alt

opinion » editorial

পাহাড় ধ্বংসের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২

গত চার দশকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম জানিয়েছে এই তথ্য। নগরীর পাহাড় সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিও জানিয়েছে তারা।

এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুলে একটি সিন্ডিকেট অন্তত ২৫টি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এজন্য তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না, সেটা একটা প্রশ্ন। দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কাটলেও তার প্রতিকার করা হয় না। যে কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, পাহাড় কাটা চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে দুর্বৃত্তরা পাহাড় কেটেও বহাল তবিয়তে আছে।

প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। তবে দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, মানুষের আগ্রাসি ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। আমরা যদি চাই, পাহাড় দেশের ইকোসিস্টেম রক্ষা করুক, তাহলে এখনো যেসব পাহাড় অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত তদারকি করা জরুরি। পাহাড় রক্ষার কাজে যারা নিয়োজিত, তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

যারা পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়, মামলাও করা হয়। তবে এসব অভিযান বা মামলায় রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় লোক দেখানো ব্যবস্থা। কখনো কখনোবা নিরপরাধ লোককেও মামলার জালে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা বলতে চাই, পাহাড় কাটার নেপথ্যের গডফাদারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা মূলহোতা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পাহাড় রক্ষা করা যাবে না। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে যাদের বিরুদ্ধে পাহাড় ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাই আমরা দেখতে চাই।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

পাহাড় ধ্বংসের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ১৫ আগস্ট ২০২২

গত চার দশকে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১২০টি পাহাড় বিলুপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রামের ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্র ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম জানিয়েছে এই তথ্য। নগরীর পাহাড় সংরক্ষণ, ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ এবং নদী রক্ষার দাবিও জানিয়েছে তারা।

এদিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ও খুরুশকুলে একটি সিন্ডিকেট অন্তত ২৫টি পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এজন্য তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। এ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধভাবে পাহাড় কাটা নৈমত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। পাহাড় কেটে যারা পরিবেশের ক্ষতি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা কেন নেয়া হয় না, সেটা একটা প্রশ্ন। দশকের পর দশক ধরে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী মিলে পাহাড় কাটলেও তার প্রতিকার করা হয় না। যে কারণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, পাহাড় কাটা চক্রের সঙ্গে প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্তাব্যক্তির যোগসাজশ রয়েছে। যে কারণে দুর্বৃত্তরা পাহাড় কেটেও বহাল তবিয়তে আছে।

প্রকৃতির ইকোসিস্টেমের অপরিহার্য উপাদন পাহাড়। তবে দেশের পাহাড়গুলো আর কতদিন ইকোসিস্টেম রক্ষা করতে পারবে সেটা নিয়ে সংশয় আছে। কারণ, মানুষের আগ্রাসি ভূমিকার কারণে এগুলোর অস্তিত্ব বিলীন হচ্ছে। আমরা যদি চাই, পাহাড় দেশের ইকোসিস্টেম রক্ষা করুক, তাহলে এখনো যেসব পাহাড় অবশিষ্ট আছে সেগুলো রক্ষা করতে হবে। এ জন্য নিয়মিত তদারকি করা জরুরি। পাহাড় রক্ষার কাজে যারা নিয়োজিত, তারা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

যারা পাহাড় ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধভাবে পাহাড় কাটার অভিযোগে কখনো কখনো অভিযান চালানো হয়, মামলাও করা হয়। তবে এসব অভিযান বা মামলায় রাঘববোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয় লোক দেখানো ব্যবস্থা। কখনো কখনোবা নিরপরাধ লোককেও মামলার জালে ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। আমরা বলতে চাই, পাহাড় কাটার নেপথ্যের গডফাদারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা মূলহোতা, তারা যদি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে পাহাড় রক্ষা করা যাবে না। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে যাদের বিরুদ্ধে পাহাড় ধ্বংসের অভিযোগ উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কি না, সেটাই আমরা দেখতে চাই।

back to top