alt

সম্পাদকীয়

জাতীয় গ্রিড বারবার বিপর্যয়ের কারণ কী

: বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাসখানেক আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল। সে সময় রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ দেশের অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

৭ সেপ্টেম্বরের বিপর্যয় দ্রুতই সামলানো গেছে। সেদিন গ্রিড বিপর্যয়ের ৪০ মিনিট পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে মঙ্গলবারের বিপর্যয় সামলাতে সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হয়েছে। কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। চিকিৎসাসেবা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, মোবাইল যোগাযোগ, শিল্পকলকারখানায় উৎপাদন, ব্যাংকিং সেবা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে। তবে মানুষ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।

এক মাসের মধ্যে দুইবার গ্রিড বিপর্যয় ঘটল। অতীতেও দেশে গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বারবার কেন বিপত্তি ঘটছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

গ্রিড বিপর্যয় শুধু যে বাংলাদেশেই হয়, তা নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এ ধরনের বিপর্যয় ঘটতে দেখা গেছে। অনেক সময় সক্রিয় সঞ্চালন লাইনে গাছের ডাল ভেঙে পড়া বা পাখি বসার কারণে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে। আবার কারিগরি ত্রুটিও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ফ্রিকোয়েন্সিতে কখনো গড়বড় হলে গ্রিড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পুরোনো সঞ্চালন লাইনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হলে অনেক সময় গ্রিডের সার্কিট পুড়ে যেতে পারে। তখন বিপর্যয় ঘটতে পারে। আবার সঞ্চালন লাইনে যদি ছিদ্র থাকে, তাহলে সেখান থেকে স্পার্ক করতে পারে। এর ফলেও বিপত্তি ঘটতে পারে।

মঙ্গলবার কেন গ্রিড বিপর্যয় হলো, সেটা জানতে দুটো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

জাতীয় গ্রিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনা। এখানে কোন বিপত্তি ঘটলে দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। এর নিরাপত্তায় কোথাও কোন ঘাটতি আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। দৈবদুর্বিপাকের ওপর কারও হাত নেই। তবে কারিগরি ক্ষেত্রে কোন দুর্বলতা থাকলে, তা দূর করতে হবে।

দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রিডের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।

কোন কারণে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে তা দ্রুত ঠিক করার সক্ষমতায় কোন ঘাটতি আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

জাতীয় গ্রিড বারবার বিপর্যয়ের কারণ কী

বুধবার, ০৫ অক্টোবর ২০২২

জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাসখানেক আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় গ্রিডের একটি সঞ্চালন লাইনে বিভ্রাট দেখা দিয়েছিল। সে সময় রাজশাহী, খুলনা, বরিশালসহ দেশের অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

৭ সেপ্টেম্বরের বিপর্যয় দ্রুতই সামলানো গেছে। সেদিন গ্রিড বিপর্যয়ের ৪০ মিনিট পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে মঙ্গলবারের বিপর্যয় সামলাতে সংশ্লিষ্টদের বেগ পেতে হয়েছে। কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল। চিকিৎসাসেবা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, মোবাইল যোগাযোগ, শিল্পকলকারখানায় উৎপাদন, ব্যাংকিং সেবা প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটে। তবে মানুষ ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।

এক মাসের মধ্যে দুইবার গ্রিড বিপর্যয় ঘটল। অতীতেও দেশে গ্রিড বিপর্যয় হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থায় বারবার কেন বিপত্তি ঘটছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

গ্রিড বিপর্যয় শুধু যে বাংলাদেশেই হয়, তা নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও এ ধরনের বিপর্যয় ঘটতে দেখা গেছে। অনেক সময় সক্রিয় সঞ্চালন লাইনে গাছের ডাল ভেঙে পড়া বা পাখি বসার কারণে গ্রিড বিপর্যয় হতে পারে। আবার কারিগরি ত্রুটিও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ফ্রিকোয়েন্সিতে কখনো গড়বড় হলে গ্রিড বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পুরোনো সঞ্চালন লাইনে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হলে অনেক সময় গ্রিডের সার্কিট পুড়ে যেতে পারে। তখন বিপর্যয় ঘটতে পারে। আবার সঞ্চালন লাইনে যদি ছিদ্র থাকে, তাহলে সেখান থেকে স্পার্ক করতে পারে। এর ফলেও বিপত্তি ঘটতে পারে।

মঙ্গলবার কেন গ্রিড বিপর্যয় হলো, সেটা জানতে দুটো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আশা করব, সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।

জাতীয় গ্রিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর স্থাপনা। এখানে কোন বিপত্তি ঘটলে দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। এর নিরাপত্তায় কোথাও কোন ঘাটতি আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখা দরকার। দৈবদুর্বিপাকের ওপর কারও হাত নেই। তবে কারিগরি ক্ষেত্রে কোন দুর্বলতা থাকলে, তা দূর করতে হবে।

দেশে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায় কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গ্রিডের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা জরুরি।

কোন কারণে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে তা দ্রুত ঠিক করার সক্ষমতায় কোন ঘাটতি আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

back to top