alt

opinion » editorial

ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির বিচারে বিলম্ব কেন

: বুধবার, ০৯ নভেম্বর ২০২২

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে দুদক ৫৬টি মামলা করে। এখনো এসব মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। যে কারণে চার্জশিট দেয়া যাচ্ছে না আর বিচারও শুরু করা যাচ্ছে না।

মামলা হওয়ার এত বছর পরও ঝুলে আছে অর্ধশতাধিক মামলা। কোন একটি মামলারও বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। দুদক এখনো কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না, চার্জশিট দিতে পারছে না, সমস্যাটা কোথায়? যেই ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে, তার বিচার কেন করা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন হাইকোর্টের। এর উত্তর জানা জরুরি।

শুরু থেকেই বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। মামলাগুলোতে আসামি বাছাই করা হয়েছে পছন্দমতো। জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি দুদক। অথচ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে বলেছেন যে, ‘ঋণ জালিয়াতিতে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা ছিল।’ একটি ভালো ব্যাংককে তিনি রুগ্ন করেছেন। তারপরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কেন? তিনি কি এতই শক্তিশালী যে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মামলাও করতে পারবে না। তার ক্ষমতার উৎস কোথায়?

হাইকোর্ট এর আগে বলেছে, ‘ব্যাংক খাতে বড় বড় অপরাধ হচ্ছে। দেশটাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। এভাবে চললে দেশ এগোবে কীভাবে?’ সমস্যা হচ্ছে, ব্যাংক খাতে দুর্নীতির বিচার করা যাচ্ছে না। শুধু যে বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিচারই যে ঝুলে আছে, তা নয়। রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে অনিয়ম-দুর্নীতির বিচারও হতে দেখা যায় না। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। স্বাধীনতার পর দেশের আর্থিক খাতে বড় বড় অনেক দুর্নীতি ঘটেছে। ব্যাংক লুটপাটের ঘটনায় আজ পর্যন্ত কারও শাস্তি হয়েছে কি না, সেটা গবেষণার বিষয়।

দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে লুটপাট হয়, তা মানুষের টাকা। এর কোনো বিচার হয় না কেন? স্বাধীনতার পর ৫০ বছর হয়ে গেল এখনো ব্যাংক খাতকে ঠিক করা গেল না। প্রভাবশালীরা মানুষের আমানত লুট করছে কিন্তু তাদের কিচ্ছু হচ্ছে না। কতটা ক্ষুব্ধ হলে আদালত এই কথা বলতে পারে যে, ‘জনগণের অর্থ আত্মসাৎকারীদের গুলি করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’ বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার বিচারে বিলম্বের কারণে উষ্মা প্রকাশ করে এসব কথা বলেছে হাইকোর্ট।

আমরা বলতে চাই, বিচার প্রক্রিয়ার গোড়ায় গলদ থাকলে বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় না। ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির মামলার তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুত হতে হবে। শক্ত, নিñিদ্র চার্জশিট দিতে হবে। সব অপরাধীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। পছন্দমতো আসামি বাছাই করলে চলবে না।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির বিচারে বিলম্ব কেন

বুধবার, ০৯ নভেম্বর ২০২২

রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে দুদক ৫৬টি মামলা করে। এখনো এসব মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। যে কারণে চার্জশিট দেয়া যাচ্ছে না আর বিচারও শুরু করা যাচ্ছে না।

মামলা হওয়ার এত বছর পরও ঝুলে আছে অর্ধশতাধিক মামলা। কোন একটি মামলারও বিচারিক কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। দুদক এখনো কেন তদন্ত শেষ করতে পারছে না, চার্জশিট দিতে পারছে না, সমস্যাটা কোথায়? যেই ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি নিয়ে সংসদে আলোচনা হয়েছে, তার বিচার কেন করা যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন হাইকোর্টের। এর উত্তর জানা জরুরি।

শুরু থেকেই বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। মামলাগুলোতে আসামি বাছাই করা হয়েছে পছন্দমতো। জালিয়াতির ঘটনায় ব্যাংকটির তৎকালীন চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি দুদক। অথচ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সংসদে বলেছেন যে, ‘ঋণ জালিয়াতিতে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা ছিল।’ একটি ভালো ব্যাংককে তিনি রুগ্ন করেছেন। তারপরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কেন? তিনি কি এতই শক্তিশালী যে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান মামলাও করতে পারবে না। তার ক্ষমতার উৎস কোথায়?

হাইকোর্ট এর আগে বলেছে, ‘ব্যাংক খাতে বড় বড় অপরাধ হচ্ছে। দেশটাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। এভাবে চললে দেশ এগোবে কীভাবে?’ সমস্যা হচ্ছে, ব্যাংক খাতে দুর্নীতির বিচার করা যাচ্ছে না। শুধু যে বেসিক ব্যাংকের অনিয়ম-দুর্নীতির বিচারই যে ঝুলে আছে, তা নয়। রাষ্ট্রীয় সোনালী ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকে অনিয়ম-দুর্নীতির বিচারও হতে দেখা যায় না। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর অবস্থাও ভালো নয়। স্বাধীনতার পর দেশের আর্থিক খাতে বড় বড় অনেক দুর্নীতি ঘটেছে। ব্যাংক লুটপাটের ঘটনায় আজ পর্যন্ত কারও শাস্তি হয়েছে কি না, সেটা গবেষণার বিষয়।

দেশে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে লুটপাট হয়, তা মানুষের টাকা। এর কোনো বিচার হয় না কেন? স্বাধীনতার পর ৫০ বছর হয়ে গেল এখনো ব্যাংক খাতকে ঠিক করা গেল না। প্রভাবশালীরা মানুষের আমানত লুট করছে কিন্তু তাদের কিচ্ছু হচ্ছে না। কতটা ক্ষুব্ধ হলে আদালত এই কথা বলতে পারে যে, ‘জনগণের অর্থ আত্মসাৎকারীদের গুলি করা উচিত। এটাই তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।’ বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলার বিচারে বিলম্বের কারণে উষ্মা প্রকাশ করে এসব কথা বলেছে হাইকোর্ট।

আমরা বলতে চাই, বিচার প্রক্রিয়ার গোড়ায় গলদ থাকলে বিচার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা যায় না। ব্যাংক খাতের অনিয়ম-দুর্নীতির মামলার তদন্ত সুষ্ঠু ও দ্রুত হতে হবে। শক্ত, নিñিদ্র চার্জশিট দিতে হবে। সব অপরাধীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। পছন্দমতো আসামি বাছাই করলে চলবে না।

back to top