alt

opinion » editorial

রোহিঙ্গা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২

গত মঙ্গলবার ভোরে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন রোহিঙ্গা নারী ও এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়াদের তথ্য মতে, ওই ট্রলারে ৭০ জনের মতো ছিলেন। সেই হিসেবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৪ জন।

রোহিঙ্গাদের সাগরপথ পাড়ি দিয়ে বিদেশ যাত্রার এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০২০ সালে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ার সীমান্তে পৌঁছালেও দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি। পরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্রসৈকতে ফিরে আসা ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল কোস্টগার্ড। ওই দলের সঙ্গে থাকা অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা খাবার ও পানি সংকটে মারা যায়।

রোহিঙ্গারা প্রায়ই এমন ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথ পাড়ি দিয়ে থাকে। এতে নানান দুর্ঘটনাসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু তারপরও থামছে না সাগর পাড়ি দিয়ে বিপজ্জনভাবে বিদেশ-যাত্রা। কারণ, রোহিঙ্গারা মরিয়া হয়ে জীবন ও জীবিকার সন্ধানে যেতে চায়। আর এ কাজে সহায়তার নামে দেশের কয়েকটি দালাল চক্র তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে।

শুধু যে রোহিঙ্গারাই এভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তা নয়। দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের অনেক তরুণই নিঃস্ব হয়েছেন। সাগরে সলিলসমাধি ঘটেছে হাজারো তরুণের স্বপ্ন। এর পরও থেমে নেই মানব পাচার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল দিয়ে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর কাজে জড়িত অন্তত ৫০০ দালালকে তারা চিহ্নিত করেছে। এদের অবস্থান দেশের ১৮টি জেলায়। দালালরা ভালো চাকরি ও কম টাকায় বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে লোক সংগ্রহ করে। এখন তারা রোহিঙ্গাদের পাঠাতেই সবচেয়ে বেশি তৎপর রয়েছে।

রোহিঙ্গারা যে শুধু কাজের সন্ধানে বিপজ্জনকভাবে নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন, তা নয়। তাদের অনেকে পাসপোর্ট করে ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই যাচ্ছে। যত দিন না রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা যাবে, তত দিন এ সমস্যা থেকেই যাবে। এ জন্য তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেটা খুব সহজেই হচ্ছে না। প্রত্যাবাসনের কাজ দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

রোহিঙ্গারা সাগর পাড়ি দিয়ে কিংবা পাসপোর্ট বানিয়ে অবৈধভাবে যাতে বিদেশে পাড়ি জমাতে না পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু দালালদের গ্রেপ্তার করলেই হবে না। নেপথ্যের রাঘববোয়ালদেরও খুঁজে বের করতে হবে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

রোহিঙ্গা পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২

গত মঙ্গলবার ভোরে অবৈধভাবে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলীয় বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন রোহিঙ্গা নারী ও এক শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জীবিত অবস্থায় ৪৫ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়াদের তথ্য মতে, ওই ট্রলারে ৭০ জনের মতো ছিলেন। সেই হিসেবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ২৪ জন।

রোহিঙ্গাদের সাগরপথ পাড়ি দিয়ে বিদেশ যাত্রার এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে ২০২০ সালে অবৈধভাবে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ার সীমান্তে পৌঁছালেও দেশটিতে প্রবেশ করতে পারেনি। পরে টেকনাফের বাহারছড়া সমুদ্রসৈকতে ফিরে আসা ৩৯৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছিল কোস্টগার্ড। ওই দলের সঙ্গে থাকা অন্তত ৩০ রোহিঙ্গা খাবার ও পানি সংকটে মারা যায়।

রোহিঙ্গারা প্রায়ই এমন ঝুঁকি নিয়ে সাগরপথ পাড়ি দিয়ে থাকে। এতে নানান দুর্ঘটনাসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বিভিন্ন সময়ে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু তারপরও থামছে না সাগর পাড়ি দিয়ে বিপজ্জনভাবে বিদেশ-যাত্রা। কারণ, রোহিঙ্গারা মরিয়া হয়ে জীবন ও জীবিকার সন্ধানে যেতে চায়। আর এ কাজে সহায়তার নামে দেশের কয়েকটি দালাল চক্র তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছে।

শুধু যে রোহিঙ্গারাই এভাবে প্রতারণার শিকার হচ্ছে, তা নয়। দালালদের ফাঁদে পা দিয়ে দেশের অনেক তরুণই নিঃস্ব হয়েছেন। সাগরে সলিলসমাধি ঘটেছে হাজারো তরুণের স্বপ্ন। এর পরও থেমে নেই মানব পাচার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্যমতে, কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূল দিয়ে থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় লোক পাঠানোর কাজে জড়িত অন্তত ৫০০ দালালকে তারা চিহ্নিত করেছে। এদের অবস্থান দেশের ১৮টি জেলায়। দালালরা ভালো চাকরি ও কম টাকায় বিদেশ পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে লোক সংগ্রহ করে। এখন তারা রোহিঙ্গাদের পাঠাতেই সবচেয়ে বেশি তৎপর রয়েছে।

রোহিঙ্গারা যে শুধু কাজের সন্ধানে বিপজ্জনকভাবে নৌপথ পাড়ি দিচ্ছেন, তা নয়। তাদের অনেকে পাসপোর্ট করে ভিসা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশেই যাচ্ছে। যত দিন না রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন করা যাবে, তত দিন এ সমস্যা থেকেই যাবে। এ জন্য তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সেটা খুব সহজেই হচ্ছে না। প্রত্যাবাসনের কাজ দিন দিন জটিল আকার ধারণ করছে। তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

রোহিঙ্গারা সাগর পাড়ি দিয়ে কিংবা পাসপোর্ট বানিয়ে অবৈধভাবে যাতে বিদেশে পাড়ি জমাতে না পারে, সেদিকে নজর দিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও তৎপর হতে হবে। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু দালালদের গ্রেপ্তার করলেই হবে না। নেপথ্যের রাঘববোয়ালদেরও খুঁজে বের করতে হবে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

back to top