alt

মতামত » সম্পাদকীয়

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ

: শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের বিভিন্ন স্থানে লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে গরু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ গবাদিপশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গবাদিপশু মারাও গেছে বলে জানা গেছে।

পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এক ধরনের ভাইরাসের কারণে এলএসডি রোগ আক্তান্ত হয় গরু-মহিষ। সংক্রামক এই রোগ এক পশু থেকে আরেক পশুর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এলএসডি রোগে আক্রান্ত পশুর ত্বক ফুলে যায়, ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষত সৃষ্টি হয়। গবাদিপশুর এই রোগ কৃষক ও খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশে অতীতে এলএসডি মহমারী আকারে ছড়ায়নি। এই রোগকে গরুর খুরা রোগের চেয়ে ভয়াবহ হিসেব গণ্য করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন একটি খামারে যদি এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে তবে সেখানকার সব পশু সংক্রমিত হতে পারে। মশা-মাছির মাধ্যমে এক খামার থেকে আরেক খামারে এই রোগের সংক্রমণ ঘটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যেটা খামারি বা কৃষকের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দেশে এলএসডির সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়। এটা একদিকে স্বস্তিদায়ক। সমস্যা হচ্ছে, এই রোগের সংক্রমণ কম হওয়ার কারণে এর চিকিৎসা অর্থাৎ ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। আবার রোগাক্রান্ত পশুর চিকিৎসা খরচও ব্যয় সাপেক্ষ। এ কারণে রোগ-প্রতিরোধকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের যেসব এলাকায় এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গবাদিপশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন খামারে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কৃষক বা খামারিরা যেন দ্রুত গবাদিপশুর চিকিৎসায় পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলা জরুরি। খামারে কোন গরু এই রোগে আক্রান্ত হলে সেটাকে বাকি পশুদের কাছ থেকে সরিয়ে আলাদা রাখতে হবে। তাহলে সুস্থ পশুর মধ্যে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। আক্রান্ত পশুকে যেন মশা-মাছি কামড়াতে না পারে সেজন্য মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কারণ মশা-মাছির মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তৃত হয়। খামারের গবাদিপশুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ

শুক্রবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের বিভিন্ন স্থানে লাম্পি স্কিন ডিজিজে (এলএসডি) আক্রান্ত হচ্ছে গরু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত কয়েক লাখ গবাদিপশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গবাদিপশু মারাও গেছে বলে জানা গেছে।

পশু চিকিৎসকরা বলছেন, এক ধরনের ভাইরাসের কারণে এলএসডি রোগ আক্তান্ত হয় গরু-মহিষ। সংক্রামক এই রোগ এক পশু থেকে আরেক পশুর মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। মানুষের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ঘটে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এলএসডি রোগে আক্রান্ত পশুর ত্বক ফুলে যায়, ক্ষেত্রবিশেষে ক্ষত সৃষ্টি হয়। গবাদিপশুর এই রোগ কৃষক ও খামারিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও দেশে অতীতে এলএসডি মহমারী আকারে ছড়ায়নি। এই রোগকে গরুর খুরা রোগের চেয়ে ভয়াবহ হিসেব গণ্য করা হয়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন একটি খামারে যদি এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে তবে সেখানকার সব পশু সংক্রমিত হতে পারে। মশা-মাছির মাধ্যমে এক খামার থেকে আরেক খামারে এই রোগের সংক্রমণ ঘটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যেটা খামারি বা কৃষকের বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

দেশে এলএসডির সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হয়। এটা একদিকে স্বস্তিদায়ক। সমস্যা হচ্ছে, এই রোগের সংক্রমণ কম হওয়ার কারণে এর চিকিৎসা অর্থাৎ ভ্যাকসিন সহজলভ্য নয়। আবার রোগাক্রান্ত পশুর চিকিৎসা খরচও ব্যয় সাপেক্ষ। এ কারণে রোগ-প্রতিরোধকেই শ্রেয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের যেসব এলাকায় এলএসডির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে গবাদিপশুর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোন খামারে এই রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কৃষক বা খামারিরা যেন দ্রুত গবাদিপশুর চিকিৎসায় পদক্ষেপ নেয়, সে বিষয়ে তাদের সচেতন করে তোলা জরুরি। খামারে কোন গরু এই রোগে আক্রান্ত হলে সেটাকে বাকি পশুদের কাছ থেকে সরিয়ে আলাদা রাখতে হবে। তাহলে সুস্থ পশুর মধ্যে রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। আক্রান্ত পশুকে যেন মশা-মাছি কামড়াতে না পারে সেজন্য মশারি দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। কারণ মশা-মাছির মাধ্যমে এই রোগ দ্রুত বিস্তৃত হয়। খামারের গবাদিপশুগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে হবে।

back to top