alt

opinion » editorial

বাল্যবিয়ে বন্ধে কাজীদের ভূমিকা

: বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

কেরানীগঞ্জে ব্যাপকহারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। বাল্যবিয়ের প্রভাবে মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি তিন শতাধিক বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। আর এ বাল্যবিয়ে বাড়ার মূলে স্থানীয় বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা একাধিক সহকারীর মাধ্যমে নকল জন্মসনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করার এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, দেশের একশ্রেণীর আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তথাকথিত ঘোষণাপত্র দিয়ে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের প্রকৃত বয়স যা-ই হোক না কেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছরের ওপরে দেখানো হয়।

একটি মেয়েশিশুর অকালে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ার কারণ বাল্যবিয়ে। বিয়ের পর কিশোরীরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। মা হওয়ার সময়েও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় তারা অধিক ঝুঁকিতে থাকে।

সংশ্লিষ্ট আইনে বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের জন্য বিয়ে নিবন্ধকের শাস্তিসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীরা এ আইনের ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল রয়েছেন। কিন্তু এর পরেও অনেকে এর ব্যত্যয় ঘটায়।

বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তারা অস্বীকার করেন। যেমনটা অস্বীকার করছেন কেরানীগঞ্জের বিয়ে নিবন্ধকরা। এর দায়ভার তারা নিতে চান না, বরং অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই বিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কাগজপত্র যে জাল-জালিয়াতি করে বানানো হয় এবং এ কাজে তারাও সহায়তা করেন- সেটা স্বীকার করতে চান না। এটা কোন দায়ত্বশীলতার পরিচয় হতে পারে না।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা আইনে ব্যত্যয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

বাল্যবিয়ে বন্ধে কাজীদের ভূমিকা

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

কেরানীগঞ্জে ব্যাপকহারে বাল্যবিয়ে বেড়েছে। বাল্যবিয়ের প্রভাবে মাধ্যমিক স্তরেই ঝরে যাচ্ছে অধিকাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী। কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি তিন শতাধিক বাল্যবিয়ে সংঘটিত হয়েছে। আর এ বাল্যবিয়ে বাড়ার মূলে স্থানীয় বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা একাধিক সহকারীর মাধ্যমে নকল জন্মসনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করে বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করছেন। এ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীদের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে সহযোগিতা করার এমন অভিযোগ প্রায়ই পাওয়া যায়। অভিযোগ রয়েছে, দেশের একশ্রেণীর আইনজীবীদের বিরুদ্ধেও। তারা নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তথাকথিত ঘোষণাপত্র দিয়ে বাল্যবিয়ের ব্যবস্থা করে থাকেন। এক্ষেত্রে ছেলেমেয়ের প্রকৃত বয়স যা-ই হোক না কেন, তাদের বয়স যথাক্রমে ২১ ও ১৮ বছরের ওপরে দেখানো হয়।

একটি মেয়েশিশুর অকালে লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়ার কারণ বাল্যবিয়ে। বিয়ের পর কিশোরীরা পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়। মা হওয়ার সময়েও একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর তুলনায় তারা অধিক ঝুঁকিতে থাকে।

সংশ্লিষ্ট আইনে বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি, বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের জন্য বিয়ে নিবন্ধকের শাস্তিসহ লাইসেন্স বাতিলের ব্যবস্থা রয়েছে। বিয়ে নিবন্ধক বা কাজীরা এ আইনের ব্যাপারে নিশ্চয়ই ওয়াকিবহাল রয়েছেন। কিন্তু এর পরেও অনেকে এর ব্যত্যয় ঘটায়।

বাল্যবিয়েতে সহযোগিতার অভিযোগ উঠলে তারা অস্বীকার করেন। যেমনটা অস্বীকার করছেন কেরানীগঞ্জের বিয়ে নিবন্ধকরা। এর দায়ভার তারা নিতে চান না, বরং অন্যদের ওপর চাপিয়ে দেন। তাদের ভাষ্য তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই বিয়ে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কাগজপত্র যে জাল-জালিয়াতি করে বানানো হয় এবং এ কাজে তারাও সহায়তা করেন- সেটা স্বীকার করতে চান না। এটা কোন দায়ত্বশীলতার পরিচয় হতে পারে না।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিবন্ধক বা কাজীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা আইনে ব্যত্যয় করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

back to top