গত চার দশকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম জানিয়েছে এই তথ্য। নগরীর পাহাড় সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিও জানিয়েছে তারা।
এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুলে একটি সিন্ডিকেট অন্তত ২৫টি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এজন্য তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না, সেটা একটা প্রশ্ন। দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কাটলেও তার প্রতিকার করা হয় না। যে কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, পাহাড় কাটা চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে দুর্বৃত্তরা পাহাড় কেটেও বহাল তবিয়তে আছে।
প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। তবে দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, মানুষের আগ্রাসি ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। আমরা যদি চাই, পাহাড় দেশের ইকোসিস্টেম রক্ষা করুক, তাহলে এখনো যেসব পাহাড় অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত তদারকি করা জরুরি। পাহাড় রক্ষার কাজে যারা নিয়োজিত, তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
যারা পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়, মামলাও করা হয়। তবে এসব অভিযান বা মামলায় রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় লোক দেখানো ব্যবস্থা। কখনো কখনোবা নিরপরাধ লোককেও মামলার জালে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা বলতে চাই, পাহাড় কাটার নেপথ্যের গডফাদারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা মূলহোতা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পাহাড় রক্ষা করা যাবে না। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে যাদের বিরুদ্ধে পাহাড় ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাই আমরা দেখতে চাই।
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২
গত চার দশকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম জানিয়েছে এই তথ্য। নগরীর পাহাড় সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিও জানিয়েছে তারা।
এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুলে একটি সিন্ডিকেট অন্তত ২৫টি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এজন্য তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
অবৈধভাবে পাহাড় কাটা নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না, সেটা একটা প্রশ্ন। দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কাটলেও তার প্রতিকার করা হয় না। যে কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, পাহাড় কাটা চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে দুর্বৃত্তরা পাহাড় কেটেও বহাল তবিয়তে আছে।
প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। তবে দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, মানুষের আগ্রাসি ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। আমরা যদি চাই, পাহাড় দেশের ইকোসিস্টেম রক্ষা করুক, তাহলে এখনো যেসব পাহাড় অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত তদারকি করা জরুরি। পাহাড় রক্ষার কাজে যারা নিয়োজিত, তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
যারা পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়, মামলাও করা হয়। তবে এসব অভিযান বা মামলায় রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় লোক দেখানো ব্যবস্থা। কখনো কখনোবা নিরপরাধ লোককেও মামলার জালে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা বলতে চাই, পাহাড় কাটার নেপথ্যের গডফাদারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা মূলহোতা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পাহাড় রক্ষা করা যাবে না। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে যাদের বিরুদ্ধে পাহাড় ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাই আমরা দেখতে চাই।