alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পথশিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে

: শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রায় সব ধরনের অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে দেশের পথশিশুরা। দুই বেলা পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবারই জোটে না অনেক পথশিশুর। নেই বাসস্থান, মেলে না প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা।

এক গবেষণায় জানা গেছে যে, ৩১ শতাংশ পথশিশু একা থাকে। পথশিশুদের ৫৬ ভাগই পরিবহন টার্মিনালে, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, যানবাহন, পার্কে এবং ফুটপাতের মতো খোলা জায়গায় ঘুমায়। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ৯৮.৫ ভাগ। তারা প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে না। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘পথশিশুদের বঞ্চনা ও অধিকার’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অন্য শিশুদের মতো পথশিশুদেরও অধিকার রয়েছে। তবে নানান কারণে তারা সেসব অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পথশিশুদের জীবনমান উন্নত করার জন্য একসঙ্গে অনেক কাজ সম্পন্ন করা জরুরি। প্রথমে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। মাদক ও যৌন নির্যাতনের যে ঝুঁকিতে তারা রয়েছে সেই ঝুঁকি দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হবে। তাদের শিক্ষার আলোয় আলোকিতা করা এবং প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার বিকল্প নেই।

কোনো শিশু পথে থাকুক, একটি শিশুও পথশিশু হিসেবে বেড়ে উঠুক- সেটা আমরা চাই না। তাদের স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরিয়ে আনা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের জীবনমান উন্নয়নে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে; কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।

সমস্যা হচ্ছে- দেশে পথশিশুর সংখ্যা কত সেটা নিশ্চিত করে জানা যায় না। আদমশুমারিতে তাদের তথ্য কতটুকু ও কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় বা আদৌ তাদের নিয়ে কোনো তথ্য থাকে কিনা- সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে পরিবারভিত্তিক আদমশুমারির যে পদ্ধতি তাতে পথশিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত না থাকলে, তাদের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কারণে তাদের সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত জানা জরুরি। এজন্য তাদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা করতে হবে।

তাজরীনের ১৩ বছরের ক্ষত ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার কোথায়?

অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পথশিশুদের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে হবে

শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

প্রায় সব ধরনের অধিকার থেকেই বঞ্চিত হচ্ছে দেশের পথশিশুরা। দুই বেলা পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবারই জোটে না অনেক পথশিশুর। নেই বাসস্থান, মেলে না প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা।

এক গবেষণায় জানা গেছে যে, ৩১ শতাংশ পথশিশু একা থাকে। পথশিশুদের ৫৬ ভাগই পরিবহন টার্মিনালে, রেলস্টেশন, লঞ্চঘাট, যানবাহন, পার্কে এবং ফুটপাতের মতো খোলা জায়গায় ঘুমায়। শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ৯৮.৫ ভাগ। তারা প্রাতিষ্ঠানিক বা অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করছে না। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ‘পথশিশুদের বঞ্চনা ও অধিকার’ বিষয়ক এক সেমিনারে এ সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অন্য শিশুদের মতো পথশিশুদেরও অধিকার রয়েছে। তবে নানান কারণে তারা সেসব অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পথশিশুদের জীবনমান উন্নত করার জন্য একসঙ্গে অনেক কাজ সম্পন্ন করা জরুরি। প্রথমে তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হবে। মাদক ও যৌন নির্যাতনের যে ঝুঁকিতে তারা রয়েছে সেই ঝুঁকি দূর করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনতে হবে। তাদের শিক্ষার আলোয় আলোকিতা করা এবং প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার বিকল্প নেই।

কোনো শিশু পথে থাকুক, একটি শিশুও পথশিশু হিসেবে বেড়ে উঠুক- সেটা আমরা চাই না। তাদের স্বাভাবিক জীবনধারায় ফিরিয়ে আনা জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের জীবনমান উন্নয়নে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করছে; কিন্তু তা যথেষ্ট নয়।

সমস্যা হচ্ছে- দেশে পথশিশুর সংখ্যা কত সেটা নিশ্চিত করে জানা যায় না। আদমশুমারিতে তাদের তথ্য কতটুকু ও কীভাবে অন্তর্ভুক্ত হয় বা আদৌ তাদের নিয়ে কোনো তথ্য থাকে কিনা- সেটা একটা প্রশ্ন। দেশে পরিবারভিত্তিক আদমশুমারির যে পদ্ধতি তাতে পথশিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত না থাকলে, তাদের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া না গেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। সেই কারণে তাদের সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত জানা জরুরি। এজন্য তাদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট গবেষণা করতে হবে।

back to top