alt

opinion » editorial

গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য

: বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজধানীতে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য চলছে। যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৮২ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং বাহনে গড়ে প্রতিদিন ১৬২ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানটি যদি সঠিক হয়, তাহলে বলতে হবে- গণপরিবহনে ভাড়ার নামে ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যাত্রীসাধারণ। শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক যাত্রীদের কাছ থেকেই প্রতিদিন ১৮২ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশের হিসাবটি বিবেচনায় নিলে টাকার অংকটা আরও বেড়ে যাবে। প্রশ্ন হচ্ছে- প্রতিদিন এত বড় অংকের টাকা যে যাত্রীদের পকেট থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে সেটা যাচ্ছে কোথায়। আর কারাইবা এতে লাভবান হচ্ছে।

দেশের নাগরিকরা এমনিতেই করোনাপরবর্তী সময়ে নানামুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের আয় কমেছে, অনেকের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এর বিপরীতে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে দিন দিন ব্যয় বাড়ছে। সাধারণ মানুষ যখন আয়-ব্যায়ের হিসাব মেলাতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে তখন বিভিন্ন গোষ্ঠী নানান কৌশলে তাদের পকেট কাটছে।

অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যত দাম বাড়ে, দেশে ভোক্তাদের কাছ থেকে তার চেয়েও বেশি দাম আদায় করা হয়; কিন্তু দাম কমলে, যে অনুপাতে কমার কথা তা কমানো হয় না। তখন নানান অজুহাত দাঁড় করা হয়। এতে বরাবরই একটা বিশেষ শ্রেণি লাভবান হয়। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে পরিবহন খাত। প্রতিনিয়ত গণপরিবহনে ভাড়া বাবদও জনসাধারণকে বাড়তি পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে- এতে সরকারের কোন দায় আছে কিনা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহনখাতে সামগ্রিকভাবে যে ব্যয় বেড়েছে, সরকার জনপ্রতি ভাড়া তার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু পরিবহন মালিকরা সেটাও মানেন না, তারা এর চেয়েও বেশি ভাড়া নেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করলে যাত্রীসাধারণকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।

সম্প্রতি গণপরিবহনে যাত্রী লাঞ্ছনার ২৫টি ঘটনা ঘটেছে। বাস থেকে ফেলে ১৪ যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন যাত্রী। এতে গণপরিবহন ব্যবহারে যাত্রীদের মধ্যে চরম ভীতির সঞ্চার হয়েছে। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাউকেই এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে পরিবহন ভাড়া যে পাঁচ পয়সা কমানো হয়েছে এতে যাত্রীসাধারণ উপকৃত হয়নি। তাদের কাছ থেকে আগের বর্ধিত ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। মাঝখানে লাভবান হচ্ছে পরিবহন মালিকরা।

গণপরিবহনের ভাড়ার প্রশ্নে দিনের পর দিন এমন কোনো একটি ব্যবস্থাকে সরকার চলতে দিতে পারে কিনা, যার ফলে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; আর একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়- আমরা শুধু এই প্রশ্ন করতে চাই।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য

বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাজধানীতে গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য চলছে। যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতিদিন প্রায় ১৮২ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিভিন্ন রাইড শেয়ারিং বাহনে গড়ে প্রতিদিন ১৬২ কোটি টাকার বেশি বাড়তি ভাড়া নেওয়া হয়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।

পরিসংখ্যানটি যদি সঠিক হয়, তাহলে বলতে হবে- গণপরিবহনে ভাড়ার নামে ভয়াবহ নৈরাজ্য চলছে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যাত্রীসাধারণ। শুধু রাজধানীকেন্দ্রিক যাত্রীদের কাছ থেকেই প্রতিদিন ১৮২ কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশের হিসাবটি বিবেচনায় নিলে টাকার অংকটা আরও বেড়ে যাবে। প্রশ্ন হচ্ছে- প্রতিদিন এত বড় অংকের টাকা যে যাত্রীদের পকেট থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে সেটা যাচ্ছে কোথায়। আর কারাইবা এতে লাভবান হচ্ছে।

দেশের নাগরিকরা এমনিতেই করোনাপরবর্তী সময়ে নানামুখী চাপের মধ্যে রয়েছে। তাদের আয় কমেছে, অনেকের আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এর বিপরীতে দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির কারণে দিন দিন ব্যয় বাড়ছে। সাধারণ মানুষ যখন আয়-ব্যায়ের হিসাব মেলাতে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে তখন বিভিন্ন গোষ্ঠী নানান কৌশলে তাদের পকেট কাটছে।

অর্থনৈতিক বাস্তবতায় যত দাম বাড়ে, দেশে ভোক্তাদের কাছ থেকে তার চেয়েও বেশি দাম আদায় করা হয়; কিন্তু দাম কমলে, যে অনুপাতে কমার কথা তা কমানো হয় না। তখন নানান অজুহাত দাঁড় করা হয়। এতে বরাবরই একটা বিশেষ শ্রেণি লাভবান হয়। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে পরিবহন খাত। প্রতিনিয়ত গণপরিবহনে ভাড়া বাবদও জনসাধারণকে বাড়তি পয়সা খরচ করতে হচ্ছে।

প্রশ্ন হচ্ছে- এতে সরকারের কোন দায় আছে কিনা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহনখাতে সামগ্রিকভাবে যে ব্যয় বেড়েছে, সরকার জনপ্রতি ভাড়া তার চেয়ে বেশি নির্ধারণ করেছে বলে অভিযোগ। কিন্তু পরিবহন মালিকরা সেটাও মানেন না, তারা এর চেয়েও বেশি ভাড়া নেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রতিবাদ করলে যাত্রীসাধারণকে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়।

সম্প্রতি গণপরিবহনে যাত্রী লাঞ্ছনার ২৫টি ঘটনা ঘটেছে। বাস থেকে ফেলে ১৪ যাত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন যাত্রী। এতে গণপরিবহন ব্যবহারে যাত্রীদের মধ্যে চরম ভীতির সঞ্চার হয়েছে। কিন্তু সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাউকেই এসবের বিরুদ্ধে কার্যকর কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না।

সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম লিটারে পাঁচ টাকা কমানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি কিলোমিটারে পরিবহন ভাড়া যে পাঁচ পয়সা কমানো হয়েছে এতে যাত্রীসাধারণ উপকৃত হয়নি। তাদের কাছ থেকে আগের বর্ধিত ভাড়াই আদায় করা হচ্ছে। মাঝখানে লাভবান হচ্ছে পরিবহন মালিকরা।

গণপরিবহনের ভাড়ার প্রশ্নে দিনের পর দিন এমন কোনো একটি ব্যবস্থাকে সরকার চলতে দিতে পারে কিনা, যার ফলে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়; আর একটি বিশেষ গোষ্ঠী লাভবান হয়- আমরা শুধু এই প্রশ্ন করতে চাই।

back to top