alt

opinion » editorial

মর্মান্তিক এই মৃত্যুর দায় কার

: মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী মারা যান। প্রাণে বেঁচে গেছেন নবদম্পতি দুই আরোহী। এ ঘটনার পর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের অধীনে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত পরিবহন চলাচলের জন্য বিশেষ লেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। রাজধানীর ব্যস্ততম একটি সড়কে প্রকল্পটির কাজ চলছে প্রায় এক দশক ধরে। কাজ শুরুর পর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত গার্ডার ধসের চারটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

যে কোন নির্মাণকাজে বহুল চর্চিত একটি নীতি হচ্ছে-নিরাপত্তাই প্রথম। নিরপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা এড়িয়ে ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু বিআরটি প্রকল্প এলাকায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলকে নিরাপদ করার জন্য ন্যূনতম যে ব্যবস্থা নেয়া উচিত সেটিও সংশ্লিষ্টরা করেনি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সড়কের নির্মাণাধীন এলাকায় তৈরি করা হয়নি নিরাপত্তা বলয়। দিনের ব্যস্ততম সড়কে একদিকে যানবাহন চলছে, অন্যদিকে চলছে প্রকল্পের কাজ। কমবেশি ৪০ টনের একটি গার্ডার তোলার সময় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলেও গতকাল সোমবারের দুর্ঘটনা হয়তো ঘটত না।

৪০ টন ওজনের একটি গার্ডার তোলার মতো সক্ষমতা উক্ত প্রকল্পে ব্যবহৃত ক্রেনের ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। সক্ষমতার চেয়ে বেশি ভার বহন করতে গিয়েই ক্রেনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে গেছে। এতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

কোন কারণে প্রকল্পের কাজে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা সামাল দেয়ার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতিও সংশ্লিষ্টদের ছিল না। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধারে তারা তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার গুরুতর যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার কী ভূমিকা ছিল সেটা জানা জরুরি।

গার্ডার পড়ে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, কমিটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবে। ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

দুর্ঘটনার শিকার পরিবারটির যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

মর্মান্তিক এই মৃত্যুর দায় কার

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে একটি প্রাইভেটকারের পাঁচ আরোহী মারা যান। প্রাণে বেঁচে গেছেন নবদম্পতি দুই আরোহী। এ ঘটনার পর বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের অধীনে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের জয়দেবপুর পর্যন্ত পরিবহন চলাচলের জন্য বিশেষ লেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের কাজে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে। রাজধানীর ব্যস্ততম একটি সড়কে প্রকল্পটির কাজ চলছে প্রায় এক দশক ধরে। কাজ শুরুর পর থেকে গতকাল সোমবার পর্যন্ত গার্ডার ধসের চারটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন।

যে কোন নির্মাণকাজে বহুল চর্চিত একটি নীতি হচ্ছে-নিরাপত্তাই প্রথম। নিরপত্তার স্বার্থে ও দুর্ঘটনা এড়িয়ে ঝুঁকি কমাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়। কিন্তু বিআরটি প্রকল্প এলাকায় যানবাহন ও মানুষ চলাচলকে নিরাপদ করার জন্য ন্যূনতম যে ব্যবস্থা নেয়া উচিত সেটিও সংশ্লিষ্টরা করেনি বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সড়কের নির্মাণাধীন এলাকায় তৈরি করা হয়নি নিরাপত্তা বলয়। দিনের ব্যস্ততম সড়কে একদিকে যানবাহন চলছে, অন্যদিকে চলছে প্রকল্পের কাজ। কমবেশি ৪০ টনের একটি গার্ডার তোলার সময় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হলেও গতকাল সোমবারের দুর্ঘটনা হয়তো ঘটত না।

৪০ টন ওজনের একটি গার্ডার তোলার মতো সক্ষমতা উক্ত প্রকল্পে ব্যবহৃত ক্রেনের ছিল না বলে জানা যাচ্ছে। সক্ষমতার চেয়ে বেশি ভার বহন করতে গিয়েই ক্রেনটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাত হয়ে গেছে। এতে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীলতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

কোন কারণে প্রকল্পের কাজে দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা সামাল দেয়ার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতিও সংশ্লিষ্টদের ছিল না। দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি উদ্ধারে তারা তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার গুরুতর যেসব অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা দরকার। প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার কী ভূমিকা ছিল সেটা জানা জরুরি।

গার্ডার পড়ে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, কমিটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেবে। ঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে সেটাই আমরা দেখতে চাই।

দুর্ঘটনার শিকার পরিবারটির যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয়। আমরা নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানাই।

back to top