alt

মতামত » সম্পাদকীয়

বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করুন

: বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সিংজোড় গ্রামের গাজী আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পলিথিনের ছাপড়া ঘরে পড়ালেখা করছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। শ্রেণীকক্ষের গ্রেড বিম ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। সম্প্রতি পলেস্তারা খসে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা আারও বাড়িয়ে দিয়েছে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা দ্রুত সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনিয়েছেন, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য আবেদনে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।

উপকূলীয় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। কবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন, আর কবে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিদ্যালয়ের একটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কেন আমরা সেটা জানতে চাই। এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী করেছে। নিয়মিত মনিটর করা হলে ভবন সংস্কার কিংবা নির্মাণের উদ্যোগ আরও আগে নেয়া যেত বলে আমরা মনে করি। দেশের বিদ্যালয়গুলো যদি নিয়মিত মনিটর করা হতো তাহলে কোন বিদ্যালয়ের কোন ভবন কখন সংস্কার করতে হবে তা জানার কথা। আর যথাসময়ে সংস্কার করা হলে অনেক ভবনই হয়তো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার প্রয়োজন হতো না।

আমরা বলতে চাই, দ্রুত উক্ত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক। যতদিন ভবন নির্মাণ করা না হবে ততদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্ততপক্ষে পলিথিনের ছাউনি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। জোয়ারের পানিতে বিদ্যালয় যাতে তলিয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিংজোড়সহ আশপাশের কয়েক গ্রাম অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এ গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এখানে একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, উপকূলে প্রায় ছয় হাজার বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এগুলোর সংখ্যা সাত হাজারে উন্নীত করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উক্ত স্থানে সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।

জয়ন্তীপুর ঘাটে সেতু নির্মাণে বিলম্ব কাম্য নয়

শিক্ষকদের আন্দোলন, সরকারের কঠোরতা এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ

রায়গঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি ব্রিজ দ্রুত সংস্কার করুন

সওজের জমি দখল : ব্যবস্থা নিন

পার্বত্য চুক্তি: পাহাড়ে শান্তি কি ফিরল?

রাজধানী কি অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুত?

সেতু নির্মাণের কাজ কবে শেষ হবে

খুলনায় আদালতের সামনে হত্যাকাণ্ড

মীরসরাইয়ে বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

পুরান ঢাকায় রাসায়নিক ঝুঁকি

মহেশপুরে অনুমোদনহীন করাত কল

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

থমকে আছে সেতু নির্মাণের কাজ

হাকালুকি হাওরে মাছ লুট: প্রশাসন কী করছে

রাঙ্গাবালীর সংরক্ষিত বন ধ্বংসের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য নিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কাম্য নয়

কক্সবাজারে পাহাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করুন

দারিদ্র্যের নতুন ঢেউ

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করুন

বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার সিংজোড় গ্রামের গাজী আজিজুল হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পলিথিনের ছাপড়া ঘরে পড়ালেখা করছে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে, ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। শ্রেণীকক্ষের গ্রেড বিম ভেঙে রড বের হয়ে গেছে। সম্প্রতি পলেস্তারা খসে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের মাত্রা আারও বাড়িয়ে দিয়েছে পূর্ণিমার জোয়ারের পানি। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা দ্রুত সেখানে পাকা ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনিয়েছেন, ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণার জন্য আবেদনে সুপারিশ প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন ভবনের জন্য তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হবে।

উপকূলীয় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দিনের পর দিন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে পাঠ গ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, এখনো ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়নি। কবে পরিত্যক্ত ঘোষণা করবেন, আর কবে নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে সেটা একটা প্রশ্ন।

বিদ্যালয়ের একটি ভবন জরাজীর্ণ হয়ে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কেন আমরা সেটা জানতে চাই। এর আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী করেছে। নিয়মিত মনিটর করা হলে ভবন সংস্কার কিংবা নির্মাণের উদ্যোগ আরও আগে নেয়া যেত বলে আমরা মনে করি। দেশের বিদ্যালয়গুলো যদি নিয়মিত মনিটর করা হতো তাহলে কোন বিদ্যালয়ের কোন ভবন কখন সংস্কার করতে হবে তা জানার কথা। আর যথাসময়ে সংস্কার করা হলে অনেক ভবনই হয়তো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার প্রয়োজন হতো না।

আমরা বলতে চাই, দ্রুত উক্ত বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হোক। যতদিন ভবন নির্মাণ করা না হবে ততদিন শিক্ষার্থীদের নিরাপদে পাঠ গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্ততপক্ষে পলিথিনের ছাউনি থেকে শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে হবে। জোয়ারের পানিতে বিদ্যালয় যাতে তলিয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সিংজোড়সহ আশপাশের কয়েক গ্রাম অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা। নানান প্রাকৃতিক দুর্যোগে বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী এ গ্রামগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এখানে একটি সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা উপকৃত হবে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, উপকূলে প্রায় ছয় হাজার বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্র বা সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে এগুলোর সংখ্যা সাত হাজারে উন্নীত করতে হবে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উক্ত স্থানে সাইক্লোন শেল্টার কাম-স্কুল ভবন নির্মাণের বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে।

back to top