alt

মতামত » সম্পাদকীয়

পাহাড়ধস : সতর্ক হতে হবে

: শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের শুকনা নন্দারাম এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি সড়কের ওপর পড়ে। এতে গত বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সড়কের দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। সেনাবাহিনীর একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানো হয়। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে পর্যটকদের ভোগান্তি হয়েছে, যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

সাজেকে এখন বহসংখ্যক পর্যটক আসা-যাওয়া করে। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ধসকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে নিতে হবে। পাহাড়-টিলা ধস যে কত বড় ট্র্যাজেডি বয়ে আনতে পারে, সেটা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। এক হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালে। সেবার ১২৭ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত আগস্ট মাসে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাখাইছড়া চা-বাগানে টিলা ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত জুন মাসে চট্টগ্রাম শহরে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জনিয়েছেন, রাতে বৃষ্টি হওয়ায় নন্দারাম এলাকায় পাহড়া ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দেশের পাহাড়গুলোর যে বৈশিষ্ট্য, তাতে একটু বৃষ্টি হলেই ধসে পাড়ার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর উন্নয়ন বা বসতি স্থাপনের নামে পাহাড় কাটলে বা পাহাড়ের বন ধ্বংস করা হলে এর মাটির গাঁথুনি আরও দুর্বল হয়ে যায়। তখন সামান্য বৃষ্টিতেই পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকে। ফলে প্রায়ই বর্ষা মৌসুমে বা বৃষ্টির পরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

পাহাড় ধসের প্রধান কারণ পাহাড়ি বন ধ্বংস করা, নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলা। প্রায়ই চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার খবর পাওয়া যায়। পাহাড়-টিলা কাটার প্রভাবে এসব এলাকায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল। পাহাড়-টিলা ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা।

আবার প্রভাবশালী মহলও পাহাড় কেটে বাড়িঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়ে থাকে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশের মাটি কেটে বসতি স্থাপন করে হতদরিদ্র অনেকেই সেখানে বসবাস করে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে এক সময় পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব থাকবে না। পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধে কোন পদক্ষেপ কার্যকর প্রমাণত হয়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। তাই যে কোনো উপায়ে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। যেসব পাহাড়-টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। পাহাড় বেষ্টনী দিয়ে বনায়ন করতে হবে।

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

পাহাড়ধস : সতর্ক হতে হবে

শুক্রবার, ০৭ অক্টোবর ২০২২

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতে উপজেলার বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের শুকনা নন্দারাম এলাকায় পাহাড় ধসে মাটি সড়কের ওপর পড়ে। এতে গত বুধবার সকাল ছয়টা থেকে সড়কের দুই দিকে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে। সেনাবাহিনীর একটি এক্সকাভেটর দিয়ে সড়ক থেকে মাটি সরানো হয়। এতে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে পর্যটকদের ভোগান্তি হয়েছে, যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।

সাজেকে এখন বহসংখ্যক পর্যটক আসা-যাওয়া করে। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ধসকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবে নিতে হবে। পাহাড়-টিলা ধস যে কত বড় ট্র্যাজেডি বয়ে আনতে পারে, সেটা দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। এক হিসাব অনুযায়ী, গত ১৩ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সবচেয়ে মর্মান্তিক পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালে। সেবার ১২৭ জনের প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত আগস্ট মাসে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার লাখাইছড়া চা-বাগানে টিলা ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত জুন মাসে চট্টগ্রাম শহরে পাহাড় ধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

সাজেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জনিয়েছেন, রাতে বৃষ্টি হওয়ায় নন্দারাম এলাকায় পাহড়া ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। দেশের পাহাড়গুলোর যে বৈশিষ্ট্য, তাতে একটু বৃষ্টি হলেই ধসে পাড়ার আশঙ্কা থাকে। তার ওপর উন্নয়ন বা বসতি স্থাপনের নামে পাহাড় কাটলে বা পাহাড়ের বন ধ্বংস করা হলে এর মাটির গাঁথুনি আরও দুর্বল হয়ে যায়। তখন সামান্য বৃষ্টিতেই পাহাড় ধসের সম্ভাবনা থাকে। ফলে প্রায়ই বর্ষা মৌসুমে বা বৃষ্টির পরে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।

পাহাড় ধসের প্রধান কারণ পাহাড়ি বন ধ্বংস করা, নির্বিচারে গাছপালা কেটে ফেলা। প্রায়ই চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়-টিলা কাটার খবর পাওয়া যায়। পাহাড়-টিলা কাটার প্রভাবে এসব এলাকায় ভূমিক্ষয় বাড়ছে। বিনষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ, নিঃশেষ হচ্ছে বনাঞ্চল। পাহাড়-টিলা ধসের ঝুঁকিতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকা।

আবার প্রভাবশালী মহলও পাহাড় কেটে বাড়িঘর তৈরি করে ভাড়া দিয়ে থাকে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে পাহাড় কাটার অভিযোগ রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশের মাটি কেটে বসতি স্থাপন করে হতদরিদ্র অনেকেই সেখানে বসবাস করে। এভাবে চলতে থাকলে দেশে এক সময় পাহাড়-টিলার অস্তিত্ব থাকবে না। পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধে কোন পদক্ষেপ কার্যকর প্রমাণত হয়নি।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তিমালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করতে পারবে না। আইন অমান্য করলে অপরাধ ভেদে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। পরিবেশ আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। তাই যে কোনো উপায়ে পাহাড়-টিলা কাটা বন্ধ করতে হবে। যেসব পাহাড়-টিলা এখনো অক্ষত অবস্থায় আছে, সেসবের সুরক্ষা করতে হবে। পাহাড় বেষ্টনী দিয়ে বনায়ন করতে হবে।

back to top