alt

opinion » editorial

নদী দখল-দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হতে হবে

: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের নদ-নদী দখল-দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই। যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সবাই নানাভাবে দূষণ ঘটাচ্ছে। শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের নদ-নদী দূষণ করছে, নাগরিকরাও তেমন দূষণ করছেন। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ঢাকার সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীতে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা না হলে নদীটি অচিরেই ভরাট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দূষণের কারণে বহু নদী আক্ষরিক্ষ অর্থেই ভাগাড়ে পরিণত করছে। নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা নানা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের কোন কথাই শোনে না। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন। ঢাকার আশপাশের নদ-নদী দূষণের জন্য ওয়াসার এমডি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কারাদন্ড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তার অভিযোগ, রাজধানীর মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪৫ লাখ কেজি মল ও ১৫০ কোটি লিটার মূত্র উৎপাদন করে। ঢাকা ওয়াসা এসব মানববর্জ্য শোধন করছে না। সংস্থাটিকে তিনি এক নম্বর দূষণকারী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

দায়িত্বশীলরা যদি নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল না করে তবে পরিস্থিতি বদলাবে না। তাদের দখল-দূষণ বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকলে দেশের নদ-নদী রক্ষা করা যাবে না।

সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে। মানুষ সচেতন না হলে একটি-দুটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে নদীদূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

নদী দখল-দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বশীল হতে হবে

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

দেশের নদ-নদী দখল-দূষণ বন্ধ করা যাচ্ছে না কিছুতেই। যে যেভাবে পারছে নদী দখল করছে। ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নির্বিশেষে সবাই নানাভাবে দূষণ ঘটাচ্ছে। শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশের নদ-নদী দূষণ করছে, নাগরিকরাও তেমন দূষণ করছেন। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ঢাকার সাভারের চামড়াশিল্প নগর থেকে চামড়া পরিশোধনের কারখানা বা ট্যানারির তরল বর্জ্য ধলেশ্বরী নদীতে ফেলার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌর শহরের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কীর্তিনাশা নদীতে। এতে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা না হলে নদীটি অচিরেই ভরাট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দূষণের কারণে বহু নদী আক্ষরিক্ষ অর্থেই ভাগাড়ে পরিণত করছে। নদ-নদীর অস্তিত্ব বিপন্ন হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা নানা হিসাব কষে দেখিয়েছেন যে এতে মানুষের জীবন ও জীবিকাও ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

নদী রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো যথাযথ ভূমিকা রাখছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেছেন, ঢাকা ওয়াসা ও উত্তর সিটি করপোরেশন তাদের কোন কথাই শোনে না। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে গত রোববার এক অনুষ্ঠানে তিনি এই অভিযোগ করেন। ঢাকার আশপাশের নদ-নদী দূষণের জন্য ওয়াসার এমডি ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের কারাদন্ড হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তার অভিযোগ, রাজধানীর মানুষ প্রতিদিন গড়ে ৪৫ লাখ কেজি মল ও ১৫০ কোটি লিটার মূত্র উৎপাদন করে। ঢাকা ওয়াসা এসব মানববর্জ্য শোধন করছে না। সংস্থাটিকে তিনি এক নম্বর দূষণকারী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সিটি করপোরেশনের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

দায়িত্বশীলরা যদি নদ-নদীগুলো নিজ উদ্যোগে দেখভাল না করে তবে পরিস্থিতি বদলাবে না। তাদের দখল-দূষণ বন্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। নিশ্চুপ ও নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থাকলে দেশের নদ-নদী রক্ষা করা যাবে না।

সরকারের পাশাপাশি নাগরিকদেরও এগিয়ে আসতে হবে। নদী রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে সবাইকে। মানুষ সচেতন না হলে একটি-দুটি কর্তৃপক্ষের পক্ষে নদীদূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। সবাই যদি যার যার জায়গা থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেন তাহলে নদী রক্ষার কাজটা সহজ হবে।

back to top