alt

মতামত » সম্পাদকীয়

যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করুন

: মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

ময়মনসিংহের নান্দাইলের যাত্রী ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে। দখল হওয়া যাত্রী ছাউনি পরিণত হয়েছে টং দোকানে। আর যাত্রী সাধারণ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করেন সড়কে। তাদের রোদ-বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু যে ময়মনসিংহে যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে গেছে তা নয়। দেশের অনেক যাত্রী ছাউনির একই অবস্থা। সড়ক-মহাসড়কে ছাউনি নির্মাণ করা হয় যাত্রীদের জন্য। পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা যেন সেখানে বসতে পারেন, রোদ-বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে পারেন সেটাই লক্ষ্য। বাসগুলো এসে ছাউনির সামনে থামবে, সেখানে যাত্রীরা ওঠানামা করবেন।

বাস্তবে এসব ছাউনি হয়ে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান। প্রশ্ন হচ্ছে, যাত্রী ছাউনিগুলোতে দোকানপাট খুলে বসে কারা। অভিযোগ আছে, প্রভাবশালী একটি চক্র ছাউনি দখল করে দোকান করে অথবা ভাড়া দেয়। প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে দিনের পর দিন তারা ভাড়া-বাণিজ্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ছাউনি দখল করে একটি গোষ্ঠী বাণিজ্য করলেও যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের দুর্ভোগ নিরসনের দায়দায়িত্ব কারও আছে বলে মনে হয় না।

দেশে দখলের অপসংস্কৃতি জেঁকে বসেছে। এখানে সড়ক দখল হয়ে যায়, ফুুটপাত দখল হয়ে যায়। দখলের এই অপসংস্কৃতি থেকে যাত্রী ছাউনিগুলোও রক্ষা পায়নি। যেখানে সড়কই রক্ষা করা যায় না সেখানে ছাউনি রক্ষা করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, নান্দাইলসহ দেশের সব যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করতে হবে। যে বা যারা ছাউনি দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ছাউনি শুধু দখলমুক্ত করলেই চলবে না। একে ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। যাত্রীবান্ধব ছাউনি চাই আমরা। এজন্য এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। যেখানে সম্ভব সেখানে শৌচাগার করতে হবে। ওয়াইফাইয়ের মতো আধুনিক সুবিধাও যোগ করা যেতে পারে।

যাত্রীরা যেন ছাউনি ব্যবহার করেন সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসগুলো যেন ছাউনির সামনে দাঁড়ায় সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করুন

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

ময়মনসিংহের নান্দাইলের যাত্রী ছাউনিগুলো দখল হয়ে গেছে। দখল হওয়া যাত্রী ছাউনি পরিণত হয়েছে টং দোকানে। আর যাত্রী সাধারণ পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করেন সড়কে। তাদের রোদ-বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু যে ময়মনসিংহে যাত্রী ছাউনি দখল হয়ে গেছে তা নয়। দেশের অনেক যাত্রী ছাউনির একই অবস্থা। সড়ক-মহাসড়কে ছাউনি নির্মাণ করা হয় যাত্রীদের জন্য। পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা যেন সেখানে বসতে পারেন, রোদ-বৃষ্টিতে আশ্রয় নিতে পারেন সেটাই লক্ষ্য। বাসগুলো এসে ছাউনির সামনে থামবে, সেখানে যাত্রীরা ওঠানামা করবেন।

বাস্তবে এসব ছাউনি হয়ে গেছে ব্যবসা-বাণিজ্যের স্থান। প্রশ্ন হচ্ছে, যাত্রী ছাউনিগুলোতে দোকানপাট খুলে বসে কারা। অভিযোগ আছে, প্রভাবশালী একটি চক্র ছাউনি দখল করে দোকান করে অথবা ভাড়া দেয়। প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় বসে দিনের পর দিন তারা ভাড়া-বাণিজ্য করলেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। ছাউনি দখল করে একটি গোষ্ঠী বাণিজ্য করলেও যাত্রী সাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাদের দুর্ভোগ নিরসনের দায়দায়িত্ব কারও আছে বলে মনে হয় না।

দেশে দখলের অপসংস্কৃতি জেঁকে বসেছে। এখানে সড়ক দখল হয়ে যায়, ফুুটপাত দখল হয়ে যায়। দখলের এই অপসংস্কৃতি থেকে যাত্রী ছাউনিগুলোও রক্ষা পায়নি। যেখানে সড়কই রক্ষা করা যায় না সেখানে ছাউনি রক্ষা করা হবে কীভাবে সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, নান্দাইলসহ দেশের সব যাত্রী ছাউনি দখলমুক্ত করতে হবে। যে বা যারা ছাউনি দখল করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।

ছাউনি শুধু দখলমুক্ত করলেই চলবে না। একে ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে। যাত্রীবান্ধব ছাউনি চাই আমরা। এজন্য এর নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি। যেখানে সম্ভব সেখানে শৌচাগার করতে হবে। ওয়াইফাইয়ের মতো আধুনিক সুবিধাও যোগ করা যেতে পারে।

যাত্রীরা যেন ছাউনি ব্যবহার করেন সেজন্য তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বাসগুলো যেন ছাউনির সামনে দাঁড়ায় সেটাও নিশ্চিত করা জরুরি।

back to top