alt

মতামত » সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

: শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ জন আত্মহত্যা করেন বলে সরকারের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আত্মহত্যার হার ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আত্মহত্যা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীরাও।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, এ বছর আগস্ট পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ জন। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পথ বেছে নেয়। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ স্কুলের ছাত্রছাত্রী। পুরুষ শিক্ষার্থীর তুলনায় নারী শিক্ষার্থীরাই বেশি আত্মহত্যা করছে।

শিক্ষার্থীরা কেন আত্মহত্যা করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সাধারণত লেখাপড়ায় বা পরীক্ষার ফলে যখন একজন শিক্ষার্থী বা তার স্বজনদের চাওয়া-পাওয়ার মিল থাকে না তখন অনেকে আত্মহত্যা করে। দেশে প্রতিবছরই বিভন্ন স্তরের পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ে।

তবে শুধু লেখাপড়ার কারণেই যে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে তা নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যার কারণও বদলেছে। যোগ হয়েছে নতুন নতুন অনুঘটক। গবেষকরা বলছেন, যেসব শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছিল। পরিবারের ওপর নানা কারণে অভিমান, প্রেমঘটিত কারণ, ধর্ষণ বা নিপীড়নের শিকার হওয়া প্রভৃতি কারণে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এই পথ বেছে নেয় তারা কার্যকরভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

আত্মহত্যা বড় একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা এমন এক পথ যেখান থেকে ফেরার আর কোন উপায় থাকে না। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর তৃতীয় বড় কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যার মাধ্যমে কোন একটি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সেটা আমরা চাই না।

আশার কথা হচ্ছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। সব শ্রেণী-পেশার মানুষকেই এই পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। এজন্য মনের যত্ন নেয়া জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, দেশে এ বিষয়ে সচেতনতা যেমন কম, এর চিকিৎসার সুযোগও সীমিত। দেশে হাতেগোনা কিছু চিকিৎসা কেন্দ্রে এই সেবা মেলে। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিকাশ ঘটানো জরুরি। তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবারগুলোর পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময় অনেক পরামর্শ দিয়েছেন, সুপারিশ করেছেন। এসব পরামর্শ ও সুপারিশের আলোকে কাজ করলে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তবে কারও একার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের প্রতিটি অংশকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

আত্মহত্যা প্রতিরোধে চাই সম্মিলিত প্রয়াস

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ জন আত্মহত্যা করেন বলে সরকারের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী আত্মহত্যার হার ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ আত্মহত্যা করছেন। এর মধ্যে রয়েছে শিক্ষার্থীরাও।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আঁচল ফাউন্ডেশনের এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, এ বছর আগস্ট পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৩৬৪ জন শিক্ষার্থী অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে ৪৫ জন। বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এই পথ বেছে নেয়। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ স্কুলের ছাত্রছাত্রী। পুরুষ শিক্ষার্থীর তুলনায় নারী শিক্ষার্থীরাই বেশি আত্মহত্যা করছে।

শিক্ষার্থীরা কেন আত্মহত্যা করছে সেটা একটা প্রশ্ন। সাধারণত লেখাপড়ায় বা পরীক্ষার ফলে যখন একজন শিক্ষার্থী বা তার স্বজনদের চাওয়া-পাওয়ার মিল থাকে না তখন অনেকে আত্মহত্যা করে। দেশে প্রতিবছরই বিভন্ন স্তরের পাবলিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার পর আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ে।

তবে শুধু লেখাপড়ার কারণেই যে শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে তা নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আত্মহত্যার কারণও বদলেছে। যোগ হয়েছে নতুন নতুন অনুঘটক। গবেষকরা বলছেন, যেসব শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে তাদের উল্লেখযোগ্য অংশ সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছিল। পরিবারের ওপর নানা কারণে অভিমান, প্রেমঘটিত কারণ, ধর্ষণ বা নিপীড়নের শিকার হওয়া প্রভৃতি কারণে অনেক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এই পথ বেছে নেয় তারা কার্যকরভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না।

আত্মহত্যা বড় একটি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটা এমন এক পথ যেখান থেকে ফেরার আর কোন উপায় থাকে না। এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে শিশু-কিশোরদের মৃত্যুর তৃতীয় বড় কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যার মাধ্যমে কোন একটি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটবে সেটা আমরা চাই না।

আশার কথা হচ্ছে, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। সব শ্রেণী-পেশার মানুষকেই এই পথ থেকে ফেরানো সম্ভব। এজন্য মনের যত্ন নেয়া জরুরি। সমস্যা হচ্ছে, দেশে এ বিষয়ে সচেতনতা যেমন কম, এর চিকিৎসার সুযোগও সীমিত। দেশে হাতেগোনা কিছু চিকিৎসা কেন্দ্রে এই সেবা মেলে। দেশে মানসিক স্বাস্থ্য সেবার বিকাশ ঘটানো জরুরি। তৃণমূল পর্যন্ত মানসিক স্বাস্থ্য সেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়া বিশেষভাবে প্রয়োজন।

শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবারগুলোর পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন সময় অনেক পরামর্শ দিয়েছেন, সুপারিশ করেছেন। এসব পরামর্শ ও সুপারিশের আলোকে কাজ করলে আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। তবে কারও একার পক্ষে এই কাজ করা সম্ভব নয়। এজন্য সমাজের প্রতিটি অংশকে একযোগে কাজ করতে হবে।

back to top