alt

মতামত » সম্পাদকীয়

সাক্ষরতা : জানার ভুবন হোক বিস্তৃত

: বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বর্তমান বিশ্বে শুধু অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষকে সাক্ষর বলবার উপায় নেই। যদিও সাধারণভাবে মনে করা হয়, কোন মানুষ পড়তে বা লিখতে পারলেই তিনি সাক্ষর। অন্ততপক্ষে নিজের নামটি লেখার যোগ্যতা অর্জন করলেই তাকে সাক্ষর বলবার চল আছে। দেশে এমন বহু মানুষ আছেন যারা শুধু নিজের নাম লেখা শিখে সাক্ষরদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

দেশে সাক্ষর হওয়ার এত সহজ উপায় থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ এখনো নিরক্ষর হয়েই আছেন। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, কমবেশি ২৫ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। সাক্ষরতার হারকে শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষকে সাক্ষর করা হবে।

এর আগে বলা হয়েছিল, ২০১৪ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করা হবে। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য পূরণ হলো না কেন। লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ কি করা হয়নি নাকি তা অর্জনের সময় নির্ধারণেই কোন গলদ ছিল সেটা জানা দরকার। সবকিছু বিবেচনা করেই নিশ্চয় একটি সময় নির্ধারণ করা হয়। সময় অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের কি কোন জবাবদিহি করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।

সরকার আশ্বস্ত করে বলেছে, নতুন সময়সীমার আগেই সাক্ষরতার লক্ষ্য অর্জন হবে। আমরা বলতে চাই, শুধু আশ্বাসের বাণী দিয়ে লক্ষ্য পূরণ হয় না। লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে। কাজ করতে হবে বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। শুধু নাম সই করা শেখানোই যথেষ্ট নয়।

ইউনেসকো ১৯৯৩ সালে সাক্ষরতাকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছে। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী, অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি একজন সাক্ষর ব্যক্তির যোগাযোগ দক্ষতা, ক্ষমতায়নের দক্ষতা, জীবন নির্বাহী দক্ষতা, প্রতিরক্ষা দক্ষতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতাও থাকতে হবে। নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টি ওয়াকিবহাল আছেন। কাজেই তারা সে অনুযায়ী কাজ করবেন সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

৮ সেপ্টেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ইউনেসকোর প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য করা হয়েছিল ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। আমরা বলতে চাই, যারা এখনো নিরক্ষর আছেন তাদের শুধু নাম দস্তখত শিখিয়েই দায়িত্ব সারলে চলবে না। তাদের জানার ভুবনকে সত্যিকার অর্থে বিস্তৃত করতে হবে। লেখাপড়া শেখার মাধ্যমে তাদের সামনে যে নতুন পৃথিবীর দ্বার উন্মোচিত হবে সেখানে প্রবেশ ও বিচরণের যোগ্যতাও তাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে।

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

সাক্ষরতা : জানার ভুবন হোক বিস্তৃত

বৃহস্পতিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

বর্তমান বিশ্বে শুধু অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন মানুষকে সাক্ষর বলবার উপায় নেই। যদিও সাধারণভাবে মনে করা হয়, কোন মানুষ পড়তে বা লিখতে পারলেই তিনি সাক্ষর। অন্ততপক্ষে নিজের নামটি লেখার যোগ্যতা অর্জন করলেই তাকে সাক্ষর বলবার চল আছে। দেশে এমন বহু মানুষ আছেন যারা শুধু নিজের নাম লেখা শিখে সাক্ষরদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

দেশে সাক্ষর হওয়ার এত সহজ উপায় থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য মানুষ এখনো নিরক্ষর হয়েই আছেন। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, কমবেশি ২৫ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। সাক্ষরতার হারকে শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষকে সাক্ষর করা হবে।

এর আগে বলা হয়েছিল, ২০১৪ সালের মধ্যে সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করা হবে। সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য পূরণ হলো না কেন। লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ কি করা হয়নি নাকি তা অর্জনের সময় নির্ধারণেই কোন গলদ ছিল সেটা জানা দরকার। সবকিছু বিবেচনা করেই নিশ্চয় একটি সময় নির্ধারণ করা হয়। সময় অনুযায়ী কাজ না হওয়ায় দায়িত্বপ্রাপ্তদের কি কোন জবাবদিহি করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।

সরকার আশ্বস্ত করে বলেছে, নতুন সময়সীমার আগেই সাক্ষরতার লক্ষ্য অর্জন হবে। আমরা বলতে চাই, শুধু আশ্বাসের বাণী দিয়ে লক্ষ্য পূরণ হয় না। লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে হবে। কাজ করতে হবে বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে। শুধু নাম সই করা শেখানোই যথেষ্ট নয়।

ইউনেসকো ১৯৯৩ সালে সাক্ষরতাকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছে। সেই সংজ্ঞা অনুযায়ী, অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন হওয়ার পাশাপাশি একজন সাক্ষর ব্যক্তির যোগাযোগ দক্ষতা, ক্ষমতায়নের দক্ষতা, জীবন নির্বাহী দক্ষতা, প্রতিরক্ষা দক্ষতা এবং সাংগঠনিক দক্ষতাও থাকতে হবে। নীতিনির্ধারকরাও বিষয়টি ওয়াকিবহাল আছেন। কাজেই তারা সে অনুযায়ী কাজ করবেন সেটা আমাদের প্রত্যাশা।

৮ সেপ্টেম্বর ছিল আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ইউনেসকোর প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য করা হয়েছিল ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’। আমরা বলতে চাই, যারা এখনো নিরক্ষর আছেন তাদের শুধু নাম দস্তখত শিখিয়েই দায়িত্ব সারলে চলবে না। তাদের জানার ভুবনকে সত্যিকার অর্থে বিস্তৃত করতে হবে। লেখাপড়া শেখার মাধ্যমে তাদের সামনে যে নতুন পৃথিবীর দ্বার উন্মোচিত হবে সেখানে প্রবেশ ও বিচরণের যোগ্যতাও তাদের মধ্যে তৈরি করতে হবে।

back to top