alt

opinion » editorial

বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

: বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব পাঠ্যপুস্তকের ছাপা শেষ করতে চায় তারা। কিন্তু বাজারে কাগজের চলমান সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি কারণে নির্ধারিত সময়ে ছাপার কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কাগজের চলমান সংকটকে আরও প্রকট করছে নোট-গাইড ও সহায়ক বইয়ের প্রকাশকরা। তারা চড়া দামে খোলাবাজার থেকে সব কাগজ কিনে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ পাওয়া ছাপাখানা মালিকদের। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশি^ক পরিস্থিতির কারণে দেশে এমনিতেই কাগজ সংকট। এর আশু সমাধান জটিলও বটে। তাই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নোট-গাইড ও সহায়ক বই ছাপার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ জন্য পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছে এনসিটিবি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নজরদারি বাড়াতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও চিঠি দেয়া হয়েছে।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি বলেছেন, এমনিতেই নিউজপ্রিন্টে বই ছাপা হয়, পাঠ্যবই এই কাগজে ছাপা হয় না। এরপরও ভালোমানের কাগজ সংকটের জন্য আমাদের দায়ী করা হবে কেন?

বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস সংকট এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে এমনিতেই কাগজ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের কারণে কাগজ ও কাগজ তৈরির ম-ের দাম অনেক বেশি হওয়ায় শঙ্কা আরও বেড়েছে। যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তাতে অনেকে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য নানা পথ দেখাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বই ছাপার সঙ্গে যুক্ত আছে প্রকাশনা শিল্প, শ্রমশক্তি ও বিশাল পুঁজি। প্রতিবছর একই বই ছাপাতে প্রচুর অর্থের দরকার হয়। সরকার ও প্রশাসনকে এদিকে গভীর মনোযোগ রাখতে হয়। তাছাড়া বই বিতরণের জন্য সর্বত্র একটি বাড়তি আয়োজন করতে হয়। এর যোগাযোগ ও ব্যবস্থাপনার একটি বিরাট দিক আছে। এজন্য একই বই পুনরায় ব্যবহার করা যায় কিনা-সেটা ভেবে দেখতে হবে। অবশ্য পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হলে পুরনো বইয়ে কাজ চলবে না।

দেশে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসেছে। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার চেষ্টা করে আসছে সরকার। এতে অনেকটা সফলও হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ করা বইয়ের মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তবে শিক্ষার্থীরা যে নতুন বই পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে- তাদের কিছুটা হতাশার কারণ হতে পারে।

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন শিক্ষার্থীদের হাতে যেন সময়মতো বই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যারা আছে-কাগজ মিল মালিক বা ব্যবসায়ী, মুদ্রাকর, এনসিটিবি সবাই মিলে যদি কাজ করে, তাহলে কাজ অনেক সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

tab

opinion » editorial

বছরের শুরুতে নতুন বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২২

২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব পাঠ্যপুস্তকের ছাপা শেষ করতে চায় তারা। কিন্তু বাজারে কাগজের চলমান সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি কারণে নির্ধারিত সময়ে ছাপার কাজ শেষ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কাগজের চলমান সংকটকে আরও প্রকট করছে নোট-গাইড ও সহায়ক বইয়ের প্রকাশকরা। তারা চড়া দামে খোলাবাজার থেকে সব কাগজ কিনে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজ পাওয়া ছাপাখানা মালিকদের। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশি^ক পরিস্থিতির কারণে দেশে এমনিতেই কাগজ সংকট। এর আশু সমাধান জটিলও বটে। তাই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে নোট-গাইড ও সহায়ক বই ছাপার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এ জন্য পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছে এনসিটিবি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং নজরদারি বাড়াতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকেও চিঠি দেয়া হয়েছে।

পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি বলেছেন, এমনিতেই নিউজপ্রিন্টে বই ছাপা হয়, পাঠ্যবই এই কাগজে ছাপা হয় না। এরপরও ভালোমানের কাগজ সংকটের জন্য আমাদের দায়ী করা হবে কেন?

বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি, দেশে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাস সংকট এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাবে এমনিতেই কাগজ নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের কারণে কাগজ ও কাগজ তৈরির ম-ের দাম অনেক বেশি হওয়ায় শঙ্কা আরও বেড়েছে। যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তাতে অনেকে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য নানা পথ দেখাচ্ছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বই ছাপার সঙ্গে যুক্ত আছে প্রকাশনা শিল্প, শ্রমশক্তি ও বিশাল পুঁজি। প্রতিবছর একই বই ছাপাতে প্রচুর অর্থের দরকার হয়। সরকার ও প্রশাসনকে এদিকে গভীর মনোযোগ রাখতে হয়। তাছাড়া বই বিতরণের জন্য সর্বত্র একটি বাড়তি আয়োজন করতে হয়। এর যোগাযোগ ও ব্যবস্থাপনার একটি বিরাট দিক আছে। এজন্য একই বই পুনরায় ব্যবহার করা যায় কিনা-সেটা ভেবে দেখতে হবে। অবশ্য পাঠ্যক্রম পরিবর্তন হলে পুরনো বইয়ে কাজ চলবে না।

দেশে ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করে আসেছে। বছরের প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়ার চেষ্টা করে আসছে সরকার। এতে অনেকটা সফলও হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ করা বইয়ের মান নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুনরায় ব্যবহারের ক্ষেত্রে বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। তবে শিক্ষার্থীরা যে নতুন বই পাওয়ার অপেক্ষায় থাকবে- তাদের কিছুটা হতাশার কারণ হতে পারে।

পরিস্থিতি যাই হোক না কেন শিক্ষার্থীদের হাতে যেন সময়মতো বই পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট যারা আছে-কাগজ মিল মালিক বা ব্যবসায়ী, মুদ্রাকর, এনসিটিবি সবাই মিলে যদি কাজ করে, তাহলে কাজ অনেক সহজ হবে বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই।

back to top