alt

opinion » editorial

রেলক্রসিং কেন অরক্ষিত

: বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২

অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের কারণে রেলপথে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান, রেলগেট বা ব্যারিকেড। কোথাও কোথাও সতর্কবার্তা দিয়েই কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব সারে। আবার অনেক স্থানে সেই সতর্কবার্তাটুকুও থাকে না। যে কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আটটি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ছয়টিতেই নেই গেটম্যান। অরক্ষিত ক্রসিংয়ের কারণে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় প্রায়ই। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে রেলক্রসিং আছে ২ হাজার ৫৬১টি। সমস্যা হচ্ছে, এসব ক্রসিংয়ের মধ্যে ৮২ শতাংশই অরক্ষিত। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান। রেলগেট বা ব্যারিকেড ক্রসিংয়ের বড় একটি অংশেরই নেই কোন অনুমোদন। রেলওয়ে বলছে, অনুমোদনহীন রেলক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১।

রেলপথের ওপর এলজিইডি ও সওজসহ একধিক সরকারি সংস্থা লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করেছে। অভিযোগ আছে, ক্রসিং নির্মাণের সময় তারা রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেয় না। অনুমোদনহীন অবৈধ ক্রসিংগুলোই মূলত অরক্ষিত। এ ধরনের ক্রসিং বেশি বিপজ্জনক। রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। অনুমতি ছাড়া শত শত লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অবৈধ ক্রসিং কেন উচ্ছেদ করা হয় না সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, গাজীপুরের কালীগঞ্জসহ দেশের যেসব স্থানে অরক্ষিত রেলক্রসিং আছে সেসব স্থানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেকোন মূল্যে দেশের রেলক্রসিংগুলো সুরক্ষিত করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে রেল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। কারো কোন অবহেলা-উদাসীনতা কাম্য নয়। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেলগেট তৈরি করতে হবে বা ব্যারিকেড বসাতে হবে। প্রতিটি রেলগেটে গেটম্যান রাখতে হবে। কেবল তথাকথিত সতর্কবার্তা দিয়ে দায় সারলে চলবে না। অনেকে বলেন, বড় শহর বা নগরের মধ্যে থাকা রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণ করলে দুর্ঘটনা কমবে। সরকার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করা যাচ্ছে না কেন

টাইফয়েড টিকা: ভালো উদ্যোগ

হামাস-ইসরায়েল চুক্তি: শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ সফল হোক

বকুলতলায় স্থগিত শরৎ উৎসব!

সুন্দরগঞ্জে অ্যানথ্রাক্স টিকাদান কার্যক্রমে জনবল সংকট দূর করুন

বনভূমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

নন্দীগ্রামে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংকট

জরাজীর্ণ বিদ্যালয়গুলো সংস্কার করুন

কমছেই আলুর দাম, লোকসান বাড়ছে কৃষকের

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের দাবি কি পূরণ হলো?

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

কন্যাশিশু নিপীড়নের উদ্বেগজনক চিত্র

ট্রাম্পের পরিকল্পনা একটি সম্ভাবনাময় সূচনা, কিন্তু পথ এখনও দীর্ঘ

বিজয়া দশমী: সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার

প্লাস্টিক দূষণের শিকার সুন্দরবন: চাই জনসচেতনতা

খাগড়াছড়িতে সহিংসতা কি এড়ানো যেত না

এক প্রবীণের আর্তনাদ: সমাজ কি শুনবে?

সাঁওতালদের বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ রক্ষা করুন

সারের কৃত্রিম সংকট ও কৃষকদের দুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট দূর করুন

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল পাচার: প্রশাসনের তৎপরতা ও প্রত্যাশা

অ্যান্টিভেনম সংকট দূর করুন

বিলাসবহুল গাড়ি কেনার ‘অতিআগ্রহ’ নিয়ে প্রশ্ন, উত্তর কি মিলবে?

তাপমাত্রা বাড়ার মূল্য

গাছে পেরক ঠোকার নিষ্ঠুরতার অবসান হোক

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি : দায় চাপানোর সংস্কৃতি নয়, ব্যবস্থা নিন

কবর থেকে লাশ তুলে আগুন: কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন

বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অচলাবস্থা ও নাগরিক দুর্ভোগ

ঈদে মিলাদুন্নবী : মহানবীর আদর্শ অনুসরণ করা জরুরি

নীলফামারীতে শ্রমিকের প্রাণহানি: এই মৃত্যু কি এড়ানো যেত না

বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন: নারী সহপাঠীকে ‘গণধর্ষণের’ হুমকি, নারী প্রার্থীদের সাইবার হয়রানি

নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কেন এই নৈরাজ্য

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

tab

opinion » editorial

রেলক্রসিং কেন অরক্ষিত

বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২২

অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ের কারণে রেলপথে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান, রেলগেট বা ব্যারিকেড। কোথাও কোথাও সতর্কবার্তা দিয়েই কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব সারে। আবার অনেক স্থানে সেই সতর্কবার্তাটুকুও থাকে না। যে কারণে রেল দুর্ঘটনা ঘটছে প্রায়ই।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আটটি রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ছয়টিতেই নেই গেটম্যান। অরক্ষিত ক্রসিংয়ের কারণে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায় প্রায়ই। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে রেলক্রসিং আছে ২ হাজার ৫৬১টি। সমস্যা হচ্ছে, এসব ক্রসিংয়ের মধ্যে ৮২ শতাংশই অরক্ষিত। অরক্ষিত ক্রসিংয়ে নেই গেটম্যান। রেলগেট বা ব্যারিকেড ক্রসিংয়ের বড় একটি অংশেরই নেই কোন অনুমোদন। রেলওয়ে বলছে, অনুমোদনহীন রেলক্রসিংয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৩২১।

রেলপথের ওপর এলজিইডি ও সওজসহ একধিক সরকারি সংস্থা লেভেল ক্রসিং নির্মাণ করেছে। অভিযোগ আছে, ক্রসিং নির্মাণের সময় তারা রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেয় না। অনুমোদনহীন অবৈধ ক্রসিংগুলোই মূলত অরক্ষিত। এ ধরনের ক্রসিং বেশি বিপজ্জনক। রেল দুর্ঘটনায় যত প্রাণহানি হয়, তার ৮৯ শতাংশই ঘটে অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে। অনুমতি ছাড়া শত শত লেভেল ক্রসিং তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষকে এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায় না। অবৈধ ক্রসিং কেন উচ্ছেদ করা হয় না সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, গাজীপুরের কালীগঞ্জসহ দেশের যেসব স্থানে অরক্ষিত রেলক্রসিং আছে সেসব স্থানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে জননিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। যেকোন মূল্যে দেশের রেলক্রসিংগুলো সুরক্ষিত করা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে চাই। এক্ষেত্রে রেল কর্তৃপক্ষসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। কারো কোন অবহেলা-উদাসীনতা কাম্য নয়। যেখানে প্রয়োজন সেখানেই রেলগেট তৈরি করতে হবে বা ব্যারিকেড বসাতে হবে। প্রতিটি রেলগেটে গেটম্যান রাখতে হবে। কেবল তথাকথিত সতর্কবার্তা দিয়ে দায় সারলে চলবে না। অনেকে বলেন, বড় শহর বা নগরের মধ্যে থাকা রেলক্রসিংয়ে ওভারপাস নির্মাণ করলে দুর্ঘটনা কমবে। সরকার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করবে সেটা আমাদের আশা।

back to top