alt

সম্পাদকীয়

আলুর বীজ সংকট দূর করুন

: মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

রংপুরের পীরগাছায় আগাম জাতের আলুর বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে বীজ। ফলে স্থানীয় বাজারে চলছে বীজের কৃত্রিম সংকট। জমি চাষ দিয়ে উপযোগী করলেও বীজ সংকটের কারণে কৃষকরা আলু রোপণ করতে পারছেন না। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত বীজ না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজের আগাম জাতের আলু বীজ রয়েছে। তবে কৃষক ভালো ফলনের আশায় বেসরকারি বীজের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। কিন্তু বাজারে চাহিদামতো বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্র্যাক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করছে না। তাদের কাছ থেকে এক শ্রেণির দালাল ও ফরিয়ারা বীজ কিনে নিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

কোম্পানির নির্ধরিত মূল্য- আলুর কার্টুন ৮ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫০ টাকা বলে জানা গেছে। কিন্তু ডিলাররা কার্টুন ১০-১১ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫৮-৬০ টাকা বিক্রি করছেন। আলু বীজের সংকট থাকলে এর উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বীজ বেসরকারি হোক আর সরকারি হোক সেটা যদি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হয় তাহলে এর দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না। এক শ্রেণির ডিলার, দালাল এবং ফরিয়া কারসাজি করে আলু বীজের সংকট তৈরি করেছে। কৃষি অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারেন। আসলেই কি বীজ সংকট দেখা দিয়েছে নাকি সংকট তৈরি করা হয়েছে। এমনিতেই আলুর বীজ পাওয়া যাচ্ছে না, বেশি দাম দিলে পাওয়া যায়; গলদটা কোথায় সেটা খুঁজে দেখতে হবে। তাছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রয়েছে। কোনো পণ্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে তারা জারিমানা করতে পারে।

আমরা চাই, যে কোন উপায়ে বীজ সংকট দূর করা হোক। বিএডিসির বীজ পর্যাপ্ত সরবরাহ করা গেলে একটা ভারসাম্য আসতে পারে। শুধু বীজই নয়, প্রায়ই দেখা যায়- কৃষক চাষাবাদ করতে গিয়ে সার, সেচ, জলাবদ্ধতাসহ নানান সংকটে পড়েন। এসব সংকট নিরসনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটাই কাম্য।

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় শতবর্ষী বটগাছ নিধন : এ কোন সভ্যতা?

বেইলি রোডে আবার আগুন : নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার সময় এখনই

লাউয়াছড়া বন : নিঃশব্দ বিপর্যয়ের মুখে

ডেঙ্গু পরিস্থিতি : অবহেলা নয়, দরকার জরুরি উদ্যোগ

ইকোপার্কের করুণ দশা : দায় কার

হাতি শাবকের মৃত্যু ও সাফারি পার্কের দায়ভার

বায়ুদূষণ রোধে চাই টেকসই উদ্যোগ

মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার দিন

চালের দামে অস্বস্তি : সরকারি তথ্য ও বাজারের বাস্তবতার ফারাক

অতিদারিদ্র্যের আশঙ্কা : সমাধান কোথায়?

ডিমলা উপজেলা হাসপাতালের অনিয়ম

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের অপেক্ষা কবে ফুরাবে

হাইল হাওরের অস্তিত্ব সংকট

সমানাধিকারে আপত্তি কেন?

লেমুর চুরি : সাফারি পার্কের নিরাপত্তা সংকট

একটি হাসাহাসির ঘটনা, একটি হত্যাকাণ্ড : সমাজের সহিষ্ণুতার অবক্ষয়

চাই সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ-হাতির সংঘাত : সমাধানের পথ খুঁজতে হবে

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সংকট দূর করুন

ফসলি জমি রক্ষায় কঠোর হোন

নিষ্ঠুরতার শিকার হাতি

বিশেষ ক্ষমতা আইন ও নাগরিক অধিকার

হালদায় অবৈধ মাছ শিকার বন্ধ করতে হবে

মশার উপদ্রব : বর্ষার আগেই সাবধান হতে হবে

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলা : মানবতার প্রতি এক অব্যাহত আঘাত

অবৈধ বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণহানি : দায় কার?

নদীর বাঁধ ভাঙার দুর্ভোগ : টেকসই সমাধানের জরুরি প্রয়োজন

মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা সংকট

সমবায় সমিতির নামে প্রতারণা : কঠোর নজরদারি ও আইনি পদক্ষেপ জরুরি

সড়ক দুর্ঘটনা নাকি অবহেলার পরিণতি

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ ও আমাদের প্রস্তুতি

বার্ড ফ্লু : আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

জাটকা রক্ষার প্রতিশ্রুতি কি শুধুই কাগজে-কলমে?

ভেজাল কীটনাশক বন্ধে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

আলুর বীজ সংকট দূর করুন

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর ২০২২

রংপুরের পীরগাছায় আগাম জাতের আলুর বীজের সংকট দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে যে, সেখানে সিন্ডিকেটের কব্জায় চলে গেছে বীজ। ফলে স্থানীয় বাজারে চলছে বীজের কৃত্রিম সংকট। জমি চাষ দিয়ে উপযোগী করলেও বীজ সংকটের কারণে কৃষকরা আলু রোপণ করতে পারছেন না। চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত বীজ না পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। এ নিয়ে গতকাল সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সিড অ্যান্ড এগ্রো এন্টারপ্রাইজের আগাম জাতের আলু বীজ রয়েছে। তবে কৃষক ভালো ফলনের আশায় বেসরকারি বীজের দিকেই বেশি ঝুঁকছে। কিন্তু বাজারে চাহিদামতো বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। ব্র্যাক কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলাররা বেশি লাভের আশায় সরাসরি কৃষকের কাছে বীজ বিক্রি করছে না। তাদের কাছ থেকে এক শ্রেণির দালাল ও ফরিয়ারা বীজ কিনে নিয়ে চড়া মূল্যে বিক্রি করছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।

কোম্পানির নির্ধরিত মূল্য- আলুর কার্টুন ৮ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫০ টাকা বলে জানা গেছে। কিন্তু ডিলাররা কার্টুন ১০-১১ হাজার টাকা এবং বস্তার আলু কেজি ৫৮-৬০ টাকা বিক্রি করছেন। আলু বীজের সংকট থাকলে এর উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বীজ বেসরকারি হোক আর সরকারি হোক সেটা যদি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি না হয় তাহলে এর দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না। এক শ্রেণির ডিলার, দালাল এবং ফরিয়া কারসাজি করে আলু বীজের সংকট তৈরি করেছে। কৃষি অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পারেন। আসলেই কি বীজ সংকট দেখা দিয়েছে নাকি সংকট তৈরি করা হয়েছে। এমনিতেই আলুর বীজ পাওয়া যাচ্ছে না, বেশি দাম দিলে পাওয়া যায়; গলদটা কোথায় সেটা খুঁজে দেখতে হবে। তাছাড়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রয়েছে। কোনো পণ্য নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে তারা জারিমানা করতে পারে।

আমরা চাই, যে কোন উপায়ে বীজ সংকট দূর করা হোক। বিএডিসির বীজ পর্যাপ্ত সরবরাহ করা গেলে একটা ভারসাম্য আসতে পারে। শুধু বীজই নয়, প্রায়ই দেখা যায়- কৃষক চাষাবাদ করতে গিয়ে সার, সেচ, জলাবদ্ধতাসহ নানান সংকটে পড়েন। এসব সংকট নিরসনে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সেটাই কাম্য।

back to top