alt

opinion » editorial

দুই জঙ্গি ছিনতাই : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

: সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যদি যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে হয়তো প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব হতো না।

প্রশ্ন আছে গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়েও। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ থেকে ধারণা করা যায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা ঘটনাস্থলের আশপাশে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। এই পরিকল্পনা বা জঙ্গিদের তৎপরতা ঘুণাক্ষরেও গোয়েন্দারা জানতে পারেনি।

সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার হওয়ার কথা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হওয়ার কথা আরও আঁটোসাঁটো।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দুই জঙ্গিকে নিয়ে তাদের সহযোগীরা নিরাপদে পালিয়ে গেছে। এখনও তাদের হদিস মেলেনি। জঙ্গিরা পালিয়ে কোথায় আশ্রয় নিতে পারে বা কী করতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পুলিশের কি আছে- এটা একটা প্রশ্ন। জঙ্গিবাদ দমনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যতটা চৌকশ হওয়া দরকার তারা ততটা চৌকশ বা সক্ষম কিনা এমন প্রশ্ন অতীতেও উঠেছে। দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি কৌশলী হতে হবে। সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। জঙ্গিরা এই অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।

দেশে বিভিন্ন সময় থেমে থেমে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তারা বড় কোনো ঘটনা ঘটালে সরকার তৎপরতা শুরু করে, অভিযান চালায়। শীর্ষ জঙ্গিদের অনেকেই পুলিশি অভিযানে মারা যায়, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার হতে দেখা যায়। যদিও পুলিশ দাবি করে যে, দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জঙ্গিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা যায়নি।

জঙ্গিবাদের বিপদ সম্পর্কে সরকারকে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি আদর্শিক লড়াই শুরু করতে হবে।

ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত আটক করা হবে সেটা আমাদের আশা। পাশাপাশি আদালতসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। দেশে নতুন করে কেউ যেন জঙ্গিদের নৃশংসতার শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নারী ও শিশু নির্যাতনের উদ্বেগজনক চিত্র

ভবদহের জলাবদ্ধতা: শিক্ষা ও জীবনযাত্রার উপর অব্যাহত সংকট

সৈয়দপুরে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুর্দশা

জমি রেজিস্ট্রিতে ঘুষের বোঝা: সাধারণ মানুষের ভোগান্তি

মবের নামে মানুষ হত্যা : সমাজ কোথায় যাচ্ছে?

‘জুলাই জাতীয় সনদ’ : কেন প্রশ্ন তোলা যাবে না

সুন্দরবন রক্ষায় টেকসই ব্যবস্থা নিন

মামলা, গ্রেপ্তার, জামিন : প্রশ্নবিদ্ধ আইনের শাসন

শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ : ঐক্য ও উদ্যমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

বন্যা ও ভাঙন : দ্রুত ব্যবস্থা নিন

অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

ভূমি অফিসে ঘুষ বন্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জন্ম নিবন্ধনে জটিলতা দূর করা জরুরি

‘সাদা পাথর’ লুটের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিন

সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

তরুণদের জন্য আলাদা বুথ! সিদ্ধান্ত কার? কেন?

চিকিৎসক সংকটে জীবননগরের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

গণপিটুনির সংস্কৃতি রুখতে হবে এখনই

সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

ইউনিয়ন পরিষদে নাগরিক সেবায় ভোগান্তির অবসান ঘটান

সড়কে মৃত্যু : দুর্ঘটনা নাকি অব্যবস্থাপনার ফল?

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর

নির্বাচনের ঘোষণায় স্বস্তি, তবে আছে অনেক চ্যালেঞ্জ

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’: কিছু জিজ্ঞাসা

বয়স্ক ভাতা পেতে আর কত অপেক্ষা

ডিএনডি এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা নিন

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর: প্রত্যাশায় কী প্রাপ্তি

tab

opinion » editorial

দুই জঙ্গি ছিনতাই : প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের দুই জঙ্গি সদস্যকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের আদালতে আনা-নেয়ার ক্ষেত্রে যদি যথেষ্ট নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো তাহলে হয়তো প্রকাশ্য দিবালোকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া সম্ভব হতো না।

প্রশ্ন আছে গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়েও। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঘটনার বিবরণ থেকে ধারণা করা যায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। যারা এর সঙ্গে জড়িত তারা ঘটনাস্থলের আশপাশে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। এই পরিকল্পনা বা জঙ্গিদের তৎপরতা ঘুণাক্ষরেও গোয়েন্দারা জানতে পারেনি।

সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই বলছে, দেশে জঙ্গিবাদ আবার মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এই অবস্থায় গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার হওয়ার কথা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা হওয়ার কথা আরও আঁটোসাঁটো।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দুই জঙ্গিকে নিয়ে তাদের সহযোগীরা নিরাপদে পালিয়ে গেছে। এখনও তাদের হদিস মেলেনি। জঙ্গিরা পালিয়ে কোথায় আশ্রয় নিতে পারে বা কী করতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পুলিশের কি আছে- এটা একটা প্রশ্ন। জঙ্গিবাদ দমনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যতটা চৌকশ হওয়া দরকার তারা ততটা চৌকশ বা সক্ষম কিনা এমন প্রশ্ন অতীতেও উঠেছে। দুই জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আবারও সেই প্রশ্ন উঠেছে।

জঙ্গিবাদ দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও বেশি কৌশলী হতে হবে। সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচনের আগে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। জঙ্গিরা এই অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের মাথায় রাখতে হবে।

দেশে বিভিন্ন সময় থেমে থেমে জঙ্গিবাদ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। তারা বড় কোনো ঘটনা ঘটালে সরকার তৎপরতা শুরু করে, অভিযান চালায়। শীর্ষ জঙ্গিদের অনেকেই পুলিশি অভিযানে মারা যায়, অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়। এখনও জঙ্গি তৎপরতার অভিযোগে অনেককে গ্রেপ্তার হতে দেখা যায়। যদিও পুলিশ দাবি করে যে, দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জঙ্গিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলা যায়নি।

জঙ্গিবাদের বিপদ সম্পর্কে সরকারকে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে। জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশি অভিযানের পাশাপাশি আদর্শিক লড়াই শুরু করতে হবে।

ছিনিয়ে নেয়া দুই জঙ্গি ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত আটক করা হবে সেটা আমাদের আশা। পাশাপাশি আদালতসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। দেশে নতুন করে কেউ যেন জঙ্গিদের নৃশংসতার শিকার না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

back to top