alt

মতামত » সম্পাদকীয়

কেঁচো সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে

: সোমবার, ০৩ অক্টোবর ২০২২

দেশে জমি কমছে কিন্তু খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সার ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহারই হয় বেশি। সমস্যা হচ্ছে নির্বিচারে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে জমির উর্বরতা শক্তি ও জৈবিক উপাদান কমে যায়। যার ফলে একপর্যায়ে ফসলের ফলন কমে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ে বিরূপ প্রভাব।

আশার কথা হচ্ছে- রাসায়নিক সারের বিকল্প রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্টের কথা বলা যায়। কেঁচো সার ব্যবহার করা হলে ফসলের উৎপাদন ও জমির উর্বরতা দুই-ই বাড়ে। এতে রাসায়নিক মুক্ত ফসল উৎপাদন করা যায়। তুলনামূলক কম খরচের কারণে লাভবান হন কৃষক।

কেঁচো সার তৈরি করে অনেক প্রান্তিক চাষীও লাভবান হচ্ছেন। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কয়েকশ প্রান্তিক চাষি। এর মাধ্যমে তাদের জীবনে এসেছে সচ্ছলতা।

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা দেশে রয়েছে। সহজলভ্য উপাদান দিয়ে অল্প পুঁজিতেই সার উৎপাদন করা যায়। কৃষকরা নিজেরাই তাদের উৎপাদিত সার ব্যবহার করতে পারেন আবার অন্যদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন।

কেঁচো সার উৎপাদন বা ব্যবহারে বহুমাত্রিক সুবিধা মেলে। দেশে এর ব্যবহার বাড়ুক সেটাই আমাদের চাওয়া। যেসব কৃষক এখনো এই সার ব্যবহার করছেন না তাদের এর উপকারিতা সম্পর্কে বোঝাতে হবে। তাদের এর ব্যবহারে উৎসাহী করতে হবে।

কেঁচো সারের গুণগতমান উন্নয়নে দেশে গবেষণা হচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক। এখন জরুরি হচ্ছে, সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। সার উৎপাদনে যদিও বড় পুঁজির প্রয়োজন হয় না, তবে প্রান্তিক দরিদ্র অনেক মানুষের পক্ষে অল্প পুঁজিও হয়তো সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাদের সরকারি-বেসরকারিভাবে সহায়তা করা দরকার।

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

নির্বাচনী সহিংসতা বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন

প্রান্তিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা যেন অবহেলার শিকার না হয়

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল : একটি ভুল বার্তা

ঘিওর ভেটেরিনারি হাসপাতালের সংকট দূর করুন

ভূমি অফিসে সেবাপ্রার্থীদের দুর্ভোগ

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

কেঁচো সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে

সোমবার, ০৩ অক্টোবর ২০২২

দেশে জমি কমছে কিন্তু খাদ্যের চাহিদা বাড়ছে। ফসলের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সার ব্যবহার করতে হয়। এক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহারই হয় বেশি। সমস্যা হচ্ছে নির্বিচারে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হলে জমির উর্বরতা শক্তি ও জৈবিক উপাদান কমে যায়। যার ফলে একপর্যায়ে ফসলের ফলন কমে। পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর পড়ে বিরূপ প্রভাব।

আশার কথা হচ্ছে- রাসায়নিক সারের বিকল্প রয়েছে। প্রসঙ্গক্রমে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্টের কথা বলা যায়। কেঁচো সার ব্যবহার করা হলে ফসলের উৎপাদন ও জমির উর্বরতা দুই-ই বাড়ে। এতে রাসায়নিক মুক্ত ফসল উৎপাদন করা যায়। তুলনামূলক কম খরচের কারণে লাভবান হন কৃষক।

কেঁচো সার তৈরি করে অনেক প্রান্তিক চাষীও লাভবান হচ্ছেন। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কেঁচো সার উৎপাদন ও বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কয়েকশ প্রান্তিক চাষি। এর মাধ্যমে তাদের জীবনে এসেছে সচ্ছলতা।

ভার্মি কম্পোস্ট তৈরির প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা দেশে রয়েছে। সহজলভ্য উপাদান দিয়ে অল্প পুঁজিতেই সার উৎপাদন করা যায়। কৃষকরা নিজেরাই তাদের উৎপাদিত সার ব্যবহার করতে পারেন আবার অন্যদের কাছেও বিক্রি করতে পারেন।

কেঁচো সার উৎপাদন বা ব্যবহারে বহুমাত্রিক সুবিধা মেলে। দেশে এর ব্যবহার বাড়ুক সেটাই আমাদের চাওয়া। যেসব কৃষক এখনো এই সার ব্যবহার করছেন না তাদের এর উপকারিতা সম্পর্কে বোঝাতে হবে। তাদের এর ব্যবহারে উৎসাহী করতে হবে।

কেঁচো সারের গুণগতমান উন্নয়নে দেশে গবেষণা হচ্ছে। এটা একটা ভালো দিক। এখন জরুরি হচ্ছে, সার উৎপাদনের প্রশিক্ষণ সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া। সার উৎপাদনে যদিও বড় পুঁজির প্রয়োজন হয় না, তবে প্রান্তিক দরিদ্র অনেক মানুষের পক্ষে অল্প পুঁজিও হয়তো সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না। তাদের সরকারি-বেসরকারিভাবে সহায়তা করা দরকার।

back to top