alt

opinion » editorial

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে চাই সমন্বিত প্রচেষ্টা

: রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। তবে কেবল শিশুরাই যে এই রোগে আক্রান্ত হয় তা নয়। নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও। যথাসময়ে চিকিৎসা করা না হলে এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে।

১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও’।

এক হিসাব অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ২৪ হাজার ৩০০ শিশু। এই হিসাব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সেবা নেওয়া বা আদৌ কোনো চিকিৎসাসেবা না নেওয়া অনেক শিশুই এ হিসাবের বাইরে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কত সংখ্যক শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সেটাও নিশ্চিত করে জানা যায় না।

নিউমোনিয়ার চিকিৎসা রয়েছে। তারপরও এত বেশিসংখ্যক শিশু কেন এই রোগে মারা যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক অভিভাবক রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে দেরি করেন। এসব অভিভাবকদের একটি অংশ মনে করেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। আবার বড় একটি অংশ মনে করেন চিকিৎসা ছাড়াই শিশু সুস্থ হয়ে যাবে। অভিভাবকদের এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করা গেলে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যু অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। দেশের অনেক শিশু এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যাও অনেক। এক হিসাব অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে আছে ৫০ শতাংশ শিশু। নিউমোনিয়ার এসব কারণ দূর করা গেলে রোগটিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রান্তিক পর্যায়ে বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে। চিকিৎসার উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। প্রশিক্ষিত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য জনবল গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসতে পারে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিউমোনিয়ায় মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

tab

opinion » editorial

নিউমোনিয়া প্রতিরোধে চাই সমন্বিত প্রচেষ্টা

রোববার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

দেশে শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। তবে কেবল শিশুরাই যে এই রোগে আক্রান্ত হয় তা নয়। নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও। যথাসময়ে চিকিৎসা করা না হলে এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে।

১২ নভেম্বর ছিল বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ছিল ‘নিউমোনিয়া হতে পারে যে কারও’।

এক হিসাব অনুযায়ী, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে ২৪ হাজার ৩০০ শিশু। এই হিসাব নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে সেবা নেওয়া বা আদৌ কোনো চিকিৎসাসেবা না নেওয়া অনেক শিশুই এ হিসাবের বাইরে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া কত সংখ্যক শিশু এ রোগে আক্রান্ত হয় সেটাও নিশ্চিত করে জানা যায় না।

নিউমোনিয়ার চিকিৎসা রয়েছে। তারপরও এত বেশিসংখ্যক শিশু কেন এই রোগে মারা যাচ্ছে সেটা একটা প্রশ্ন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক অভিভাবক রোগাক্রান্ত শিশুকে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে দেরি করেন। এসব অভিভাবকদের একটি অংশ মনে করেন, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নেই। আবার বড় একটি অংশ মনে করেন চিকিৎসা ছাড়াই শিশু সুস্থ হয়ে যাবে। অভিভাবকদের এই ভ্রান্ত ধারণা দূর করা গেলে নিউমোনিয়ায় শিশুমৃত্যু অনেকাংশে কমানো সম্ভব হবে।

নিউমোনিয়া প্রতিরোধযোগ্য। দেশের অনেক শিশু এখনো অপুষ্টিতে ভুগছে। কম ওজন নিয়ে জন্ম নেওয়া শিশুর সংখ্যাও অনেক। এক হিসাব অনুযায়ী, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার বাইরে আছে ৫০ শতাংশ শিশু। নিউমোনিয়ার এসব কারণ দূর করা গেলে রোগটিকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রান্তিক পর্যায়ে বিশেষ করে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়ে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা সহজলভ্য করতে হবে। চিকিৎসার উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা দরকার। প্রশিক্ষিত ও মানসম্মত স্বাস্থ্য জনবল গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এগিয়ে আসতে পারে। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিউমোনিয়ায় মৃত্যু কমিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top