alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী খননে জোর দিন

: বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নাব্য বাড়িয়ে শুষ্ক মৌসুমে পানির সহজলভ্যতা বাড়াতে এবং নদীর ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের নদ-নদীগুলো খনন করা জরুরি। তাছাড়া বন্যা, খরার মতো দুর্যোগগুলো থেকে বাঁচতে দেশের নদীগুলোর নিয়মিত খনন দরকার। পাশাপাশি নদীগুলোকে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রাচীনকাল থেকেই নদী পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর নাব্য উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। সঙ্গত কারণে কমে গেছে নদীর গভীরতা এবং পানির ধারণক্ষমতা। ফলে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই তলিয়ে যায় নদীর তীরবর্তী অধিকাংশ এলাকা।

অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় পানির তীব্র সংকট। তখন কৃষকের সেচের পানি তো দূরের কথা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও পানি পাওয়া যায় না। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়।

চলতি বছরের জুন মাসে সিলেট অঞ্চলে হয়ে গেল স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টিতে নদ-নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্যার বিস্তৃতি ঘটে। বিগত ১২২ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে এমন বন্যা আর হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর বহন ক্ষমতা ও নাব্য হারিয়ে যাওয়ার কারণে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

স্বাধীনতার পর সড়কপথের দৈর্ঘ্য প্রতি বছর বাড়লেও নৌপথ কমেছে। প্রতিনিয়ত দখল, ভরাট, নদীর গতিপথের পরিবর্তনের কারণেই নৌপথ দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যমতে, দেশে নদ-নদীর মোট দৈর্র্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটারে নৌযান চলাচল করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে তা আরও কমে ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটার হয়। অথচ ১৯৬০ সালেও দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার।

তাই খননের মাধ্যমে নদ-নদীর নাব্য পুনরুদ্ধার করতে হবে। নদীতে অব্যাহত ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথ সচল করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারও এসব বোঝে, তাই তারা বিভিন্ন সময়ে দেশের নদ-নদী নিয়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে; যা নৌ পরিবহন সেক্টরের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সুযোগ বৃদ্ধি এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

দেশে এখনও গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন করা হয়। নদী খনন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের দিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। খনন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নদ-নদী খননের প্রক্রিয়াসহ দখল ও দূষণ থেকে বাঁচাতে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সগেুলো সময়মতো শেষ করতে হবে। শুধু প্রকল্প হাতে নিলেই বা পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই হবে না, সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী খননে জোর দিন

বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

নাব্য বাড়িয়ে শুষ্ক মৌসুমে পানির সহজলভ্যতা বাড়াতে এবং নদীর ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের নদ-নদীগুলো খনন করা জরুরি। তাছাড়া বন্যা, খরার মতো দুর্যোগগুলো থেকে বাঁচতে দেশের নদীগুলোর নিয়মিত খনন দরকার। পাশাপাশি নদীগুলোকে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশে নদী খননের প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রাচীনকাল থেকেই নদী পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর নাব্য উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। সঙ্গত কারণে কমে গেছে নদীর গভীরতা এবং পানির ধারণক্ষমতা। ফলে ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই তলিয়ে যায় নদীর তীরবর্তী অধিকাংশ এলাকা।

অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে দেখা দেয় পানির তীব্র সংকট। তখন কৃষকের সেচের পানি তো দূরের কথা দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্যও পানি পাওয়া যায় না। দেশের উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়।

চলতি বছরের জুন মাসে সিলেট অঞ্চলে হয়ে গেল স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা। পাহাড়ি ঢল আর অতি ভারি বৃষ্টিতে নদ-নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ বন্যার বিস্তৃতি ঘটে। বিগত ১২২ বছরের মধ্যে এ অঞ্চলে এমন বন্যা আর হয়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই অঞ্চলের নদ-নদীগুলোর বহন ক্ষমতা ও নাব্য হারিয়ে যাওয়ার কারণে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে।

স্বাধীনতার পর সড়কপথের দৈর্ঘ্য প্রতি বছর বাড়লেও নৌপথ কমেছে। প্রতিনিয়ত দখল, ভরাট, নদীর গতিপথের পরিবর্তনের কারণেই নৌপথ দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যমতে, দেশে নদ-নদীর মোট দৈর্র্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটারে নৌযান চলাচল করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে তা আরও কমে ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটার হয়। অথচ ১৯৬০ সালেও দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার।

তাই খননের মাধ্যমে নদ-নদীর নাব্য পুনরুদ্ধার করতে হবে। নদীতে অব্যাহত ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নৌপথ সচল করার কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারও এসব বোঝে, তাই তারা বিভিন্ন সময়ে দেশের নদ-নদী নিয়ে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। বিআইডব্লিউটিএর তথ্যমতে, দেশের ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে; যা নৌ পরিবহন সেক্টরের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সুযোগ বৃদ্ধি এবং পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।

দেশে এখনও গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদী খনন করা হয়। নদী খনন প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, অটোমেশন এবং ডিজিটালাইজেশনের দিকে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে। খনন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িতদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। নদ-নদী খননের প্রক্রিয়াসহ দখল ও দূষণ থেকে বাঁচাতে যেসব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে সগেুলো সময়মতো শেষ করতে হবে। শুধু প্রকল্প হাতে নিলেই বা পরিকল্পনা গ্রহণ করলেই হবে না, সেগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top