপা নামের এক নারী বগুড়ায় পরীক্ষা দিয়ে বাসে কর্মস্থল ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছিলেন। ধর্ষণের অভিযোগে আদালত বাসের ড্রাইভার-হেল্পারসহ চারজনের ফাঁসির আদেশ দেয়, একজনকে কারাদন্ড দেয়া হয়।

দেশে বিভিন্ন সময় গণপরিবহনের শ্রমিকদের নিষ্ঠুরতা বলি হতে হয়েছে যাত্রীসাধারণকে। চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার মতো ঘটনাও তারা ঘটিয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ নানা ইস্যুতে তাদের প্রায়ই ড্রাইভার-হেল্পারদের কাছে লাঞ্ছিত হতে হয়। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে যাত্রীসেবা দেয়ার মানসিকতা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ মাদকাসক্ত। তাদের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও পাওয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে, গুরুতর অপরাধ করলেও তাদের প্রায়ই বড় ধরনের শাস্তি পেতে হয় না। যে কারণে তাদের মধ্যে বেপরোয়া মনোভাব গড়ে ওঠে। হত্যা-ধর্ষণের মতো গুরুতর কোন কোন অপরাধে তাদের কঠোর সাজা দেয়া হলেও অন্য অনেক অপরাধে তারা লঘুদন্ড পায় বা বিচারই হয় না। বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি বন্ধ করা না গেলে অবস্থার উত্তরণ ঘটবে না।

গণপরিবহন একটি সেবা খাত। আমরা চাই, পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পোশাদারিত্বের বিকাশ ঘটুক। যাত্রীদের প্রতি তাদের দায়িত্বশীলতা আচরণ করতে হবে, হতে হবে মানবিক। পরিবহন শ্রমিকদের মনোজগতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনা জরুরি। তাদের মধ্যে মানবিক বোধ জাগ্রত করার কথা আগেও বলা হয়েছে। মনোজগতের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটানো না গেলে ড্রাইভার-হেল্পারদের নিষ্ঠুরতা-নির্মমতার ইতি টানা সম্ভব হবে না। দেশে ড্রাইভার-হেল্পারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি পরিবহন মালিকদেরও বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top