alt

opinion » editorial

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আঙুলের ছাপ না মেলা প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনতে পারছে না চার হাজারেরও বেশি পরিবার। আঙুলের ছাপ না মেলায় গত দুই মাস ধরে তারা চাল কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। চাল নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের খালি হাতে ফেরত যেতে হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অনলাইন ডাটাবেজে সুবিধাভোগীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নামের মিল নেই। তাই তথ্যের গরমিল হওয়ায় জটিলতায় পড়েছেন তারা। যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলে নভেম্বর থেকে চাল পাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সঠিক যাচাই করে তালিকা সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ বাদ পড়লে পুনরায় তদন্ত করে দেখা হবে।

ডিলাররা ২০ হাজার টাকা খরচ করে ফিঙ্গার মেশিন ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মেশিনে আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। একাধিকবার টেকনিশিয়ান আসলেও কাজ হচ্ছে না। চাল নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেকেই।

আঙুলের ছাপ মিলিয়ে চাল দেয়ার পদ্ধতিটি প্রশংসাযোগ্য। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া কার্ডধারীরা একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবে না। তবে এখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে বা কোন কারণে যদি মেশিনে আঙুলের ছাপ না মিলে তাহলে উপকারভোগীরা কি বঞ্চিত হবে? চাল কিনতে তাদের দিনের পর দিন ঘুরতে হবে?

নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বাজারে যেসব পরিবার গত দুই মাস ধরে চাল পাচ্ছে না তাদের সংকটময় পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। কারণ তারা এ চালের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাই খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।

আমরা বলতে চাই, হয় পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত করতে হবে; না হয় খুব দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা চাল পায়। তাছাড়া তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে নামে টাকা নেয়ার অভিযোগটিও খতিয়ে দেখতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

tab

opinion » editorial

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আঙুলের ছাপ না মেলা প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর ২০২২

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনতে পারছে না চার হাজারেরও বেশি পরিবার। আঙুলের ছাপ না মেলায় গত দুই মাস ধরে তারা চাল কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। চাল নিতে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও তাদের খালি হাতে ফেরত যেতে হয়েছে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির অনলাইন ডাটাবেজে সুবিধাভোগীদের অনেকের জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে নামের মিল নেই। তাই তথ্যের গরমিল হওয়ায় জটিলতায় পড়েছেন তারা। যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হলে নভেম্বর থেকে চাল পাবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সঠিক যাচাই করে তালিকা সম্পন্ন করা হচ্ছে। তবে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেউ বাদ পড়লে পুনরায় তদন্ত করে দেখা হবে।

ডিলাররা ২০ হাজার টাকা খরচ করে ফিঙ্গার মেশিন ক্রয় করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু মেশিনে আঙুলের ছাপ নিচ্ছে না। একাধিকবার টেকনিশিয়ান আসলেও কাজ হচ্ছে না। চাল নিতে এসে ফিরে যেতে হচ্ছে অনেকেই।

আঙুলের ছাপ মিলিয়ে চাল দেয়ার পদ্ধতিটি প্রশংসাযোগ্য। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম বা দুর্নীতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া কার্ডধারীরা একাধিক সরকারি সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করতে পারবে না। তবে এখানে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে বা কোন কারণে যদি মেশিনে আঙুলের ছাপ না মিলে তাহলে উপকারভোগীরা কি বঞ্চিত হবে? চাল কিনতে তাদের দিনের পর দিন ঘুরতে হবে?

নিত্যপণ্যের উচ্চমূল্যের বাজারে যেসব পরিবার গত দুই মাস ধরে চাল পাচ্ছে না তাদের সংকটময় পরিস্থিতি পার করতে হচ্ছে। কারণ তারা এ চালের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তাই খুব দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা উচিত।

আমরা বলতে চাই, হয় পদ্ধতিটি ত্রুটিমুক্ত করতে হবে; না হয় খুব দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে প্রকৃত উপকারভোগীরা চাল পায়। তাছাড়া তালিকা যাচাই-বাছাইয়ে নামে টাকা নেয়ার অভিযোগটিও খতিয়ে দেখতে হবে। আশা করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

back to top